পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q o Fন্তু সেখানেও, অবরোধ মুক্ত ভাবে যাহারা চলাফির! রিতে অভ্যস্ত, র্তাহার। ইহা হয়ত করিবেন । পিতা স্বামী ভ্রাত পুত্র প্রভূতিকে স্বাধীনতা-সংগ্রামে স্ততঃ উৎসাহ দিতে বা বাধা ন দিতে মহিলারা পারেন । র্যাহারা আইন-লঙ্ঘন প্রচেষ্টার পক্ষপাতী নহেন, কেবল ক্ত তর্ক সমালোচনা প্রতিবাদ প্রভৃতির পক্ষপাতী, iহার এই সব উপায়েরই চূড়ান্ত পরীক্ষা করিয়া দেখুন। কবল গান্ধীজীর সমালোচনা, তাহাকে উপহাস করিলে লিবে না। র্যাহাঁদের মত ও পথ ভিন্ন, তাহার। তাহার ত সাহসের সহিত নিজেদের পথেরই বিপদ বরণ করুন । হা পুরুষ ও নারী উভয়েরই কৰ্ত্তব্য । مسبتصدي অহিংস সংগ্রামের ফলাফলের সময় নির্দেশ সশস্ত্র যুদ্ধ দ্বারা যে সব দেশ স্বাধীন হইয়াছে, tহাদেরও তাহাতে সময় লাগিয়াছে—অনেক দেশের য়েক বৎসর সময় লাগিয়াছে। অহিংস সংগ্রামের দ্বার। ধীনতা লাভের চেষ্টা পৃথিবীর ইতিহাসে নুতন । ঘাতে কত সময় লাগিতে পারে, ইহাতে পতন অভু্যদয় য়পরাজয় কি আছে কত আছে, কোন ঐতিহাসিক দীর দ্বারা তাহ অনুমান করিবার জে। নাই । স্থ ইহাতে সশস্ত্র বিদ্রোহ অপেক্ষ বেশী বই কম সময় গিবর কথা নহে ; অন্ততঃ সমান সময় লাগিবে । তএব, পরাধীনতা যাহীদের একান্ত অসহ্য হইয়াছে, হাদিগকেও ধৈর্য্য ধারণ করিতে হুইবে । ইংরেজ ভুরা আমাদিগকে “ইম্পেশ্যাণ্ট আইডিয়ালিষ্ট" অর্থাং র্য্যহীন আদর্শকামী বলিয়া থাকেন। তাহার। চান, যে, rমরা অনন্তকাল বা অনির্দিষ্ট কাল তাহদের মজ্জির পর নির্ভর করিয়া ধৈর্য ধরিয়া বসিয়া থাকি । আমরা ধীনতালিক সত্যাগ্ৰহীদিগকে সেই অর্থে ধৈয্যশীল ইতে বলিতেছি না। আমাদের কথার অর্থ এই, যে, Iহার স্বাধীনতা লাভের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিবেন কিন্তু তিশীঘ্র সফলকাম না হইলে নিরাশ হইবেন না । আর একটি কথা মনে রাখিতে হইবে । যে-সব তি স্বাধীনতা রক্ষা বা লাভের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ করে, tহারাও সবাই দিন রাত কেবল যুদ্ধই করে না । পায়চিন্তা পরামর্শ প্রভৃতির জন্য সময় রাখে । সমর্থ কিবার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি থাকিয় কখন খন খেলাধূলা আমোদ প্রমোদ পর্য্যন্ত করে। অর্থাৎ Iাসল কাজ, মুখ্য কাজ ও লক্ষ্য হইল জয়লাভ ; কিন্তু iাহার সহায়ক ও অপরিপন্থী অন্য কাজও করা যাইতে রে। MMAMAMSMSMMSAMAMSMSMSAMAMMAMAMMMAMMAeMMAMAMAMMMS MSMMSAASAASAASAAASMSMSMM MAMM AMAMMM MAM AMAMMMMAMMAMMAAAS AAAAA AAAAMAMMASAMMAeAMMMAMMMAMAAAA জাতির যে-সব লোক যুদ্ধক্ষেত্রে যায় না, যাইতে পারে না, তাহারা জাতিকে ও যোদ্ধাদিগকে হৃদয়মনশরীরে বঁাচাইয়া রাথিবীর জন্য এবং রসদ যোগাইবার জন্য সচেষ্ট থাকে । সরকারী কৰ্ম্মচারীদের দেশসেবা চৈত্রের প্রবাসীতে আমরা এই মৰ্ম্মের কথা লিথিয়াছিলাম, যে, যে-সকল দেশী সরকারী কৰ্ম্মচারী বৈধ ও সুনীতিসঙ্গত ভাবে নিজেদের কৰ্ত্তব্য করেন, তাহারাও পরোক্ষভাবে দেশকে পরাধীন রাখিতে ইংরেজকে সাহায্য করেন । কিন্তু র্তাহীদের দ্বারা এক প্রকারের দেশসেবা ও জাতিসেবার উল্লেখ করা হয় নাই। র্ত্যহাদের কাজের দ্বার। ইহা প্রমাণিত হইয়াছে, যে, ছোট বড় যে-কোন কাজের ভার দেশী লোকের উপর পড়ে, তাহা তাহার সুসম্পন্ন করিতে সমর্থ। ইহা আমাদের যোগ্যতা সম্বন্ধে কেবল ইংরেজ ও অন্য বিদেশীদের বিশ্বাস জন্মাইবার জন্যই যে দরকার ছিল, তাহী নহে । আমাদের দেশেরও বিস্তর লোকের এই বিশ্বাস ছিল এবং এখনও অনেকের আছে, যে, আমরা নিকৃষ্ট, আমাদের নিক্লষ্টত। জাতিগত, আমরা অনেক কাজই পারি না । এই মিথ্য নিকৃষ্টতাবোধ যে-পরিমাণে সরকারী দেশী কৰ্ম্মচারীদের দ্বারা দূরীভূত হইয়াছে, সেই পরিমাণে তাহার দেশের সেবা করিয়াছেন । তা ছাড়া, তাহদের দ্বারা স্ববিচার, চোরডাকাত দমন, শিক্ষাবিস্তার, স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রভূতি যে-সব কাজ হইয়াছে তাহাও দেশের সেবা—যদিও তাহার দ্বারা পরোক্ষ ভাবে এই ধারণা ও জন্মিয়াছে, যে, পরাধীনতা ও দেশের পক্ষে কিছু মঙ্গলকর হইতে পারে । অনাবশ্যক বেদেশিক প্রভাব বিস্তার কতকগুলি জিনিষ ও কাৰ্য্যপ্রণালী আমাদিগকে বিদেশী লোকদের নিকট হইতে লইতে হয়।, যেমন ছাপিবার কল, ছাপিবার প্রক্রিয়া, বিদেশী ভাষার পুস্তক, ইত্যাদি । অনেক স্বাধীন সভ্যদেশের লোকদিগকেও কোন কোন জিনিষ ও প্রক্রিয় বিদেশ হইতে লইতে হয়। সব জাতি সব রকম জিনিষের আবিষ্কৰ্ত্তা ও নিৰ্ম্মাতা নহে, হইতে পারে না। নানা জাতির মধ্যে আদান প্রদানে শুধু যে দোষ নাই, তাহা নহে, তাহ আবশ্যক। তাহার দ্বারা মানব জাতির মধ্যে ঘনিষ্ঠত ও মৈত্রী বৃদ্ধি হয় । কিন্তু কোন জাতি যদি কেবলই ধার করে, দিতে পারে না, তাহা হইলে তাহা দোষের বিষয় হয় ।