পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՀ8 করিয়া এক বিঘা কি দুই বিঘা জমিতে বাগান করা যাইতে পারে। কলাগাছ লাগাইলে এক বৎসরেই তাহার ফল হয়, একটা কলাগাছে বৎসরে আট আনা আয় হয়। নারিকেল ও স্বপারি গাছ খুব লাভজনক ; একটা নারিকেল গাছে বৎসরে পাচ টাকা ও একটা স্বপারি গাছে এক টাকা আয় হয়। এইরূপে দুই বিধা জমিতে যদি একশত নারিকেল গাছ, ও দুইশত সুপারি গাছ লাগান যায়, তবে দশ বৎসর পরে, বছরে অন্ততঃ পাচশত টাকা লাভ হইবে। এইরূপে ক্ষেতের ফসল ও বাগানের ফল ভিন্ন গ্রামে বসিয়া একজন শিক্ষিত যুবক আরও নানা রকমে আয় বৃদ্ধি করিতে পারেন। প্রায় অধিকাংশ গ্রামেই ভাল স্কুল নাই । তিনি যদি একটা স্কুল করেন, তবে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড র্তাহার দ্বারা গ্রামে শিক্ষাবিস্তারে দেশের উপকার করা হইবে, সঙ্গে সঙ্গে নিজেও মাসে অস্ততঃ দশ টাকা উপার্জন করিতে পারিবেন। ইহার সঙ্গে আবার তিনি যদি কবিরাজী অথবা হোমিওপ্যাথি পুস্তকাদি অধ্যয়ন করিয়া রোগীর চিকিৎসা আরম্ভ করেন তাহা দ্বারাও নিজের আয় বৃদ্ধি ও দেশের উপকার করা হইবে। এইরূপে একজন উদ্যমশীল ও শ্রমসহিষ্ণু যুবকের পল্পীগ্রামে অনেক প্রকার অর্থোপার্জনের পথ রহিয়াছে। তাহাকে কেবুল চাকুরির মোহ ও সহরের মায়া ত্যাগ করিতে হইবে। আমাদের শিক্ষিত যুবকগণ পল্লীগ্রামে বাস করিলে তাহারা পল্লীগ্রামের ও পল্লীবাসিগণের অশেষবিধ কল্যাণসাধন করিতে পারিবেন। দেশের বৰ্ত্তমান অবস্থায় ইহার চেয়ে বড় কাজ আর নাই । ص-چت=ss- تاتی حاجتے মায়ের প্রতি শ্ৰীমতী স্নেহমুধা গুপ্ত এই বিংশ শতাব্দীতে, সভ্যতার যুগে বাংলা দেশে মেয়েদের অবস্থা যে-রকমটি দাড়িয়েছে, এমন আর বোধ হয় কোনও দেশে হয়নি। দেশ অরাজক হলে অথবা সহস্ররাজক হ’লে মেয়েদের এরকম অবস্থা হওয়া আশ্চৰ্য্য নয়। কিন্তু আমরা কি অরাজক রাজ্যে রয়েছি ? দশটি ছৈলে একত্র হয়ে একটি ক্লাব অথবা লাইব্রেরী করলে রাজার পক্ষ থেকে খোজ নেওয়া হয়, তারা কোনও মন্দ কাজ করছে কি না ; কোনও যুবক অবিবাহিত থেকে নিজের উপার্জনের টাকা যদি দেশসেবায় দেয়, তাহলে রাজার পক্ষ থেকে তার কৈফিয়ং চাওয়া হয়—যে তার উপার্জনের টাকা জীবিতদের জন্য খরচ না করে সামান্য জড়পদার্থের জন্য খরচ করছে কেন ? তবু আমাদের মেয়ের রাত্রে নির্ভয়ে ঘুমতে পারে না কেন, দুইদের এত স্পৰ্দ্ধা কেন হয়েছে যে, তারা সহরের বুক থেকে ভজঘরের মেয়েদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় । নিজেদের দুর্দশ ঘোচাবার ভার নিজেদের নিতে হবে । রাজার উপর রাগ করে বা অভিমান করে একাজের ভার নিলে চলবে না—নিজেদের প্রাণ নিয়ে টানাটানি, সেই প্রাণের টানে মেয়েদের দুর্দশা ঘুচাবার কাজ ও দুষ্টকে দমন করবার কাজ নিতে হবে । এ-বিষয়ে আমাদের খুব ভাল করে ভেবে-চিন্তে কাজ করা দরকার। উত্তেজনাপূর্ণ কথায় বা শুধু উত্তেজনায় মেতে হৈ চৈ করে,—সভা ক’রে এ-বিষয়ে যে খুব সফলতা লাভ করা যাবে তা নয়। বাঙালী আজকাল বোধ হয় খুব উত্তেজনাপ্রিয় হয়েছে। যে-বিষয়ে উত্তেজনা আছে তাতে মেতে শত শত যুবক হৈ চৈ করতে প্রস্তুত আছে, কিন্তু ক্ষীণদৃষ্টি, ভগ্নস্বাস্থ্য বৃদ্ধকে নেতা করে মুষ্টিমেয় মাত্র দেশের লোক উত্তেজনাহীন নারীরক্ষা-কার্য্যে ব্রতী হয়েছে। যে-সকল বৃদ্ধ নারীরক্ষার জন্ত উঠে পড়ে লেগেছেন তারা আমাদের পূজনীয় ও নমস্ত ; আর তাদের