পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ--গান্ধীজীর গ্রেপ্তারে গবন্মেণ্টের কৈফিয়ৎ Sം ി SSASAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS নিজেদের নীতি অনুসারে এখনই কাজ করিতেছে। কিন্তু অনেক জায়গা হইতে প্রত্যহ দৈনিক কাগজে প্রকাশিত ংবাদে দেখা যায়, পুলিশের লোক নিরুপদ্রব লবণ-আইনভঙ্গকারী ও দর্শকদের উপর লাঠি চালাইয়াছে। সরকার পক্ষ হইতে এই সকল সংবাদের প্রতিবাদ হয় নাই । একমাত্র বোম্বাই সহরের পুলিশ কমিশনার তাহার এলাকায় এরূপ মারপিট করার বিরূদ্ধে মত প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়৷ কাগজে পড়িয়াছি। কর্তৃপক্ষীয় অন্ত কোন সরকারী লোক এরূপ মত প্রকাশ করিয়াছেন, বা মারপিট না করিতে পুলিশের লোকদিগকে আদেশ দিয়াছেন, এরূপ কোথাও কিছু পড়ি নাই । অবশ্ব, পুলিশের লোকমাত্রেই জুলুমবাজ নহে, সেরূপ বলাও আমাদের উদ্বেশু নহে। যেখানে সেখানে পুলিশের লোক নিরুপদ্রব লোকদের উপর লাঠি চালাইয়াছে, সেরূপ কাজ ভারতগবন্মেণ্টের বা প্রাদেশিক গবন্মেণ্টের হুকুমে করিয়াছে, এমন কথাও বলিতে পারি না ; কারণ তেমন হুকুম আমরা দেপি নাই, তেমন কোন আদেশের অস্তিত্ব আমরা অবগত নহি । আমরা কেবল তথ্য হিসাবে ইহা বলিতেছি, যে, নানাস্থানের লবণ-আইন-ভঙ্গকারীদিগকে স্থানীয় পুলিশের অনেক লোক প্রহার করিয়াছে বলিয়া দৈনিক কাগজে বিস্তর সংবাদ পড়িয়াছি। নিরুপদ্রব আইনলজঘকদিগকে গ্রেপ্তার করিবারই অধিকার পুলিশের আছে, প্রহার করিবার আইনসঙ্গত অধিকার নাই । সরকারপক্ষ বলিতে পারেন, গান্ধী-প্রচেষ্ট এমন একটা উত্তেজনার, আবহাওয়া স্থষ্টি করিয়াছে, যাহা উপদ্রব উচ্ছ স্থলত দাঙ্গাহাঙ্গামার অমুকুল। এই যুক্তি সম্বন্ধে আমরা দুটি কথা বলিতে চাই। গান্ধীজী যখন অহিংস অসহযোগ আন্দোলন প্রবষ্ঠিত করেন, তাহার ফলে রাজনৈতিক হত্য ও তৎসদৃশ রাজনৈতিক অপরাধ খুব কমিয়া গিয়াছিল । ইহা একটি ঐতিহাসিক তথ্য । বর্তমান প্রচেষ্টাও অহিংসামূলক। ইহার দ্বারা ও হিংস্র বলপ্রয়োগনীতি কতকটা প্রতিরুদ্ধ হইয়াছে, যদিওঁ তাহা একেবারে প্রতিরুদ্ধ হয় নাই। আমাদের দ্বিতীয় বক্তব্য এই, যে, যে রাজনৈতিক আব-হাওয়ার উদ্ভব হইয়াছে, ধীরভাবে চিস্তা করিলে তাহার জন্য গবন্মেণ্ট নিজের দায়িত্ব বুঝিতে পরিবেন । সরকারী অনেক লোকের আচরণে যদি লোকের এই ধারণ হয়, যে, গবষ্মেণ্টের মতে বলপ্রয়োগই চরম ও শ্রেষ্ঠ উপায়, তাহা হইলে যদি কতক অদূরদর্শী ও অসাবিক প্রকৃতির লোক ঐ সরকারী লোকদের দৃষ্টাস্তের অনুসরণ করে, তবে তাহা কি নিতান্ত আশ্চর্য্য ব্যাপার ? অকুনয়-বিনয় আবেদন-নিবেদন প্রতিবাদ অনুরোধ যুক্তি তর্ক প্রভৃতির ব্যর্থতা দেপিয়, একদিকে যেমন গান্ধীজী ও তাহার অনুচরেরা অহিংস প্রচেষ্টা আরম্ভ করিয়াছেন, অন্যদিকে তেমনি অস্ত্রবল বাহুবলে বিশ্বাসী লোকের নিজেদের বিশ্বাস অনুসারে কাজ করিতেছে, ইহা কি অসম্ভব ? যদি গবন্মেণ্ট শাস্তির পথকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, তাহা হইলে আমাদের বিবেচনায় গান্ধীজীকে সরকারের বন্ধুই মনে করা উচিত। আমরা আগেই বলিয়াছি ও দেখাইয়াছি, যে গান্ধীজীর অহচরের ‘আনুরুলী বা উচ্ছম্বল নহে। স্বতরাং তিনি তাহার উচ্ছম্বল অমুচরদিগকে শাসন করিতেছেন না, বা করিতে পারিতেছেন না, এই দোষারোপ ন্যায়সঙ্গত নহে। কিন্তু যদি তাহারা তাহা হইত, তাহা হইলে, একদিকে গবন্মেণ্টের তাহাকে দোস দিবার যেমন অধিকার জন্মিত, অন্যদিকে তেমনই পুলিশের মধ্যে উচ্ছম্বল জুলুমবাজ লোকদিগকে শাসন করাও গবন্মেন্টের উচিত হইত। গান্ধীজীর অনুচরদের যে-সব সত্য বা অযথার্থ দোষের জন্য গবন্মেণ্ট গান্ধীজীকে দোষ দিতেছেন, সরকারী অনেক লোকের বিরুদ্ধে সেই সব দোষ অহরহ খবরের কাগজে বাহির হওয়া সত্ত্বে ও গবন্মেণ্টের প্রতিবাদ বা প্রতিকার কিছুই না করা সঙ্গত আচরণ নহে। ভারত গবন্মেণ্ট বা কোন প্রাদেশিক গবন্মেটে যদি নিরুপদ্রব ভাব ও অবস্থা ভালবাসেন, তাহা হইলে পরিষ্কার ভাষায় সরকারী জুলুমবাজ লোকদের ব্যবহারের তিরস্কারপত্র বাহির করা, কিংবা এরূপ জুলুমের সম্বন্ধে অনুসন্ধান কমিটি বসান,কিংবা অস্ততঃ জুলুমের সংবাদের প্রতিবাদ করা গবন্মেন্টের উচিত। সেরূপ কিছু না করিলেও গান্ধীজীর অনুচরেরা জুলুম সহ করিয়াই চলিবে, কিন্তু উত্তেজনাপরায়ণ অষ্ঠ