পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ફલક কঞ্জিয়াছিলেন, সেই অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা লইয়াই তিনি পরপারে চলিয়া গেলেন। প্রভাসকে দেখিয়া সেই জগুই কি তাহার মনে এতটা চাঞ্চল্যের স্বষ্টি হইয়াছিল ? তাহাদের দুইজনের এখন দুই পথ, হঠাৎ আজ সাক্ষাৎ হইয়া গেল নিতান্তই ঘটনাচক্রে, না হইলে দেখ হইবার কিছু কথা নয়, আর কখনও হইবে কিনা কিছুই ঠিকান নাই । হঠাৎ তাহার চিন্তাম্রোতে বাধা দিয়া প্রভাস বলিল, “ইন্দু পিলী, গাড়ীতে উঠবেন চলুন, রোগ শরীরে কতক্ষণ আর এই রোদে দাড়িয়ে থাকবেন ?” ইন্দু বলিল, “তোর ট্রেনের ত এখনও দেরি আছে প্রভাস, তুই চল না আমাদের সঙ্গে, মিনিট পনরো কুড়ি বসে আবার ফিরে আস্বি। সঙ্গে ত আর মাল বেশী ¢महे ?” প্রভাস মলিল, “বেণী মাল পাব কোথা থেকে ? তা চলুন।” জিনিষপত্র লইয়া তাহার গাড়ীর দিকে অগ্রসর হইল। মায়া হঠাৎ বলিয়া বসিল, “প্রভাস-দা, আপনি আমাকে চিনতে পারেননি একেবারেই ?” প্রভাস একটা পোটলা হাতে চলিতে চলিতে একেবারে দাড়াইয়া পড়িল। তাহার পর পূর্ণ দৃষ্টিতে মায়ার দিকে চাহিয়া বলিল, “চিনতে পারিনি কি রকম ? আমি ত আর জঙ্ক মই ? তবে গায়ে পড়ে কথা বললে হয় ত কিছু মনে করবে এই ভয়ে কথা বলিনি।” মায় বলিল, “চার পাচটা বছর বাইরে ছিলাম বলেই আমি এমন কি একটা হয়ে উঠেছি যে, আমার সঙ্গে কথা বলতেও ভয় করে । এখানকার বুড়ো-বুড়ির না হয় এ সব বাজে কথা ভাবতে পারে, তাই বলে আপনিও ভাববেন ? সকলের সঙ্গেই আমার নূতন করে পরিচয় করতে হবে নাকি ?” o প্রভাস আবার চলিতে স্বরু করিয়া বলিল, “চার পাঁচ বছরটা কি আর কম ? বিশেষ করে এই বয়সে । निरबद्र कउपनि भब्रिबर्डन श्रह, उहे क्रिबरे जाकाब झब्रtष्ठ-*ांब्रि जtछब्र७ कडषोनि हeब्रा नखर । वाहैरब्र एषट्क cनथुरूण श* ७ uई थकदब्रब्र पूछि छानब्र शफ़ अछ ॐषांनौ-*अनैं, తిరిగి [ ৩০শ ভাগ; ১ম খণ্ড কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবে না, কিন্তু ভিতরটা আমার একেবারে সবটাই যেন বদলে গেছে ।” মায়া হঠাৎ একটুখানি গম্ভীর হইয়া গেল, বলিল, "তাই না কি ? আমার বরং বাইরেটাই থানিকট বদলে গেছে, মনের ভিতরে খুব বেশী কিছু পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।” প্রভাস বলিল, “নিজের ভিতরের বদল আবার অনেক সময় নিজেও মানুষ বোঝে না । হঠাৎ আগেকার একট। position-এ ঠিক ফিরে আসার চেষ্টা করলে তখন তফাংট। বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই ষে গ্রামে এলে, এতেই ভাল করে বুঝতে পারবে কতখানি দূরে তুমি সরে গেছ ।” ইন্দু মাঝখানে তাড়া দিয়া বলিয়া উঠিল, “নে নে গাড়ীতে উঠে গল্প কর না বাপু, রোদে ত মাথার চাদি উড়ে যাবার জোগাড় হল ।” বাস্তবিকই রৌদ্রের তেজ অত্যন্ত তীব্র হইয়া উঠিয়াছিল । আগন্তুকদের মনে হইতেছিল, যেন মাথার উপর অগ্নিশর বর্ষণ হইতেছে। গাড়ীর ভিতর ঢুকিয় মনে হইল যেন বাচিয়া গেল । পল্লীগ্রামের অল্পপরিসর উচু নীচু রাস্ত দিয়া সজোরে ঝণকানি দিতে দিতে গাড়ী চলিতে আরম্ভ করিল। এ সবই তাহার জন্মাবধি পরিচিত, এই ছোট পুকুর, এই চারিপাশে নারিকেল গাছের সার, এই মাঠের মাঝের বুনে কুলের ঝোপ,এই বাবলা ফুলের সাজ পরা গাছগুলি। অতি পুরাতন, অতি পরিচিত, কিন্তু ইহাদের দেখিয়া যে আনন্দ সে আজ পাইতেছে তাহা একেবারে নূতন, একেবারে অভূতপূৰ্ব্ব । এই মাঝের কয়েকটা বৎসরের স্বখৈচ্চর্ঘ্য ভোগ তাহার মনকে এমন করিয়া ত নাড়া দেয় নাই, রূপার কাঠির স্পর্শে তাহার' মানসী অন্তরলোকবাসিনীটি যেন ঘুমাইয়াই পড়িয়াছিল। জাজ জাগিয়া উঠিল সে কিসের ছোয়ায় ? সোনার কাঠি খুজিয়া পাইল সে কিসের মধ্যে ? : - - - তাহারা বাড়ী মালিয়া পৌছিল। ইন্দু বলিল, “ওম, এই ছমাসও হয়নি ঘর ছেড়েছি, এরই মধ্যে ছিরি হয়েছে" দেখ ! প্রাণের দরদ ষাদের নেই, তাদের হাতে কি জার*