ર8ર প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭ [ ૭૦માં ভাগ, ১ম સંહ নিম্নস্থানে আসিয়া পড়িয়াছে। তাহ বলিয়া এমন কথা বলা যাইতে পারে না যে, এই স্বকুমার মগুণ-শিল্প ভাবগ্রাহীর স্বক্ষদৃষ্টিতে এবং সহৃদয় সমালোচকের নিকট অন্ত কোনও শিল্পের তুলনায় দ্বিতীয়স্থান অধিকার করে। যদি এই মত সত্য বলিয়া মানিয়া লওয়া যায় তাহা হইলে সৰ্ব্বযুগে, সভ্যাসভ্য সৰ্ব্বজাতি জীবনে সৰ্ব্ববিষয়ে, এমন কি সকল কাজে এই মগুণ-প্রেরণার ডাকে যে প্রাণভরিয়া সাড়া দিয়া আসিয়াছে, তাহ সেই সকল জাতির শিল্পসভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করিলেই বোঝা যাইবে। তবে “ভিন্নরুচিহি লোকঃ।” দেশকালপাত্র ভেদে প্রাকৃতিক ও পারিপাশ্বিক অবস্থাভেদে ও এই মগুণবুদ্ধির অভিব্যক্তির স্তরভেদে সৌন্দৰ্য্যরচনা যে অদ্ভুত বৈচিত্র্যময় এবং বিভিন্নমুখী হইবে তাহার আর আশ্চৰ্য্য কি ? Yrjo Hirn fSTfCEF : Man endeavoured to create a representation of God, a receptacle of the divine spirit, by means of which he may enter into relations with the divinity. Alongside with this endeavour, however there can be always observed another tendency which has been of scarcely less importance in the history of art—the effort to flatter and propitiate the divinity. Thus the ornamental art which is lavished in the decoration of temples may in most cases be interpreted as homage to the God who is believed to inhabit the temple or to visit it.” + প্রাচীন ভারতবর্ষীয়গণের শিল্পরচনার মধ্যে এই বিশ্বজনীন সনাতন পদ্ধতির কোনও ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায় না। বরং তাহারা এই সৌন্দৰ্য্যসংস্কারের আহানে আপনাদের জীবনের সকল অমৃভূতি ও হৃদয়ের সকল আকুলতা লইয়া সাড়া দিয়াছিল, এবং ফলস্বরূপ সমগ্র জাতীয় জীবন এক অপুৰ্ব্ব রূপলোক স্বষ্টি করিয়াছিল। “যাহার প্রস্তর মূৰ্ত্তির , নিৰ্মাণ-ব্যাপারে গ্রীক আদর্শের প্রভাব স্বীকার করিতে দ্বিধা বোধ করেন না, তাহারাও এই প্রসাধক কলা-কৌশলের মৌলিকতা যে ভারতীয় ভাস্করের নিজস্ব, তাহা অসঙ্কোচে প্রকাশ করিয়া থাকেন। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সর্বাধ্যক্ষ স্তত্ব
- . Origins of Art, Encyclopaedia of Religion and Ethics, Wol. I, 819,
--- জন মার্শাল মহোদয় মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন যে, যে অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যবোধ ও শোভা সম্পাদন কুশলতা ভারতীয় শিল্পের প্রথম হইতে শেষ পৰ্য্যস্ত বিদ্যমান, তাহা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত, বিদেশীয়ের নিকট ঋণস্বরূপ গৃহীত নহে।”* সেই যুগের শিল্পীরা, সৌন্দর্য্যের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিবার জন্য ও আপনাদের আধ্যাত্মিক জীবনের পূর্ণবিকাশ ও পরিপুষ্টির জন্ত, কেবলমাত্র ধ্যানগম্য যে রসলোক, সেখান হইতে নানাবিধ রসব্যঞ্জনার আধারস্বরূপ উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। বস্তুতঃ মণ্ডণশিল্পের সাধনায় তাহীদের প্রতিভা যেন সবিশেষ ভাবে ফরিত হইবার অবকাশ পাইয়াছিল। আপনাদের সরল ও পবিত্র হৃদয়ের ভক্তি ও প্রীতি ভগবানকে নিবেদন করিবার জন্যই যেন তাহার একান্তভাবে এই শিল্পের সাধনা করিয়াছিল। তাহার এতদূর একাগ্র ও তদ্গতচিত্তে মূৰ্ত্তি ও মন্দিরাদি নানাবিধ সুচারু অলঙ্কারে ভূষিত করিত যে, সময় সময় যেন অলঙ্কার ও স্থাপত্যের সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে পারিত না । এমন ভক্তশিল্পের কল্পনাপ্রস্থত অসাধারণ কলাকৌশল যে দেবমন্দিরের নিরস কঠোর পাষাণগাত্রকে অসংখ্য রমণীয় চিত্র ও নয়নাভিরাম জটিল অলঙ্কারের আতিশয্যে এবং আলো ও ছায়ার সমাবেশে যে অপূৰ্ব্ব শ্ৰী ও সৌন্দৰ্য্যমণ্ডিত করিবে তাহাতে আর সন্দেহ কি ? সুচতুর ও স্বদক্ষ শিল্পী যেন আপনার অভীষ্ট দেবতার প্রতিকামনায় আপনার বহুকষ্টার্জিত বিদ্যাসম্ভার ও জীবনের সমগ্র শিল্পসম্ভার পূজার অর্ঘ্যরূপে দান করিয়াছিল। প্রাচীন ভারতের মহামানবের দেবায়তনগুলি তাহার রসামুভূতির পূর্ণ বিগ্রহ। সাধক যেরূপ আপনার ইষ্টদেবতাকে প্রসন্ন করিবার জন্য পুনঃ পুন: ইষ্টমন্ত্র জপ করিয়া থাকে এবং সেই নামজপের ধারা যেমন তাহাকে সেই দেবতার সান্নিধ্যে লইয়া যায় ঠিক সেই ভাবেই অনুপ্রাণিত হইয়া প্রাচীন ভারতের রূপকার অসংখ্য চিত্র পুনঃ পুনঃ প্রবর্তিত করিয়া মন্দিরগাত্র আলোকিত ও উদ্ভাসিত করিয়াছিল। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যেও যে অনুপ্রাস ও অলঙ্কারের বাহুল্য দেখা যায়, তাহার
- ७क्रमांन नद्रकांद्र-भनिन्द्रब्र कथा, एउँौब्र १७, श्रृं: *७७