২য় সংখ্যা] बझांबांग्नीं ఇ&ధీ ধরনোরের ষত্ব হয় ? ফুলগাছগুলো শুদ্ধ যেন মরতে বসেছে। মায়া দেখ, তোর পেপেগাছ কত বড় হয়েছে । ওগুলো গরুতে নেহাৎ নেড়া মুড়ে করতে পারে নি বলে এখনো অবধি টিকে আছে।” সকলে গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িতেই একজন বিধবা রমণী তাড়াতাড়ি সদর দরজার কাছে বাহির হইয় আসিলেন, তাহার পিছনে একটি চৌদ্ধ পনেরো বছরের ছেলে, তাহার আপাদমস্তক র্যাপারে ঢাকা । বিধবা বলিলেন, “এস বাছা এস। রঘুটার জর নিয়ে এত ভুগছি যে কোনোদিকে অীর চোখকান দেবার সময় নেই। তবু তোমার পাশের ঘরট ঝাটপাট দিয়ে রেখেছি। তোমার গরুর দুধ ত এতদিন পাড়ার ছেলেপিলেদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছিলাম, আজ রেখে দিয়েছি। এই বুঝি নাতনি ? ওম এ যে একেবারে রাজরাণী। বউয়েরই রূপের নামডাক ছিল, তা নাতনী তাকেও টেক্কা দিয়েছে। এর পর জামাই ঘরে আন বাছ, মস্ত ভাগরটি হয়েছে, আর ভাল দেখায় না।” বক্ততার প্রথম কিস্তিতেই মায়ার পিত্ত জলিয়া গেল, কাকার পিছন পিছন সে ঘরে ঢুকিয়া পড়িবার জোগাড় করিতেছে দেখিয়া ইন্দু ফিস্ ফিস্ করিয়া বলিল, “বুড়িকে একটা প্রণাম করে যা, নইলে হাজার রকম কথা বার করবে ।” বুড়ীকে প্রণাম করিবার ইচ্ছা মায়ার বিন্দুমাত্রও ছিল ন, তবু পিসীর কথায় বৃদ্ধার পায়ের কাছে নত হইয়া একটা নমস্কার করিয়া সে তাড়াতাড়ি সরিয়া পড়িল । , পূৰ্ব্বকালে যে ঘরখানি তাহার মায়ের শুইবার ঘর ছিল, এ সেই ঘর। সংস্কারের অভাবে একটু যেন জীর্ণ, আসবাবপত্রের মধ্যে বড় তক্তপোষ এবং আলনাট ছাড় আর কিছুই নাই। মায় জুতা খুলিয়া রাথিয়৷ তক্তপোষটার উপর বসিল। মিনিটখানেকের মধ্যে ইন্দু এবং প্রভাসও আসিয়া জুটিল। ইন্দু বলিল, “তোর জন্তে ওদিকের ছোট ঘরটায় জল এনে রেখেছে, একেবারে হাতমুখ ধুয়ে বোস না ।” মায়া বলিল, “যাচ্ছি দাড়াও, রোদের ঝাঝে মাথার ভিতরটা এখমও জাল করছে।” - ইন্দু বলিল, “তাত করবেই, অনেককাল এ রোঙ্গের সঙ্গে তোর পরিচয় নেই। এককালে কিন্তু এই রোল্পে মধ্যেই টে। টো করে বেড়িয়েছিল। প্রভাস বোস না।” বসিবার জায়গা একমাত্র তক্তপোষখানি । তাহার উপর মায় বসিয়া আছে বলিয়াই বোধ হয় প্রভাঙ্গ তাহাতে বসিল না। একটা বিছানার পোটলার উপর বসিয়া বলিল, “ইন্দু পিলী, খুব চট্ করে সেয়ে উঠুন; নইলে আমাদের গ্রামের বদনাম হবে।” * মায়া বলিল, “প্রভাস-দা, আপনি এত শীগগির চলে যাচ্ছেন। আমি কিন্তু আশা করে এসেছিলাম, আপনাকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেব।” -. প্রভাস একটু বিম্মিতভাবে বলিল, “কি ধরণের কাজ ?” ... মায় বলিল, “মায়ের নামে আমি একট। কিছু করতে চাই, পুকুর, অতিথিশালা, কি পাঠশালা, যা সবাই গ্রামের জন্তে সব চেয়ে বেশী দরকারী মনে করেন। আমি ত্ব টাকা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করে উঠতে পারব না। কাজের দিকটার ভার আপনার ঘাড়ে চাপাব মনে করেছিলাম।” . . ; প্রভাস বলিল, “থাকবার উপায় থাকলে আমি থেকে যেতাম। গ্রামের জন্যে মেয়েদের পাঠশালা একটি কতখানি ষে দরকার, তা তোমায় একমুখে বোঝাতে পারব না। এইটাই সব চেয়ে উপযুক্ত স্মৃতি-মন্দির হবে । মাস দুই তিন পরে আমি আবার ফিরে আসর, কিন্তু ততদিন কি তুমি থাকতে পারবে?" মায়া বলিল, “তিন মাস ত থাকতে পারব বলে মনে হয় না। বাবা এক মাসের বেশী দেরি করতে অনেক করে বারণ করে গেছেন।” প্রভাস বলিল, “তাই ত। আচ্ছা অন্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে দেখ । আমিও খুব চেষ্টা করব, মাঝে দুই চার দিনের ছুটি নিয়ে আসতে।” . তাহার ট্রেনের সময় হইয়া আসিতেছিল বলিয়া সে উঠিয়া পড়িল । ২২৩ দিন পাচছয়: ৰাষ্ট্রাপিয়াছে । মায়াদের গ্রামের বাড়ীতে
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।