পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬০ কুম ও গর ড় পুরাণে বৃহদ্ধম পুরাণে ১৩ । মাহেশ্বর ১৩ । বিষ্ণুধর্ম ১৪ । শাস্ব ১৪ . বামন ১৫ । সৌর ১৫ । বারণ 》g || ১৬ । নীরসিংহ ১৭ | মারীচ ১৭ । ভার্গব ১৮ । ভার্গব ১৮ । বুহদ্ধর্ম বৃহন্ধন পুরাণ তিন খণ্ডে বিভক্ত-পূর্ব, মধ্য, উত্তর । তিন খণ্ডে ৮১ অধ্যায় আছে । পুধর্থণ্ডে ধর্মমাহাত্ম্য, মধ্যখণ্ডে গঙ্গামাহাত্ম্য, এবং উত্তরখণ্ডে বিবিধ ধর্মোপদেশ কীর্তিত হইয়াছে। “ইদং হি বৈষ্ণুধ: শাশ্ব শেবং শাক্তং তথৈবচ। সাংখ্যযোগ-পরঞ্চৈবং সারাত্ম জ্ঞানদ: BB S SDD BBBS S BBS BBS BBS BBS BBB BBBS অর্মত এবং সাধু ও আত্মজ্ঞানপ্রদ।" প্রথমে বৃহদ্ধর্ম পুরাণের দেশ দেখি । (১) তুলসীবৃঙ্গের জন্মবৃত্তান্তে ( পু ৭ }, মহাদেব দুর্গার সহিত বনশোভা দৰ্শন মানসে বিচরণ করিতে করিতে কতকগুলি পুপবৃক্ষ দেখিলেন। যথা, মালতী, মল্লিক, যুথিকা, তগর, কুন্দ, মন্দার, শেফালী, কুটজ, কনক (খৃস্তর ), চম্পক, কেশর, শিরীষ, নবমল্লিক, মুচুকুন্দ, এবং বন্ধক। অনস্তর দেখিলেন, কদম্ব, পনস, চুতাম্র, অামাতক, অশ্বথ, বট, নিথ, শিংশপা, চন্দন, লাঙ্গলী, তাল, হিন্তাল, গবাক, বেত্র, বংশ খুর্কর, বেতস, নাপ, নল, শাল, পিয়াল, লমের, এবং কোবিদার। দশম. অধ্যায়ে শঙ্করের প্রিয় পুপ পাইতেছি,—করবার, শেফালিক। কুশ, মল্লিক, দ্রোণপুষ্প, চম্পক, শিরীষ, নাগকেশর, মুচুকুন্দ, তথর, তুলসী, বজ্রপুষ্প, ধুস্তর, কেতকী, পদ্ম । এই সকল বৃক্ষের নাম কবি উাহার পঠিত সাহিত্যে ও সংস্কৃত-কোষে পাইয়া থাকিবেন। কিন্তু, মানুষের স্বভাব এই পরিচিত ও দৃষ্ট বৃক্ষই তাহার অধিক মনে পড়ে । আর, দেখাও যাইতেছে, কবি নানাদেশ-জাত বুক্ষের নাম করেন নাই । মালতী অবশ্ব জাতি ( চামেলী ) । একটি নাম মন্দার পাইতেচি । এটি অবশ্ব স্বগীয় মন্দার বৃক্ষ নয়, পারিভঞ্জ-মন্দার হইবে, অর্থাৎ পালিত। মাদার। আর একটি নাম নমের । এটি সম্বন্ধে সন্দেহ আছে। ইহাকে ছাড়িয়া দিলেও ক্ষতি নাই। চত শব্দে আত্ম বুঝি ; চুতাম্ৰ লিথিয় কবি ক্ষুদ্রাস্ত্র অপর নাম কোশাস্ত্র ( কোশম, কুশ স্) হইতে পৃথক করিয়াছেন। চন্দন শব্দে রক্তচন্দন, অন্ত নাম কুচন্দন, বুঝিতে হইবে । লাঙ্গলী, নাপ্লিকেল । এখন প্রথম দ্রষ্টবা, নারিকেল। নারিকেল বৃক্ষ সমুদ্রতীর হইতে দুইশত মাইলের