পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] محمیہ مجمجمہ: حمہ حیے ہی ہے হাজার শিশুর বিবাহ সেইরূপ, বাল্যবিবাহ যে গেল, তাহার চিহ্ন স্বরূপ । শারদা আইন যখন পুসি হয় নাই, তখন ইহার বিরোধীরা প্রধানতঃ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন। একদল বলিতেন, “বাল্যবিবাহে কোন দোষ নাই, বরং উহা ভাল ও ধৰ্ম্মরক্ষার জন্য একান্ত আবশ্যক ; অতএব আইন করিলে বড় জুলুম হইবে, আমাদের ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করা হইবে।” অন্ত দল বলিতেন, “বাল্যবিবাহের দোষ আছে ; কিন্তু আমরা নিজেই উহার সংশোধন করিব, বিদেশী গবন্মে ট কেন আমাদের সামাজিক ও ধাৰ্ম্মিক বিসয়ে হস্তক্ষেপ করিবে ? তা ছাড়া, শিক্ষিত ও ভদ্র সমাজ হইতে ত উহ। প্রায় উঠিয়াই গিয়াছে।” কোন দলের সহিতই তর্ক করিবার প্রয়োজন নাই । কিন্তু তথ্য সম্বন্ধে একটা ভ্ৰম প্রদর্শিত হইতে পারে । ১লা এপ্রিল ১৮ই চৈত্রের পূৰ্ব্বে তাড়াতাড়ি কেবল অশিক্ষিত নিম্ন শ্রেণীর লোকেরাই খুকীদের বিবাহ দেয় নাই ; খুব উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত ও উচ্চপদস্থ লোকেরাও তাহা করিয়াছেন । একটা এইরূপ বিবাহ লইয়। কাগজে আলোচনা হইয়াছে বলিয় তাহার উল্লেখ করিতেছি । মাহমুদাবাদের মহারাজা অযোধ্যা প্রদেশের এক জন বড় তালুকদার এবং মুসলমানদের বড় নেতা। র্তাহার ছয় বৎসরের পুত্রের সহিত লক্ষ্মেী চীফ, কোটের জজ ওয়াজির হোসেনের চারি বৎসরের কন্যার বিবাহ হইয়া গিয়াছে। মান্দ্রাজের এক জন ভূতপূৰ্ব্ব হিন্দু হাইকোর্ট জজের বাড়ীতেও একটি বাল্যবিবাহ তাড়াতাড়ি হইয়া গিয়াছে । তাহার নামটি মনে পড়িতেছে না। অন্য কোন কোন হিন্দু শিক্ষিত ভদ্রলোকদের সম্বন্ধেও এইরূপ কথা শুনিয়াছি। যাহা হউক, এখন ধনী দরিদ্র উচ্চ নিম্ন সকল শ্রেণীর সকল বালিকার লেখাপড় ও নৈতিক শিক্ষার বন্দোবস্ত হওয়া একান্ত আবশ্বক । রাষ্ট্রীয় সংগ্রামের উত্তেজনায় ইহা ভুলিয়াথাকিলে বড় অকল্যাণ হইবে । বাংলা দেশের মত যে সব প্রদেশে নারীনির্যাতন অধিক হয়, সেখানে অবিবাহিত বালিকাদের এবং অন্য নারীদের রক্ষণবেক্ষণের জন্য পুরুষদের অধিক দলবদ্ধ ও সাহসিককৰ্ম্মশীল হওয়া দরকার। বঙ্গে নারীনির্যাতন সে দিন বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় শ্ৰীযুক্ত বিজয়ী চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও সুধাংশুমোহন বস্থর বক্তৃতায় বঙ্গে নারীনির্যাতনের আধিক্যের প্রতি দৃষ্টি আকষিত হয়। সরকারী সভ্য মিঃ মোবালী বলেন, যে, নারীদের উপর অত্যাচার যাহা হয় তাহা বিবিধ প্রসঙ্গ -বিলাতী মেডিক্যাল কেন্সিলের ঔদ্ধত্য AS AMMMAMMMMMBAMMA AMMMMMM MMMMMeMAM MMMMMMM MMMMM MMMMAMMA AMMA M AeMAAA AAAA AAAAMA SAMMMAMMMAMeMMAMMMMMMMMMMMMiASAMMMAAA AAAA SAAAAA AAAA SAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA ১৭৩ দুঃখের ও চিন্তার বিষয় বটে, কিন্তু বঙ্গের আয়তন ও লোকসংখ্যা বিবেচনা করিলে এরূপ অত্যাচারের সংখ্যা বেশী নয় । আমাদের বিবেচনায় ইহা তাহার ভ্ৰম । ব্রিটেনের লোকসংখ্যা বঙ্গের প্রায় সমান । সেখালে নারীহরণাদি অত্যাচার কত হয় ? পাশ্চাত্য কোন কোম দেশে পুরুষ নারী উভয় পক্ষের সম্মতিজাত দুনীতি হয় ত বেশী, কিন্তু বঙ্গে, সিন্ধুদেশে, পঞ্চাবে, কাঠিয়াবাড়ে, রাজপুতানায় ও অন্য কোন কোন অঞ্চলে যে প্রকারের অত্যাচার হয়, পাশ্চাত্য ঐ সব দেশে তাহা হয় না । মোবালী সাহেব বলিয়াছেন, গবন্মের্ণ প্রতিকার চিন্তা করিতেছেন, এবং এইরূপ অপরাধ নিবারণের কোন উপায় কব যায় কিন পুলিসের ইনস্পেক্টর-জেনার্যালের সহিত সে বিষয়ে পরামর্শ হইতেছে । ফল কি হয় দেখা যাক । প্রাথমিক শিক্ষা বিল বঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা বিল প্রত্যাহার করিয়াছেন। তাহার প্রধান কারণ, সিলেক্ট কমিটি উহ! সংশোধন করিয়া শিক্ষর কর্তৃত্ব গবন্মেন্টের হাত হইতে লইয়া একটি বোর্ডের হাতে দিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন । সরকার বাহাদুর চান, প্রজারা শিক্ষার জন্য নূতন ট্যাক্স প্রদান করুক, কিন্তু কৰ্ত্তত্ব তাহার করিতে পারিবে না । অতঃপর একটা নুতন বিল পেশ হইবে । বিলাতী মেডিক্যাল কেন্সিলের ঔদ্ধত্য বিলাতী মেডিক্যাল কোন্সিল চাহিয়াছিলেন, ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সকলের চিকিৎসা বিদ্যাশিক্ষার বন্দোবস্ত একজ ইংরেজ ডাক্তার পরীক্ষা করিবেন। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভা তাহাতে রাজী না হওয়ায় উক্ত কৌন্সিল চিকিৎসাবিদ্যায় ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের উপাধিগুলি গ্রাহ করিবেন না স্থির করিয়াছেন । ব্রিটেন ও আয়ার্ল্যাণ্ডের বাহিরে কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষার বন্দোবস্ত পরীক্ষা করিবার অধিকার কোন আইন অনুসারে ব্রিটিশ মেডিক্যাল কৌন্সিলের নাই । কিন্তু যাহাদের প্রভুত্ব থাকে, তাহদের অধিকার না থাকিলেও তাহার কর্তৃত ফলায় । ব্রিটিশ কৌন্সিলের এই জুলুমে আমাদের ডাক্তার গ্রাজুয়েটরা চিকিৎসাবিষয়ক ব্রিটিশ উপাধি পাইবে না, উপাধিলাভের পর ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষা পাইবে না, এবং চাকরী ( বিশেষতঃ ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিসের ) পাইবে না। কিন্তু ইউরোপের