পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b-8 بیبیسیم. শিষ্যসেবকের অধিকাংশই গরীব চাষী ; তাহারা কলাটা মূলাটা হাতে করিয়া যখন গুরুদর্শনে আসে, তখন গুরুপত্নী অন্তরে অন্তরে শিহরিয়া উঠেন। কেন না, একখানা আঙট কলাপাতে যে পরিমাণ অন্ন তাহারা প্রসাদ পাইয়া থাকে, তাহার তুলনায় কলামুলা ও তাহার সঙ্গে প্রণামীস্বরূপ দু-একটি সিকি, দুয়ানী কিছুই আহুকুল্য করিতে পারে না। তথাপি ভক্তির আদানপ্রদানে এটুকু বহন করিতেই হয়। পুত্র গদাধর গ্রামের মাইনর স্কুলের উচ্চশ্রেণী অবধি অতি কষ্টে উঠিয়া এবং তথায় দুই বৎসর একই ভাবে অবস্থান করিয়া সহসা একদিন গৃহে আসিয়া বই খাতা উঠানের মাঝখানে আছড়াইয়া ফেলিয়া জননীকে জানাইল,—এ ভাবে বৃথা ভূতের বেগার পাটিতে সে রাজি নহে। তাহার চেয়ে বরং,—অঙ্গুলি সঙ্কেতে গৃহসংলগ্ন বেণুকুঞ্জ দেখাইয়া কহিল,—ছিপ কেটে মাছ ধ’রে খাব, সেও ভাল । AAAAAA AAAA AAAAA ভবিষ্যতে মৎস্যমুগু ভক্ষণের আশা আপাতত ঐ এক টুকরা কঞ্চির সাহায্যে সফল হইবে ভাবিয়া জননী হয়ত মনে মনে পুলকিত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু প্রকাশ্বে কহিলেন,—ওমা ! মুখপোড়া মাষ্টারের আঙ্কেল দেখ না ! এবারও উঠিয়ে দিলে না ? পুত্র একটু কষ্টস্বরে বলিল,-উঠিয়ে আবার দেবে কোথায় ? একেবারে মগডালেই ত উঠে আছি ! পরম বিস্ময়ে চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া জননী বলিলেন, —তবে ? পুত্র বলিল,—তুমি কিছু বোঝ না,—চুপ কর। ’মাইনর পাশ করতে হবে না ? জননী বলিলেন,—ওঃ,—মাইনর পাশ করবি ! তা হরি মাষ্টারকে উনি না হয়—একবার বলে ক’য়ে— পুত্র বলিল,-এ যেন ঘণ্টা নেড়ে পূজো করা, তাই বলে ক’য়ে দিলেই চুকে যাবে! লেখার নম্বর আছে— জান! তাই যে কেটে নিয়েছে,--তার পাশ হব কি দিয়ে ? : জননী হাসিয়া কহিলেন;–আচ্ছা আচ্ছা, সে ভার অামার। কাটা নম্বর জুড়ে দিতে কতক্ষণ ! নৈলে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ AeAMASASASA AAA AAAAAASAAAA AAAA AAAA SASAASAAAS মনসা পুজো,—লক্ষ্মী পূজে, ষষ্টী পূজো কে এসে ক’রে যায় একবার দেখে নেব না ?—বলিয়া আপন বৃহৎ নথটি নাড়িয়া পুত্রকে অভয় দিলেন। পুত্র মাথা নাড়িয়া বলিল,—তুমি যদি কিছু বল ত আমি ঘরবাড়ী ছেড়ে একদিক পানে দৌড় দেব। বলছি পড়াশুনো আর করবো না,—তবু বকর বকর— । জননী অতঃপর কোন কথা না কহিয়া বোধ করি মনে মনে হরি-মাষ্টারের মুগুপাত করিতে করিতে গৃহকৰ্ম্মে মনঃসংযোগ করিলেন। দ্বিপ্রহরে সনাতন স্ত্রীর মুখে সমস্ত শুনিয়া পুত্রকে ডাকিলেন । একটি সরল কঞ্চির অগ্রভাগ ছুরি দ্বারা পরিষ্কার করিতে করিতে সে আসিয়া দাওয়ার নিম্নে দাড়াইল । সনাতন গম্ভীর কণ্ঠে বলিলেন,—স্কুল ত ছেড়ে দেওয়৷ হ’ল,—এখন করবে কি শুনি ? গৃহিণী তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিলেন,—ষাট—ষাট ! দুধের ছেলে, এর মধ্যে আবার করবে কি! আরও দু’চার বছর যাক । সনাতন তাহাকে ধমক দিয়া বলিলেন,—তালুকমুলুক জমিজমা আছে কি না, তাই করবে আবার কি ? তুমি থাম। মাছ ধরলে দিন চলবে না,—বুঝেছ ? আর এক বছর পড় গিয়ে । পুত্র অবাধ্য ঘোটকের মত ঘাড় বাকাইয়৷ উত্তর দিল,—ও-স্কুলে আর যাব না । --মাষ্টার— —বড় এক-চোকো, নয়? ও কথা ওইখানে বুঝিও বাপু । তবে এটা ঠিক জেনো, বসে অন্ন আমার ঘরে কেউ পাবে না। কাল থেকে আমার সঙ্গে বেরিও, শিষ্যবাড়ী নিয়ে যাব। ঘাড় গুজিয়া সে চলিয়া গেল । রাশভারী কৰ্ত্তার সম্মুখে গৃহিণীও আর উচ্চবাচ্য করিলেন না। বহুক্ষণ পরে একবার অফুট স্বরে বলিলেন,—দেখ, ছেলেমাকুয—অত ইটিতে পারবে কি ? . সনাতন অস্তুত এক হাসি হাসিয়া বলিলেন,—তাই তো