মধ্যে জন্মে। অতএব কবির দেশ, সমুদ্র হইতে দূরে নয়। হিন্তাল গাছও সমুদ্রের লোণাঞ্জল অপেক্ষা করে। আর এক দিকে দেখিতেছি, দেশ শঙ্ক প্রস্তরময়। নইলে কুটজ (কুড়াচ । শিংশপ ( শিশ), পিয়াল, কুচন্দন, ও কোবিদার (রক্তকাঞ্চন ) পাইতাম না। অতএয সমুদ্র হইতে দূরে নহে ; পাথর জঙ্গলও দূরে মতে, এমন দেশ, যে দেশে এই সকল বৃক্ষ স্বচ্ছদে জন্মে। জন্মগ্রানের পাশেই বন থাকিবে এমন কথা নয়। এমন দেশ রাঢ় হইতে পুরী পর্যন্ত মনে হয়। দুই শত বৎসর পূর্ব পর্য্যন্ত রাঢ়ের পশ্চিমাদ্ধ অরণ্যময় ছিল। কেশর, নাগকেশর। নমের নামে কেহ বুঝিয়াছেন দ্রাক্ষ। রাজনির্ধন্ট মতে সুরপুল্লাগ । পুরার নিকট সাক্ষাগোপল গ্রামে “ছুরিয়ান" নামক বৃক্ষের উপবন আছে। ছুরিয়ান, ওড়িয়া নাম । কেহ কেহ ইহাকেই সুরপুন্নাগ বলেন । ফুলের সৌরভে ও পাতার সৌন্দর্য্যে কুরপুল্লাগ নামের উপযুক্ত বটে। কালিকা পুরাণে নমেৰু বৃক্ষ নাম আছে। সেখানেও ইহা রপ্রাক্ষ হইতে পারে না । পুন্নাগ, ওড়িয়া নাম পুনাঙ্গ ; ওড়িষ্যায় প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ృలు Aృry్కA^^^ూA^^^* * مهys - ASAAAAS AAASASAAAMMAMAMMMMAMMMMMM AAAAAA AAAA SAAAAA AAAAMMMMMMAAA AAAA AAAAS AAASASASSMSS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রচুর। কুটজের এক নাম গিরিমল্লিক, ইহার বীজের নাম কলিঙ্গ। দেদেশে উল্লিখিত সকল বৃক্ষই আছে । পুর্বকালে রাঢ়ের পশ্চিম ভাগে: নাম কলিজ ছিল। বাঁকুড়ায় পিয়াল আছে। কিন্তু কবি গঙ্গাতীয়ে এত মাহাত্ম্য বর্ণনা করিয়াছেন যে, তাহাকে গঙ্গাতীরবাসী মনে কফি, সন্দেহ হয় না। অতএব মনে হয়, তাইfর নিবাস বর্ধমান জেলা পূর্বাংশে ছিল। - (১) দক্ষযজ্ঞে সতী প্রাণত্যাগ করিলে শিব সেই মৃতদেহ মাথার লইয়া ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। বিষ্ণু চক্র দ্বারা সে দেহ ছিন্ন করিলেন । যেখানে যেখানে সতীর অবয়ব পড়িয়াছিল, সেপানে সেখানে এক মহাপী হইয়াছে। এইর পে ৫১ মহাপীঠের উৎপত্তি। কিন্তু কবি মাত্র তিনটি পীঠ উল্লেখ করিয়াছেন। একটি কামরূপে )। ইহার মহিমা জ্ঞাত হইতে কালিকা পুরাণ দেপিত বলিয়াড়েন। দ্বিতীয়টি বীরভূমের বক্রেখর । ইহার নিমিত্ত ব্ৰহ্মাণ্ড পুরাণ দেখিতে বলিয়াছেন। তৃতীয়টি উজ্জয়িনীতে । কবি