পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাদের এক জিয়গায় নুতন স্বামীর নাদি শাহের প্রথম বক্তৃত। হইলে এই রুষ-আক্রমণের আশঙ্কা দূরীভূত হইবে । এই ধারণা ক্রমশঃ ভারত-গভর্ণমেণ্টের মনে দৃঢ়বদ্ধ হইতে লাগিল। প্রথম আফগান যুদ্ধের ইহাই মূল স্বত্র । এই মনোভাবের বশে লর্ড অক্ল্যাণ্ড আফগানিস্থানের অrভ্যস্তরিক ব্যাপার হস্তক্ষেপ করিবার সুযোগ খুজিতে লাগিলেন। স্বঘোগেরও অভাব ঘটল না। ১৮৩৮ সানের ২১শে জুলাই তারিখে এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হইল। শাহ সুজা, রণজিৎ সিংহ ও গভর্ণর জেনারেল ইহাতে স্বাক্ষর করিলেন । চুক্তিপত্রে লেখা হইল যে, এই তিন শক্তি একত্র সম্মিলিত হইয়া একযোগে বারাক এই বংশের উচ্ছেদ সাধন করিয়া শাহ স্বজাকে পুনরায় সিংহাসনে বসাইবেন । লভ" অক্লাণ্ডের এ-সকল ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবার কোন ও সঙ্গত কারণ ছিল না, কাজেই প্রথম আফগান যুদ্ধকে ঐতিহাসিক মাত্রেই ব্রিটিশ-শাসনের কলঙ্ক বলিয়া মনে করেন। এই ঘটনার পরবর্তী দুই বৎসরের কাহিনী অতান্ত শোচনীয়। ভারতবর্ষের চারিদিক হইতে ইংরাজ সৈন্ত 3 وم-یونی আফগানিস্থান বিজয়ে যাত্রা করিল। পথে অসংখ্য সৈন্ত, ভারবাহী জীব ও অনুচরদিকের মৃত্যু হইল—মাঝে মাঝে দক্ষ্যদের আক্রমণে রসদ-সমস্ত কঠিন উঠিল । বৃটিশ সৈন্তাধ্যক্ষেরা পদে পদে ভুল করিতে লাগিলেন । কিন্তু নানারূপ ভ্রম-প্রমাদ সত্ত্বেও শুধু ভাগ্যদেবীর সহায়তায় বৃটিশ সৈন্য পরিশেষে আফগানিস্থানের তত্তে শাহ জাকে বসাইতে সমর্থ হইল। দোস্ত মহম্মদ পলাতক হইলেন, পরে আত্মসমপণ করিলেন । তাহাকে ভারতবর্ষে পাঠাইয় দেওয়া হইল । শাহ সুজা গদীতে বসিলেন সত্য, কিন্তু রাজ্যে শাস্তি ংস্থাপনের ক্ষমতা তাহার ছিল না । শান্তিরক্ষার জন্য বৃটিশ গভর্ণমেণ্টকে শাহ, সুজার মারফৎ রাজ্যের বিভিন্ন দলপতিকে অর্থদান করিতে হইত। দুই বৎসর ধরিয়া ক্রমাগত এই অর্থসাহায্যে ভারতবর্ণের রাজকোষের যথেষ্ট শোষণ হইয়াছিল। গভর্ণর জেনারেল এই প্রকার অর্থব্যয় আর কিছুতেই সমর্থন করিতে পারিলেন ন!— তিনি শাহ স্বজাকে এ-বিষয়ে ব্যবস্থা করিতে বলিলেন ।