পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S)o o AMMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASJMAAA S AAAA S বিদেশ লণ্ডনের নৌ-বৈঠক— গত ২১শে জানুয়ারী লগুনে যে নৌ-বৈঠক আরম্ভ হয় তাহা শেষ হইয়া গিয়াছে। এই তিন মাদের মধ্যে অনেকবার নীে বৈঠকের ফলাফল সম্বন্ধে নিরাশ হইবার কারণ ঘটিয়াছিল । মনে হইয়াছিল ১৯২৭ সনের জেনেভা কনফারেন্সের মত এবারকার নিরস্ত্রীকরণ সভাও বুঝি কোনও মীমাংসায় না পোছিয়াই ভাঙিয়া যাইবে । ইংলণ্ড, আমেরিকার যুক্তরাজ্য ও জাপানের মধ্যে পুৰ্ব্বেই একটা বোঝাপড়া থাকায় এবারে আর তাহা হইতে পারে নাই। ফ্রান্স ও ইটালী সম্পূর্ণভাবে যোগ ন৷ দেওয়ায় প্রথমে ইংলণ্ড, আমেরিকা ও জাপানের মধ্যে একটা সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। পরে ফ্রান্স ও ইটালীও তাঁহাতে আংশিকভাবে যোগদান করে । নিরস্ত্রীকরণের দিক হইতে এই নৌবৈঠক খুব বেশী ফলপ্রদ হইয়াছে তাহ। বলা চলে না। ইংলণ্ড, আমেরিক ও জাপানের মধ্যে একটা চুক্তি হইয়৷ যাওয়ায়, এই তিনশক্তিরই কয়েকটি করিয়া যুদ্ধের জাহাজ কমিয়া যাইবে এবং ইহাদের মধ্যে রণপোত নিৰ্ম্মাণের প্রতিযোগিতার উগ্রতা অনেকট লাঘব হইয়া আসিবে সত্য, কিন্তু এই তিন শক্তি সমবেত হওয়ার ফলে আর এক দিক হইত্তে একটা আস্তর্জাতিক সংঘর্ষেরও সম্ভাবনা দেখা দিবে। ফ্রান্স এখনই বলিতে আরম্ভ করিয়াছে, যে, ইংলণ্ড ও আমেরিকার (নীবল একত্রিত হইয়৷ পৃথিবী অষ্ঠাষ্ঠ জাতির উপর প্রভুত্ব করিতে চেষ্টা পাইবে । এই মুক্তি একেবারেই ভিত্তিহীন এ-কথা বলা কঠিন । কিন্তু ইংলণ্ড ও ব্রিটিশসাম্রাজ্যের ইতিহাসে লণ্ডনের নৌ-বৈঠক একটি বিশেষ স্মরণীয় ঘটনা হইয়া বিরাজমান থাকিলে । ফ্রান্সের "ল্য তা” নামক বিখ্যাত সংবাদপত্রের একজন লেখক বলিয়াছেন, ভবিষ্ণুতে যদি কোনদিন ব্রিটিশসাম্রাজ্যের অধঃপতনের ইতিহাস রচিত হয়, তবে দেখা যাইবে ১৯৩০ সনের লণ্ডন কনফারেন্সেই তাহার সুচনা। উাহাকে নাকি এক বিখ্যাত রাজনীতিজ্ঞ বলিয়াছিলেন, যে, যদি ইংলণ্ডের রাজকোষে যথেষ্ট পরিমাণ পাউণ্ড ষ্টালিং থাকিত, তবে লণ্ডন কনফারেন্স বসিত না । কথাটা খুবই সত্য। এই কনফারেন্সের মূলে আন্তর্জাতিক শাস্তিস্থাপনের স্পৃহ অপেক্ষাও বেশ করিয়া যে জিনিষটা বৰ্ত্তমান তাহ। ইংলণ্ডের অর্থসমস্ত ও মার্কিনপ্রতিযোগিতার ভয় । রণপোত নিৰ্ম্মাণে আমেরিকার সহিত প্রতিযোগিতা করিতে যাওয়া আজ ইংলণ্ডের সাধ্যাতীত। সেইগুষ্ঠই যে ইংলণ্ড গত একশত বৎসর ধরিয়া পৃথিবীর তিনটি বৃহত্তম রণপোতবাহিনীর সমান সংখ্যক রণপোত বরাবর রাপিয়া আসিয়াছে, সে