লিখিয়াচেন, “উজ্জয়িনীপুরে মঙ্গল কোষ্ঠপীঠ, যেখানে শুভ মঙ্গলচণ্ডী, বরদারিনী হইয়া আছেন। পূ১৪ } । এই উজ্জয়িনী মুকুন্দরাম কবিকঙ্কণের উজানীনগর, বর্তমান নাম মঙ্গল-কোট। কবি এই কথা বলিতে বলিতে লিখিয়াছেন, যেখানে বহু, জ্ঞাতির বাস, সেখানেও উত্তম তীর্থ। এখানে এই তীর্গের উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক হইয়াছে । মনে হয় কবির জাতিগণের নিলাস মঙ্গলকোটে এবং তাহার নিবাস পুৰ্ব্বদিকে গঙ্গার নিকটে ছিল । কপি ত্রিবেণীকে তীর্থ বলিয়। বিশেষ করিয়াছেন (পু । প্রয়াগে গঙ্গর সহিত সরস্বতী ও যমুনা যুক্ত হইয়াছে, ত্রিবেণীতে মুক্ত হইয়াছে । অন্ত কারণে মনে হয়, কবির নিবাস ত্রিবেণীর নিকটে ছিল । (৩) কবি সে বাঙ্গালী ছিলেন, তাহার বিশেষ প্রমাণ আগছে । { উ ॥১৬ দেবতারা ভগবতীর স্তব করিতেছেন। স্তবে বলিতেছেন, "আপনি চলে গোধিক মূৰ্ত্তি ধারণ করির কালকেতুর প্রতি বরদ। হইয়াছিলেন । আপনি শুভ-মঙ্গল-চণ্ডিক । আপনি কমলে কামিনী রূপে গজগ্রাস ও বমন করিয়া বণিক্‌ ও তৎ পুত্রকে শ্ৰীশাল-বাহন রাজার কোপ হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন।” শুভ-মঙ্গল-চণ্ডিকার এই যে মাহাত্ম্য, তাহ বোধ হয়, ভারতের অন্য কোন প্রদেশে প্রকাশিত হয় লাই। মুকুন্দরামের চওঁ হইতে, জানি, কালকেতু গুজরাট নগরের প্লাগু হইয়াছিলেন । এই গুজরাট কলিঙ্গের নিকট ছিল । এ বিষয়ে রাঢ়ের ইতিহাসে দেখা যাইবে। অতএব কালকেতু ও শ্ৰীমস্তের কাহিনী বৃহদ্ধম পুরাণের একটি শ্লোক হইতে অন্ত দেশীয় লোকের বুঝিবার সম্ভাবনা ছিল না । (৪) এই পুরাণে ( উ ॥১৩), ছত্রিশ শঙ্কর জাতির নাম, উৎপত্তি, ও বৃত্তি বর্ণিত আছে। বঙ্গদেশে "ছত্রিশ জাতি” বলা সাধারণ। কলিকঙ্কণ চণ্ডীতেও আছে । আমরা কথায়,বলি, “ছত্ৰিশ জাতির ভীত ।” এই সকল জাতি বঙ্গদেশে অদ্যাপি আছে। ওড়িষ্যায় শুক্রবর্ণ ছত্রিশ প্ৰণতিতে বিভক্ত নয় । বৃহদ্ধম পুরাণের কাল এখন বৃহদ্ধমপুরাণের কাল বিবেচনা করি । (১) এই পুরাণে ( ৬১• ), তিথ্যাদি-কৃত্য বর্ণিত হইয়াছে। এই পুরাণের কালে রঘুনন্দনের অষ্টবিংশতি “তত্ত্ব থাকিলে, পুরাণকারের তিথি-কৃত লিখিবার প্রয়োজন হইত না। রঘুনন্দন ষোড়শ গ্ৰীষ্ট শতাদের , মধ্যভাগে উপহার “তত্ত্ব" লিখিয়াছিলেন । অতএব এই পুরাণ উক্ত শতাৰোঁর পূর্বে রচিত ।