Հ: সংখ্যা । বিবিধ প্রসঙ্গ---মহাত্মা গান্ধীর কারারোধের ফলাফল శ్రీ) ) جمعیتی بایستی بیبیست official methods by which sought to be frustrated, must come to a peaceful ending,” “of R+ আইনের উপর আক্রমণ এবং তাহ ব্যর্থ করিবার সরকারী চেষ্টা উভয়ই জুলুম জবরদস্তি না করিয়া চালান যায়, তাহ হইলে উহা অচিরে শাস্তিপূর্ণভাবে থামিয়া যাইবে।” লবণ-আইন-লঙ্ঘন-প্রচেষ্টা সত্যাগ্রহীরা সাধারণতঃ জুলুম জবরদস্তি দ্বারা চালাইতেছে, এরূপ সংবাদ কোন দৈনিক কাগজে আমাদের চোখে পড়ে নাই, কিন্তু ঐ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করিবার জন্য বিস্তর জায়গায় অনেক সরকারী লোক জুলুম জবরদস্তি অত্যাচার করিয়াছে ও করিতেছে এরূপ সংবাদ দিনের পর দিন, বিনা সরকারী প্রতিবাদ ও বাধায়, নানা দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে। এ অবস্থায় রক্তপাত ও আগুনের খেলার জন্য কোন পক্ষ দায়ী, বা কাহার কম কাহার বেশী অথবা উভয় পক্ষই সমান দায়ী, তাঁহা ভবিষ্কাতে নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক স্থির করিবেন। অসহযোগ আন্দোলনের আগেকার ইতিহাস আলোচনা কয়| এখন অপ্রাসঙ্গিক হইবে । সুতরাং, বোম্বাই গবন্মেষ্ট তৎসম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন আমরা তাহ নি ভূল মনে ন করিলেও, সেরূপ আলোচনা করিব না। বোম্বাই সরকার সম্ভবতঃ যে-যে কারণে এতদিন গান্ধীজীকে গ্রেপ্তার করেন নাই, তাহার আলোচনা আগে করিয়াছি। তাহাতে সহিষ্ণুতার বা অন্য কিছুর পরিচয় পাওয়া যায়, পাঠকের তাহ অকুমান করিতে পারিবেন। কিন্তু বোম্বাই সরকার যদি সহিষ্ণুই হন, তাহা হইলে গান্ধী ছাড়া অন্য নেতাদের এবং অনেক অন্তচরদের সম্বন্ধে সহিষ্ণুতা দেখান নাই কেন ? and from the il zevas মহাত্মা গান্ধীর কারারোধের ফলাফল সাধারণ মামুষেরা যেমন অমর নহে, অসাধারণ মানুষেরাও তেমনি মৃত্যুর অধীন। তাহারা সাধারণ লোকদিগকে উপদেশ ও উৎসাহ দিবার জন্য এবং চালিত করিবার নিমিত্ত চিরকাল বাচিয়া থাকেন না । তাহাদের AAA SSAA AAS AAAAA AAAA MMMMAMMMAMAMMAAAA মৃত্যুর পর তাহাদের জীবন চরিত্র চিস্ত কথা ও কাজের প্রভাব মানুষ অনুভব করে ও তাহার দ্বার চালিত হয় । অসাধারণ মাতুষদের মধ্যে যে সকল গুণ ও শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়, সাধারণ মানুষদের মধ্যেও তাহ! আছে, কিন্তু ততটা বিকশিত অবস্থায় না থাকিতে পারে । মহাপুরুষদের জীবনের প্রভাবে তৎসমুদয় বিকশিত হইতে পারে । অতীত কালের মহাপুরুষদের মৃত্যু হইলেও তাহাদের শক্তি ও প্রভাব লুপ্ত হয় নাই। মহাপুরুষদের শক্তি ও প্রভাব মৃত্যু যখন বিনষ্ট করিতে পারে মা, কারাদণ্ডও তখন নিশ্চয়ই তাহার হ্রাস বা বিনাশ সাধন করিতে পারে না । সুতরাং মহাত্মা গান্ধীর কারাদণ্ড লশতঃ তাহার জীবনের সুপ্রভাব ও সুফল হইতে ভারতবর্ষ ও অন্যান্ত দেশ বঞ্চিত হইবে না । তৎকত্ত্বক প্রবর্তিত প্রচেষ্ট। তাহার ব্যক্তিগত পরি. চালনা হইতে বঞ্চিত হইবে বটে ; কিন্তু অন্ত নেতাদেরও বুদ্ধি এবং অন্তবিধ যোগ্যতা আছে। সুতরাং ভারতীয়দের স্বাধীনতালাভ-অভিযান কর্ণধারবিহীন হইবে না। মহাত্মজীর মানবপ্রেম এবং অহিংস ভাবও তাহার দলের অনেকের বহু পরিমাণে আছে । র্তাহাকে বন্দী করায় গবন্মেন্টের কি সুবিধা বা অসুবিধা হইবে, তাহা আমাদের ভাবিবার ও বলিবার প্রয়োজন । নাই। কিন্তু সরকারী লোকেরা যদি মনে করিয়া থাকেন, যে, তাহাকে বন্দী করিলেই আন্দোলন থামিয়া যাইবে, এবং দেশে শাস্তি ও সস্তোষের আবির্ভাব হইবে, তাহ হইলে সেটা তাহাদের ভ্রম বলিয়া মনে করি । মহাত্মাঞ্জীর কারারোধে তাহার কোন চিত্তবিকার হয় নাই । আমরাও দুঃখিত, চিস্তিত, উত্তেজিত বা ক্রুদ্ধ হই নাই। তাহা যদি হইতাম, তাহা হইলেও গবন্মেণ্টের কাৰ্য্যের প্রতিবাদ করিতাম না ; কারণ প্রতিবাদ নিষ্ফল এবং অক্ষমের ছদ্মবেশী ক্ৰন্দন মাত্র । গান্ধীজী বন্দীরুত হইবার পূৰ্ব্বে ও পরে সরকারী ও বেসরকারী লোকদের দ্বারা যে সব উপদ্রব হইয়াছে, তাহ অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয় । শাসন ও পুলিশ বিভাগের সরকারী লোকদের উপর গান্ধীজীর উপদেশের ও চরিত্রের
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।