পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] আফগানিস্থানের নবযুগ ২৮৫ ইংরাজের সঙ্গেই আফগানিস্থানের রাজনৈতিক সম্বন্ধ বর্তমান রহিল—বহির্জগতের যাবতীয় রাজনৈতিক ব্যাপারে আমীরকে ইংরাজের কথামত চলিতে হইবে, কিন্তু দেশের আভ্যস্তরীণ কোনও ব্যাপারে ইংরাজ হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন না। আবদার ASA SSASAS SSAS SSASAS SSAMAeeS তাহাব পর হইতে আফগানিস্থানের ইতিহাসের মে নবীনতম অধ্যায় আরম্ভ হয় তাহার পরিসমাপ্তি করে ঘটিবে কেহ বলিতে পারে না । আমাচুল্লা যখন আমীর হইলেন তখন দেশে ঘোরতর রহমান তাহার রাজত্বকালে প্রায় সৰ্ব্বথা এই সৰ্বগুলি প্রতিপালন করিয়াছিলেন । ইংরাজের আবদার রহমানের সহিত সন্ধিপত্র একেবারে ব্যক্তিগত ব্যাপার বলিয়া মনে করিতেন । কিন্তু তাহার মৃত্যুর পর পুত্র হবিবুল্লাও গদী দখল করিয়৷ ইহা বহাল রাখি তে চাহিলেন । পূর্বের সন্ধি অতুযায়ী আবদার রহমানকে ভারতবর্ষের মধ্য দিয়া অস্ত্রশস্ত্র অনিয়ন করিতে দেওয়া হইত। হবিবুল্লাও সেই প্রকারে যুদ্ধোপকরণ সংগ্ৰহ করিতে যত্নবান হইলেন । ইংরাজ তাহ বন্ধ করিয়া দিল । ইহাতে আমীর ইংরাজের উপর চটিয়া গেলেন। তথাপি ইংরাজের সহিত আমীরের বিশেষ কোন গোলযোগ উপস্থিত হইল না। কিন্তু মহাযুদ্ধের সময় আমীর একটু দোটনায় পড়িয়া গেলেন । যুদ্ধের আরম্ভ হইতেই তিনি ইংরাজের বিরুদ্ধাচরণ করিবেন না বলিয়। প্রচার করেন, কিন্তু পরে তুর্কী ও জাৰ্ম্মাণীর সম্মিলন তাহাকে বিচলিত করিয়া তুলিল। এই সম্মিলিত শক্তির দূত আমীরের নিকট উপস্থিত হইয় তাহার সাহায্য প্রার্থনা করিল। আমীর মৌখিকভাবে তুর্কীর সহিত যোগদান করিলেন সত্য কিন্তু কাৰ্য্যতঃ কোনও কিছু করিলেন না। ১৯১৯ খৃষ্টাব্দের ২০শে ফেব্রুয়ারী হবিবুল্ল। আততায়ীর অস্ত্রাঘাতে নিহত হন। ... • তাহার- মৃত্যুর পর আফগানিস্থানে আর একবার অস্তবিপ্লব উপস্থিত হইল। মৃত আমীরের ভাই নসরুল্লা মাত্র ছয়দিন রাজত্ব করেন, পরে হবিবুল্লার দ্বিতীয় পুত্র জামাতুল্লা র্তাহাকে পরাজিত করিয়া গদী অধিকার করিয়া বসেন। .. ... f | ±令、 - تايي . بي بي، يييييييي: 5 יאיר వౌచర్థ్రోగ్య •u ** পাঘমানে আমানুল্লার রাজপ্রাসাদ অস্তKবপ্লব। এই গোলযোগ তাহাকে একেবারে অতিষ্ঠ করিয়া তুলিল। তাহার সিংহাসনলাভের সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় আফগান যুদ্ধের সূচনা হইল। আমাতুল্লা সিংহাসনে আরোহণ করিয়া ভাবিলেন যে, এই অস্তমুখী বিপ্লবকে বহিমুখী করিতে পারিলে দেশে শান্তি স্থাপিত হইবে । হয়ত ইহাও তাহার ধারণা ছিল যে, মহাযুদ্ধে ইংরাজ এত ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে যে এই স্বযোগে ভারতবর্ষ আক্রমণ করিলে বাধ্য হইয়। ইংরাজকে খুব স্ববিধামত সন্ধিপত্রে রাজী করান যাইবে। এই প্রকার নানা দিক ভাবিয়া আমাতুল্লা ভারত অভিযানে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু অভিযান বেশী দূর অগ্রসর হইতে পারিল না । নূতন সন্ধিপত্র সাক্ষরিত হইল এবং ইহার দ্বারা আফগানিস্থানের পূর্ণ রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠিত "হইল। নূতন সন্ধিমতে ইংরাজ আফগানিস্থানের পররাষ্ট্রীয় বা আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনও ব্যাপারে আর হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না বলিয়া স্বীকৃত হইল। পৃথিবীর নানাশক্তি আফগানিস্থানে তাহাদের প্রতিনিধি