পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAAMAMAMMMMAAASAASAASAASAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAAMM AMASAMAAA AAASS সঙ্গে র্যারা এই কাজে নেমেছেন তারাও আমাদের শ্রদ্ধেয়, কিন্তু দেশের যুবকর। যদি মিলিতভাবে তাদের সাহায্য না করেন তবে তারা আর কত করবেন ? নারীরক্ষা কাধ্যে শুধু যুবকেরা মিলে কাজ করলেও চলবে না, শুধু বৃদ্ধর মিলে কাজ করলেও চলবে না, বৃদ্ধদের পরামর্শ নিয়ে যুবকরা যদি মিলিতভাবে কাজ করেন, তাহলে কাজ অগ্রসর হতে পারে। যে দেশের যুবকদের নারীরক্ষার ক্ষমতা নেই, ইচ্ছাও নেই, তাদের কাছে কাজুনি গাওয়া মেয়েদের পক্ষে অতিশয় ঘৃণা ও লজ্জার কথা । প্রথমেই বলা হ’য়েছে, নিজেদের দুর্দশ ঘোচাবার ভার নিজেদের নিতে হবে । নিজেদের নিতে হবে মানে, মেয়েদেরই নিজেদের রক্ষাকার্য্যে মন দিতে হবে । দেশের লোক এ কাজে মন দিতে ইচ্ছুক নয়, যে কয়জন বৃদ্ধের উৎসাহে একাজ চলছে তারাও অমর লন ; কাজেই মেয়েরাই যদি নিজেদের রক্ষাকাধ্যে মন না দেন, তাহলে তাদের দুর্দশ বেড়েই চলবে। আর শুধু পরের উপর নির্ভর করলে কোন কাজই স্বসম্পন্ন হয় না। অপরে আমায় রক্ষা করবে ভেবে যদি গা ঢেলে দিয়ে বসে থাক! যায় তাহলে কেউই রক্ষণ পায় না, বঙ্গনারীরাও রক্ষা পাবেন না । বঙ্গনারী নিজের রক্ষার দিকে মন না দিলে শুধু আজ ৰঙ্গদেশের সমস্ত পুরুষের সমবেত চেষ্টাতেও র্তাদের দুর্দশ ঘুচবে না, একথা ঠিক। আত্মরক্ষার জন্য মেয়েদের লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা খুবই দরকারী, কিন্তু আমি এখানে মেয়েদের অস্ত্রব্যবহার-শিক্ষার আগে তাদের আত্মরক্ষার জন্য যে অন্য শিক্ষার দরকার তারই কথা বলব। প্রত্যেক মাকে এই শিক্ষার শিক্ষয়িত্রী হতে হবে। মেয়ের পক্ষে মায়ের মত উপযুক্ত শিক্ষয়িত্রী ও রক্ষয়িত্রী আর কে হতে পারেন ? দুষ্ট লোকে তো দুৰ্ব্বত্তত করবেই। "উপদেশে কখনও কি সাধু হয় খল ?” প্রত্যেক মা যদি মেয়েদের কতকগুলি বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে সাবধান করে দেন, আর মেয়েদের রক্ষার বিষয়ে নিজেরাও যথেষ্ট সাবধান হন, তা হলে মেয়েদের প্রতি অত্যাচার অনেকটা কমতে পারে । আমার যতদূর মনে হয়, মায়েদের অনভিজ্ঞতা &みー● AASAASAASAASAASAASSAAAAAAS AAAASS ミaを ও অসাবধানতার জন্যই অনেক স্থলে মেয়ের নিগৃহীত হচ্ছে। সংবাদপত্রে কয়েকটি নারীহরণের বৃত্তান্ত পড়ে মনে হয় অভিভাবকের অসতর্কতা ও উদাসীনতার জন্যই ঐ সৰ্ব্বনাশ ঘটেছে, আর মায়েদের কাছ থেকে কোনও রকম উপদেশ ও শিক্ষা পায়নি বলেই কোনও কোনও সরলমতি মেয়ে তাদের কি সৰ্ব্বনাশ হচ্ছে তা না বুঝেই দুষ্টের ফদে ধরা দিয়েছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ-আইন জারি হওয়ায় অতঃপর আগেকার চেয়ে বেশী বয়সের কুমারী মেয়ে বাড়ীতে বাড়ীতে থাকবে । সেইজন্তও মা এবং মাতৃস্থানীয়াদের এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করছি। এ তে বিশেষ কারও ঘরের কথা নয়, প্রত্যেকের ঘরেই মেয়ে আছে, প্রত্যেকেরই প্রাণ নিয়ে টানাটানি । যে-সব মেয়ের সবে বড় হয়ে উঠছে তারাই বেশী নিগৃহীত হচ্ছে, তাদের সম্বন্ধে মেয়েদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে বিশেষভাবে সাবধান হওয়া দরকার – ( ১ ) মেয়ে যে বড় হয়ে উঠছে সে বিষয়ে তাকে সচেতন করে দিতে হবে । (২) মেয়েদের গতুিবিধি সম্বন্ধে অতিশয় সতর্ক থাকতে হবে । (৩) পুরুষের, বিশেষতঃ অনাত্মীয় পুরুষের সঙ্গে কি ভাবে মিশতে হবে তা মেয়েকে বলে দিতে হবে, আর তাদের মেশামেশির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। (৪) পোষাক-পরিচ্ছদের শালীনতার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মেয়ের বার বছর পূর্ণ হলেই তাকে বলে দেওয়া দরকার তার চালচলন বদলাবার সময় এসেছে। অনেক পিতা মাত মনে করেন যে, মেয়ে যতদিন ছোট আছে, থাক, এর পর সংসারের ঝঞ্চাট ঘাড়ে পড়লেই আপনিই বুঝবে যে, সে আর খুকীট নেই। এ ভাবটি হওয়াই স্বাভাবিক। আমাদের দেশের মায়ের নিজেদের বালিকা ও বধূজীবন স্মরণ করে মেয়েদের যে এরকম করুণার সঙ্গে বিচার করবেন, তার আর বিচিত্র কি ? কিন্তু কোনও জিনিষেরই আতিশয্য ভাল নয়, স্নেহের আতিশষ্যও ভাল নয়। মেয়ের বার বছর পূরলেই যে তাকে সমস্ত বালিকাস্কলভ আমোদ-আহ্লাদ ছেড়ে চুপ করে লক্ষ্মীর বাহনটির