বিনাবাক্যব্যয়ে সমুদ্রে আমেরিকার প্রাধান্ত স্বীকার করিল। এই সন্ধির পর হইতে আমেরিকা কাগজে-পত্রে ইংলণ্ডের সমকক্ষ হইলেও, প্রকৃতপ্রস্তাব সমুদ্রে অধিকতর শক্তিশালী হইয়। দাড়াইল । প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ AM AM MAMMeMeeMAMA AM AMAMAMMAAA AAAA AAAAMMM AMMMAM AMMMMMMAMAMSMAMAAAS ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড মিশর ও ইংলণ্ড— মিশর ও ইংলণ্ডের সম্পর্কের রাজনৈতিক প্রশ্নগুলি মীমাংসা করিবার জন্য লণ্ডনে সম্প্রতি যে কনফারেন্স বসিয়াছিল তাহ ভাঙিয়া গিয়াছে । ইলেণ্ডের পররাষ্ট্রপচিপ মিঃ হেণ্ডারসন জানাইয়াছেন, যে, ব্রিটিশগভর্ণমেণ্ট সুদান সম্বন্ধে মিশরের দাবী মানিয়া লইতে অক্ষম। স্বতরাং অদূর ভলিয়াতে মিশরসমস্তার কোন মীমাংসা হইবার সম্ভাবনা নাই । আমেরিকার উদারনৈতিক পত্রিকা “নিউ রিপাব্লিক" লিপিয়াছেন, যে, সময় থাকিতে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট কাহারও সহিত বোঝাপড়া করিতে অগ্রসর হয় না। মিশর সম্বন্ধে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের কার্যকলাপ দেখিলে এই কথাটা কত সত্য তাহ অতি সহজেই বুঝা যায় । রাজা পঞ্চম জর্জ কর্তৃক লণ্ডন নৌ-বৈঠক উন্মোচন প্রথম “লেবর” গভর্ণমেণ্ট ১৯২৪ সনে সুয়েজগালের রক্ষণাবেক্ষণ, সুদানশাসন, বিদেশীর ধনপ্রাণরক্ষা, বিদেশী রাজ্যের সহিত সম্বন্ধ ও মিশরে ইংরেজ সৈন্যের অবস্থান, এই কয়েকটি বিষয় ছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়েই মিশরকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার দিতে সম্মত হন। বলা বাঞ্ছল্য মিশরের জাতীয় দল এই সকল সৰ্বে রাজী হন নাই এবং রাজনৈতিক আন্দোলন পুর্বের স্থায় চলিতে থাকে। এই আন্দোলনের ফলে মিশরের শাসনতন্ত্র প্রায় অচল হইয় পড়ায় হাই কমিশনার লর্ড লয়েড পালেমেণ্ট, সভাসমিতি ইত্যাদি বন্ধ করিয়া দেন । ইহাতে “শান্তি ও শৃঙ্খলা" স্থাপিত হইলেও শাসন চালান সম্ভবপর হয় নাই । সেজন্ত রক্ষণশীল গভর্ণমেণ্টই গতবৎসর মিশরের সহিত একটা মিটমাট করিয়া ফেলিতে প্রস্তুত হন । এমন সময়ে “লেবর” গভর্ণমেণ্টের হাতে ক্ষমতা আসে এবং তাঁহারা লর্ড লয়েডকে অপসারিত করিয়া মিশরকে আরও অনেক অধিকার দিতে সন্মত হন । কিন্তু এবারেও ওয়াফাল বা জাতীয় দল স্বদানের উপর মিশরের সম্পূর্ণ অধিকার অাছে ইহা স্বীকার না করিলে ইংলণ্ডের সহিত কোনও সন্ধি করিতে স্বীকৃত হন নাই। ফলে জাতীয় দলের নেত। নাহাস পাশ: লণ্ডন হইতে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ করিতেছেন ।