২য় সংখ্যা 3 উড়িার দণ্ড শিল্প ૨86 The craftsmen's designs are not content with a mere artistic appeal to our sense perceptions in a peculiarly happy disposition of lines and forms but are also informed, imbued and Scintillating, as it were, with an infinite variety of national ideas and beliefs, religious or mythical, which it would be difficult to find in their artistic clements alone.” আর একজন স্বপ্রসিদ্ধ শিল্পশাস্ত্রজ্ঞ এতদূর পৰ্য্যন্ত ইঙ্গিত করিয়াছেন যে, কেবলমাত্র বিশুদ্ধ সৌন্দর্য্য-শিল্পের প্রেরণা হইতে মগুণ চিত্রগুলির উদ্ভব হইয়াছিল তাহা নহে ; এবং তিনি আরও বলেন যে, এই চিত্রগুলির মধ্যে যতটুকু সনাতন ও অপরিবর্তনীয়, ঠিক ততটুকুই রূপকভাবে প্রযুক্ত এবং যতটুকু পরিবর্তনশীল তাহাই মাত্র তাহার বহিরাকৃতি । In thc pro-animistic conception of the world. ornamentation has, as its principal aim to provide 'an object as a building with magically protoctive or strengthening signs or symbols. In the course of time, however, their original magical and symbolic character was nearly forgotten and the ornamental forms were frequently applied as purely decorative motifs.’’R শিল্পীকে কেবলমাত্র তাহার শিল্প রচনার স্রষ্টা বলিয়া বিচার করিলে দোষ হয় না বটে, তবে সেই বিচার ঠিক পক্ষপাতশূন্য হয় না। যেহেতু উড়িয়া শিল্পী প্রাচীন ভারতবাসী, সেই হেতু তাহার হৃদয়ে দেবতা ও দেবমন্দিরের প্রতি যে একটা অকৃত্রিম ও অবিচলিত ভক্তি ছিল তাহ ধরিয়া লইতেই হইবে। দেবতার মন্দিরকে ও দেবতাকে ঐন্দ্রজালিকের সৰ্ব্বব্যাপী অকল্যাণকর মন্ত্রশক্তি হইতে রক্ষা করিবার জন্য ভক্ত শিল্পীর একটা প্রয়াস দেখিতে পাওয়া যায়। ভয় আদিম মানবের একটি স্বাভাবিক ও সহজাত সংস্কার। উড়িয়া শিল্পী এই ভয়ের বশবৰ্ত্তী হইয়৷ আপনার দেবতাকে, অমঙ্গলকে অশুচি এবং প্রতিকুল পিশাচাদির প্রভাবকে প্রতিহত করিবার জন্য দেবালয়ের গাত্রে নানারূপ মূৰ্ত্তি খোদিত করিয়াছেন। > t Gangoly, O. C.—A Note on Kirtimukha, Rupam, January, 1920. p. 11.
- 1 Stutterheim, W. F.—The Meaning of KalaMakara ornament; Indian Arts and Letters, 1st issue, 1929 pp. 28-29.
বিরল। তাহারা সেই বিরাট স্থবিশাল ও মহান ধৰ্ম্মমন্দিরগুলিকে অশুভ হইতে রক্ষা করিবার জন্য নীলাকাশপটে স্বম্পষ্টরূপে অঙ্কিত, মহাকায় জাগ্রত ও আক্রমণোন্মুখ গজসিংহ মূৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছিল (চিত্র ৪ ) । ঠিক একই উদ্বেষ্ঠে তোরণশীর্ষে অদ্ভূত মকর মুখসকল (চিত্র ১)। এবং কিভূতকিমাকার কীৰ্ত্তিমুখসকল প্রাচীরগাত্রে এবং প্রাচীর কোটরে স্থাপিত করা হইয়াছিল (চিত্র ২ ) । সেই সকল অগণিত ভীষণদর্শন কীৰ্ত্তিমুখ এখনও দর্শককে ভয়ে অভিভূত করিয়া ফেলে। বিকটাকার ও বিরাটকায় রহস্যময়ী বিড়ালমূৰ্ত্তি সকল ছায়াবেষ্টিত প্রাচীরের অন্তরাল হইতে ভয়াবহরূপে বহির্গত হইয়া আছে (চিত্র ৩ ) । এই সকল কাল্পনিক এবং বিকটাকার দানব মূৰ্ত্তির গূঢ়ার্থক এবং প্রহেলিকাময় প্রকৃতি চিরদিনই মগুণ-শিল্পীর দৃষ্টিতে শিল্পসৌন্দৰ্য্যবৰ্দ্ধনের উপকরণরূপে সমাদৃত হইয়াছে। আদিম ও অসভ্য পূৰ্ব্ব-পুরুষদিগের নিকট হইতে প্রাপ্ত ত্রাস ও বিভীষিকার স্বাভাবিক সংস্কার হইতেই মধ্যযুগের উড়িয়া-শিল্পিগণ এই সকল ভীষণ প্রতিরুতি রচনা করিতে অকুপ্রাণিত হইয়াছিল। উড়িষ্যার চিত্রমাত্রেই অলঙ্কারের অতিশয্য দেখ৷ যায়। গঠনভঙ্গিমা ও রেখাঙ্কনের প্রতি উড়িয়া রূপকারের যে অপূৰ্ব্ব অমুরাগ ছিল, তাহ অন্যান্য জাতির মধ্যে অষ্টম হইতে ত্রয়োদশ এই সাৰ্দ্ধ ছয় শতাব্দীর মধ্যে, উড়িয়া শিল্পীদের অসাধারণ রসামুভূতি ও শোভন প্রবৃত্তির চরিতার্থ সাধনের একটা গৌরবময় প্রচেষ্টার আরম্ভ, সম্পূর্ণ মৌলিক ও অপূৰ্ব্ব শিল্প-স্মৃষ্টির বিপুল উদ্যম এবং তাহদের জাতীয় প্রতিভার উন্মেষ ও তাহার পূর্ণ প্রকাশ শিলাবক্ষে দেখা যায়। খ্ৰীষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে ভুবনেশ্বর ক্ষেত্রে, শক্রত্নেশ্বর মন্দিরে অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিপক্ক হস্তের মগুণ-শিল্প-স্মৃষ্টির প্রথম প্রয়াসের স্থূল আভাষ পাওয়া যায়। ঐ শতাব্দীর শেষভাগে গঠিত পরশুরামেশ্বর মন্দির, রূপকারের দক্ষতা ও কারিগরির বিশিষ্ট উন্নতির পরিচায়ক। প্রায় সমসাময়িক বৈতাল দেউলের স্বন্দর ও মনোহর পুষ্পলতার, বিশেষতঃ পদ্মপুষ্পের, সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও মনোরম অঙ্কন শিল্প-প্রতিভা এবং রূপ-সৌন্দৰ্য্যগ্রাহিতার ক্রমবিকাশের