পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ! মরুচারিণী $8$ বাকী, তোমার দাদার জমিও নিড়িয়ে দিয়েছি—আরও দু'মাদা জমি বাকী আছে—সেটা শেষ করে বাড়ী ফিরব । হিরণ স-প্রশংস দৃষ্টিতে লোকটিকে একবার দেখিয়া লইল । তারপর নীরবে থালবাসনগুলি লইয়া টোকা মাথায় দিয়া পীরে ধীরে বাড়ীর দিকে চলিয়া গেল ! ঢালু রাস্তা বহিয়া সমস্ত গ্রামের বর্ষণের জল প্রবলবেগে একটি ডোবার মধ্যে গিয়া পড়িতেছে--সেই জলের মধ্যে ঠাঢ় পৰ্য্যস্ত ডুবাইয়। ডুবাইয়। হিরণ পথ চলিতে থাকে। সেদিন সকাল হইতে বৃষ্টি আরম্ভ হইয়াছে। সন্ধ্যার দিকেও বৃষ্টি আর কমিল না। রাস্তাঘাট পুকুর ও ডোবাগুলির সঙ্গে মিতালি স্থাপন করিল। চারিদিকেই জলস্রোত অার অবিরলধারে বর্ষণ—াহরণ তাহারই মধ্যে সমস্তদিন ধরিয়া অনেক কাজ করিয়াছে ; সন্ধ্য হইলে একটি কলসী লইয়া দীঘির দিকে জল আনিতে চলিল । কুষ্টির মধ্যে কাজ করিয়া হিরণ আনন্দ পাইত । দীখি হইতে জল লইয়া বাড়ী ফিরিতে সন্ধ্য শেষ হইয়। রাত্রি হইল । ছোট পথখানির দুইদিকেই ঘন বঁাশের বন । বর্ষার জলে ঝড়ে বঁাশগুলি প্রায় রাস্তার উপর আসিয়া পড়িয়াছে। রাত্রির অন্ধকারে পথঘাট কিছুই দেখা যায় না। বাশের কঞ্চি গুলির স্বশ্ব অগ্রভাগ মাঝে মাঝে মুখে আসিয় লাগে। হিরণ অতি সন্তপণে সেই অন্ধকারের মধ্যে পথ চলিতেছিল। সে দীঘিতে আসিবার আগে ভাবিয়াছিল, হয় ত কোনো সঙ্গিনীকে পাইবে । কিন্তু তাহার মত বৃষ্টিতে ভিজিয় কাজ করার সৰ্থ অতি অল্প লোকেরই আছে । ঘাটে বা পথে কাহারও দেখা সে পাইল না। অনেকখানি পথ এই বাশবনের মধ্য দিয়া অতিক্রম করিতে হুইবে । এক একবার জোরে বাতাস বয়—সমস্ত বঁাশবন যেন একটি প্রকাগু.-কালো দৈত্যের মতো গভীর গর্জনে সে সে। করিয়া ফুলিতে থাকে ; অতি সাহসী হিরণেরও আজ যেন হৃৎকম্প হইতেছিল ; মাঝে মাঝে সমস্ত শরীরে কাটা দিয়া উঠিতেছিল। প্রতি মুহূৰ্ত্তেই তাহার মনে হইতে লাগিল বুঝি বা এক কৃষ্ণকায়া প্রেতিনী তাহার সম্মুথে বাশের ডগার মতো স্বদীর্ণ হস্ত প্রসারিত করিয়া খোন খোন গলায় তাহাকে ডাকিতেছে। একবার

ግ÷¢

AMAAA AAASA SAASAASSAAAAAAMMMAMAMAMSAASAASAASAASAAASAAA SAS SSAS SSAS SSAS মনে হইল কল্পীট নামাইয়। রাখিয়া দৌড়িয়া বাড়ী পলায়। আবার কাল সকালে আপিয়া কল্পটি লইয়া যাইবে । কিন্তু কিছুতেই কলসী নামাইতে পারে না । কে যেন কলসীর সঙ্গে তাহার হাতখানি দড়ি দিয়া বাধিয়। ফেলিয়াছে। পথও অত্যন্ত পিছল । অতি সস্তপণে চলিতে হয়। কলসী নামাইবার কথা দূরে থাকুক, সে সেই পিছল পথেই. প্রায় দৌড়াইয়া চলিতে লাগিল । কলসীর জল ছলাং ছলাং করিয়া প্রায় অৰ্দ্ধেকের উপর পড়িয়া গেল। জল ঢালিয়। ফেলিয়া যে, কলসী লইয়া ছুটিবে এমন সাহসও হইল না । —খটাং খঙ ! - পরক্ষণেই হুড়হুড় করিয়া কলসী হইতে সব জল পড়িয়া গেল ! কি করিয়া যে কলসী ভাঙিয়া গেল, হিরণ তাহা বুঝিতেই পারিল না। কলসীর দিকে তখন আর কে চাহিয়া দেখে ! ভয়ত্রস্ত হিরণ উৰ্দ্ধশ্বাসে ছুটিতে আরম্ভ করিল। সম্মুখে বোধ হয় ঢালু পিছল পথ—সেখানে সে পা হড় কাইয়া মাটির উপর পড়িয়া গেল । কোথায় যেন গুরুতর আঘাত লাগিয়াছে! সমস্ত শরীর অবসর, মাথা ঝিম্ ঝিম্ করিতেছে –বোধ হয় এখনি চোখের সম্মুখ হইতে বিশ্বসংসার লোপ পাইবে! কে যেন প্রবল শক্তিতে তাহার সমস্ত নিঃশ্বাসবায়ুকে চাপিয়া ধরিয়াছে। হিরণ প্রাণপণ বলে চীৎকার করিয়া উঠিল, কিন্তু কণ্ঠ হইতে স্বর নির্গত হইল না। শুধু একটা ঘড় ঘড় শব্দ উঠিতে লাগিল। কে যেন নিদারুণ বলে তাহার গল চাপিয়া ধরিয়াছে। চোপের সম্মুখে ধীরে ধীরে নিবিড় অন্ধকার ঘনাইয়া আসিল । হিরণের ংজ্ঞ লুপ্ত হইল । - মাধবচন্দ্র খুব ভোরেই শঘ্যাত্যাগ করিতেন এবং প্রত্যহ মাঠের দিকে বেড়াইতে যাইতেন। বর্ষার দিনে খালিপায়ে একটি ছাতা ও একটি লাঠি লইয়া মাঠে মাঠে .যুরিয়া গ্রামে প্রবেশ করিতে যাইবেন, এমন সময় দেখিলেন, বটগাছের নীচে একটি বৈঁচীবনের পাশে কে একজন শুইয়া আছে। তপন সবে সকাল হইয়াছে । বর্ষ না হইলে বোধ হয় স্বৰ্য্য উঠিত । তিনি সেদিকে