পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] উড়িষ্যার মগুণ-শিল্প २8७ মূলেও এই শোভাসম্পাদনপ্রবৃত্তির ক্রিয়া দেখিতে পাওয়া যায় । ভারতবাসীর মধ্যে আবার প্রাচীন উৎকলবাসিগণ তাহাদের রচিত সুচারু ও রমণীয় বিচিত্ৰ অলঙ্কার চিত্র ৯। র্যাদ গ্রস্থি, মুক্তেশ্বর মন্দির ,w క్క్లో )ب( င္ကို চিত্র ৮ । চৈত্যবাতায়ন, ত্রহ্মেশ্বর মন্দির, ভুবনেশ্বর, খৃঃ একাদশ শতাব্দী খচিত সুমহান মন্দিরগুলির জন্য সৰ্ব্বাপেক্ষা বিখ্যাত । মওণশিল্পের সাধনায়, ইন্দ্রজাল প্রভাবে তাহারা যে কত অগণিত সৌন্দৰ্য্যমালা রচনা করিয়াছিল,—কত নব নব রূপ ও রেখার সমন্বয়ে অপরূপ অলঙ্কার স্বজন করিয়াছিল, তাহার বিস্তৃত বিচার ও আলোচনা এই সামান্য প্রবন্ধের বিষয় নহে। কিন্তু তথাপি ইহা অকুষ্ঠিত চিত্তে বলা যাইতে পারে যে, প্রাচীন উড়িয়া-শিল্পী এই ক্ষেত্রে একেবারে সৰ্ব্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়াছে। প্রাচীন উৎকলবাসী পাষাণশিল্পে যে নৈপুণ্য ও চাতুৰ্য্য দেখাইয়াছে তাহা জগতের শিল্পকলা-রাজ্যে এবং শিল্পকলার ইতিহাসে চিরদিনই একটী বিশিষ্ট স্থান REZSEలEEZటెమ్బ్రోలలలasrac চিত্র ১১। বনলতা, সুৰ্য্য দেউল, কোণারক অধিকার করিবে । এই কারুকাৰ্য্যে বিশেষভাবে চিত্ৰালঙ্কার ও রূপসৌন্দর্য্যের বাহুল্য পরিলক্ষিত হয়। উড়িয়া-শিল্পী নব নব রূপের কল্পনা করিয়া এবং নব নব মূৰ্ত্তি অঙ্কিত করিয়া যে আনন্দ লাভ করিত তাহা বোধ হয় আর কোন জাতি এই শিল্পের সাধন হইতে লাভ করিতে পারে নাই। এই শিল্প-সাধনা তাহার জীবন-ধারার সহিত ওত:প্রোতভাবে এমনই মিশিয়া গিয়াছিল যে, তাহদের চিত্তের সমগ্র ভাব-ধারা নয়নাভিরাম অলঙ্কার-ধারারূপে প্রকাশিত হইত। উড়িয়া-শিল্পী কেবলমাত্র কাল্পনিক চিত্রচাতুৰ্য্য দেখাইয়াই ক্ষান্ত হয় নাই। দেবমন্দিরকে শ্রী-সম্পদে ও শোভার ঔজ্জল্যে ভূষিত করিবার জন্য প্রাচীন চিত্র ১• । ফুল লতা, রাজারাণী মন্দির, ভুবনেশ্বর, খৃঃ একাদশ শতাব্দী আসিরীয়গণের ন্যায় সে প্রাণী-জগতেরও আশ্রয় লইয়াছে। সেখান হইতে আপনার রূপতৃষ্ণার ও রূপকল্পনার উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছে। যে দৃষ্টি বস্তুর বহিরাবরণ ভেদ করিয়া তাহার গঠনভঙ্গীর অস্তরালে