২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—-মহাত্মজীর বিরুদ্ধে উপ-আইন প্রয়োগ E Q3) یہ سبھ* جہ مبہم ہے: হইলে দ্বিগুণ তেজে কাজটি চালান উচিত। আইনজীবীদের এখন আদালত ছাড়িয়া দেওয়া উচিত, এবং মহিলাদের উপর মহাত্মাজী যে ভরসা রাখেন তাহাদের আপনাদিগকে তাহার যোগ্য প্রমাণ করা উচিত। বিদেশী বস্ত্র বর্জন ও মদ্যপান ত্যাগ প্রচেষ্টা দুটিকে সম্পূর্ণ সফল করিয়া তোলা তাহাদের কৰ্ত্তব্য । আমি আগ্রহের সহিত আশা করি, ভারতবর্ণ কোন ধাতুতে গড় তাহ। ভারতীয়ের প্রমাণ করিবে এবং গবন্মের্ণটকে তাহার অসমর্থনীয় কাজের যথোচিত জবাব দিবে ।” শ্ৰীমতী কস্তুর বাঙ্গ যখন জালালপুরে দেশসেবিকা মহিলাদের সহিত বাস করিতেছিলেন, মহাত্মাজীর গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদ তখন তাহার নিকট পৌছিলে তিনি বলেন, “ওঃ, তাতে কি আসে ধায় ? আমি একটুও বিস্মিত হই নাই,” এবং শাস্ত ভাবে তৎক্ষণাং নিজ প্রাতঃকালীন কৰ্ত্তব্য করিতে ফ্রী প্রেসের প্রতিনিধি জাতীয় কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে তাহার বাণী জানিতে চাহিলে তিনি বলেন : — গান্ধীজী গিয়াছেন, এখন সকলের বহিরে আসিয়া সম্মুখীন হওয়া উচিত । খদ্দর পরিধান, চরকায় স্থত। কাট। এবং মদ্যপান নিমূল কর দেশের এখন এই তিনট কাজ করা উচিত।" শ্ৰীমতী কস্তুর বাঈ সরল ও স্বাভাবিক ভাষায় প্রফুল্ল চিত্তে এই সব কথা বলেন । নবসারিতে এক বক্ততায় তিনি বলেন, “ভারতীয়দের এখন অবিলম্বে স্বরাজ পাইতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া উচিত। তাঙ্গদের যুদ্ধ ন্যায়যুদ্ধ ; সুতরাং পরমেশ্বর তাহাদের সঙ্গে আছেন ।” - থাকেন । তাহার পর গান্ধীজীকে ধরিবার প্রণালী গান্ধীজীকে রাত্রি দুই প্রহরের পর গ্রেপ্তার করিবার ভারপ্রাপ্ত বোম্বাইয়ের সরকারী লোকের খুব সতর্কত অবলম্বন করিয়াছিল । সে জন্য তাহদের তারিফ করা যাইতে পারে। কিন্তু গান্ধীজী চোর নহেন, পলাইবার কোন চেষ্টা করিতেন না। কেহ তাহাকে পুালসের হাত হইতে কাড়িয়া লইবার চেষ্টা করিত না, ধরিবার করিলে তিনিই সৰ্ব্বাগ্রে তাহাতে বাধা দিতেন। সুতরাং একজন ক্ষীণকায় বৃদ্ধ অহিংসাত্ৰতী সাধু ব্যক্তিকে জন্য এত আয়োজন দেখিলে সরকারী লোকগুলির প্রতি মনে শ্রদ্ধার ভাব আসে না । মহাত্মাজীর নিদ্রার ব্যাঘাত করিবার বিশেষ কোন প্রয়োজন ছিল না । দিনের বেলা তাহাকে গ্রেপ্তার করিলে স্থানীয় লোকদের একটু ভিড় হইত মাত্র, কিন্তু তাহার। সরকারী মোটর গাড়ীর সঙ্গে দৌড়িতে পারিত না । গান্ধীজীকে ধরিবার আয়োজনে মনে হয়, মানুষের চারিত্রিক শক্তি বৃহৎ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিদের মনেও আশঙ্কfর উদ্রেক করে । মহাত্মাজার বিরুদ্ধে উপ-আইন প্রয়োগ রেগুলেখ্যন নামক কতকগুলি বিধি আছে, যেগুলিকে ঠিক্ আইন বলা চলে না । তদনুসারে কোন আদালতে বিচার হয় না—বিনা বিচারে শাস্তি হয় । বিশ বৎসরেরও পূৰ্ব্বে বাংল। দেশে এইরূপ একটা উপ-আইন ( ১৮১৮ সালের তিন নম্বর রেগুলেখান ) অনুসারে আশ্বিনীকুমার দত্ত, কৃষ্ণকুমার মিত্র প্রভৃতির নির্বাসন ও কারারোধ হয় । মহাত্মা গান্ধীকে ১৮২৭ সালের ২৫ নম্বর রেগুলেখ্যন অতুসারে বন্দী করা হইয়াছে । একশত তিন বৎসর আগে যুদ্ধে যে-সব অস্ত্র ব্যবহৃত হইত, এখন কোন সভ্য জাতিই সেরূপ কামান বন্দুক বারুদ গোলাগুলি লইয়। যুদ্ধ করে না ; মামুয মারিবার নূতন নুতন অস্ত্র ও উপায় নিৰ্ম্মিত ও উদ্ভাবিত হইয়৷ আসিতেছে। কিন্তু মহাত্মা গান্ধী যে অহিংস স্বাধীনতাসংগ্রাম আরম্ভ করিয়াছেন, তাহার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ গবন্মেণ্টকে ১০৩ বৎসরের পুরাতন মরিচা-পড়া অস্ত্র ব্ৰহ্মাস্ত্র স্বরূপ প্রয়োগ করিতে হইল! রাজনীতিকুশল ব্রিটিশ জাতির উদ্ভাবনী শক্তি এক্ষেত্রে নূতন কিছু উপায় আবিষ্কার করিতে পারিল না। ইহার মানে এই, যে, ১০৩ বৎসর আগে ভারতবর্ষের কোন কোন অবস্থায় ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী যে-উপায় অবলম্বন করিতেন বা করিবার সঙ্কল্প করেন, আজ ১০৩ বৎসর পরেও
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।