SAMMAMAMMAMAMMMAMMAMMAMAMMAMMMMAMMMAM AMMSAASAASAASAASAAMMAMMAMMAMMMAMAeAeMMMAAAA সম্মেলনের কাজ আপাততঃ একরকম বন্ধ রাখিবার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপিত ও পরিত্যক্ত হইয়াছিল । ইহার সমর্থকদের মতে দেশের বর্তমান স্বাধীনতালাভপ্রচেষ্টার দিনে শিক্ষকদের তাহাতেই যোগ দেওয়া উচিত, বিদ্যালয় সকল বন্ধ রাখা উচিত, সুতরাং শিক্ষক সম্মেলনের কাজও স্থগিত রাখা উচিত । অবশ্য যে-সব শিক্ষক এই প্রচেষ্টায় যোগ দিতে চান, র্তাহাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কাহার ও উচিত নহে । কিন্তু যে-সব দেশ সশস্ত্র যুদ্ধে ব্যাপৃত হয়, তাহার ও সাধারণতঃ স্কুলগুলি বন্ধ করিয়া দেয় না । মহাত্মা গান্ধী ও গুজরাট বিদ্যাপীঠের স্কুলবিভাগ বন্ধ করেন নাই । বিদ্যালয়গুলি খোলা রাখিতে হইবে । সুতরাং তাহার শিক্ষক চাই । শিক্ষক থাকিলে তাঙ্গাদের কর্তব্য এবং তাভাব-অভিযোগের আলোচনার জন্য সম্মেলন ও চাই । সম্মেলনে কতকগুলি প্রবন্ধ পঠিত হইয়াছিল। মহিলাদের মধ্যে একমাত্র কুমারী শান্তি ঘোষ, বি-এ, প্রবন্ধ পড়িয়াছিলেন । তাহা সুচিন্তিত, সুলিখিত ও স্বপঠিত হইয়াছিল । সব কথা নিভীক ভাবে অথচ ওজন করিয়। বলা হইয়াছিল। শিক্ষক মহাশয়দিগকে ছাত্রের লাঠিখেল, ছোরাখেলা, সড়কিখেল প্রভৃতি দেখাইয়াছিল। প্রেস ও সংবাদপত্র উপ-আইন ইংরেজীতে যাহাকে অর্ডিন্যান্স বলে, বাংলায় তাহার কোন প্রতিশব্দ নাই। উহা এক প্রকার উপ-অাইন । ঐরূপ উপ-আইন প্রণয়নের জন্য ব্যবস্থাপক সভার প্রয়োজন নাই ; বড়লাট স্বেচ্ছা অনুসারে তাহ প্রবত্তিত করিতে পারেন। সম্প্রতি তিনি উপযুপরি তিনটি উপ-আইন জারী করিয়াছেন। তাহাতে এই জানা কথাটা স্পষ্টতর হইয়াছে, যে, ভারতবর্ষে গণতন্ত্র যতটুকু প্রবত্তিত হইয়াছে, তাহ নামে মাত্র ; কাৰ্য্যতঃ আমাদের যে-কোন অধিকার বড়লাটের ইচ্ছায় লুপ্ত হইতে পারে। সুতরাং উপ-আইনের স্বষ্টি তিনটিতেই না থামিতে পারে। তিনটির মধ্যে একটি প্রেস ও মুদ্রাযন্ত্র সম্বন্ধীয়। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ حسیبیعی - عصحمایع تبییعه [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্থায়ী পূৰ্ব্বতন কোন-না-কোন আইন অনুসারে দণ্ডনীয় ছিল । তদ্রুপ অপরাধ দমনের জন্য নুতন ব্যবস্থার দরকার ছিল না । কিন্তু আগেকার আইনগুলি অতুসারে কাহাকেও শাস্তি দিতে হক্টলে তাহাতে বিচারের প্রয়োজন হইত। সেটা একটা অসুবিধা । বিচার করিয়া শাস্তি দিতে গেলে বিলম্ব হয়, ব্যয় ও হয় । কচিং কোন আসামী বিচারকের ন্যায়পরায়ণতা, খেয়াল ব৷ ভ্ৰমে খালাসও পাইয়। যাইতে পারে। উপ-তাইনে এরূপ কোন অস্থবিধার সম্ভাবনা নাই। তদ্ভিন্ন সাধারণ আইন ও উপ-আইনের কার্য্যকারিতায় আর একটি প্রভেদ এই আছে, যে, সাধারণ আইনে কোন প্রেসের বা সংবাদপত্রের ( গবন্মেণের মতে ) অনিষ্ঠকারিত। সম্পূর্ণ নষ্ট করা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়সাপেক্ষ । কোন অপরাধের জন্য কোন প্রিণটার ব! সম্পাদক দণ্ডিত হইলে অন্য প্রিন্টার বা সম্পাদক তাহার স্থান অধিকার করিতে পারে—ছাপাখানাট ব! কাগজটা শীঘ্র বা বিলম্বে উঠিয় না যাইতে পারে । কিন্তু উপ-আইন অনুসারে “অপরাপী” ছাপাপান ও সংবাদপত্র সরকার সমূলে বিনা ব্যয়ে বিনষ্ট করিতে ত পারেনই, অধিকন্তু আমানতি টাকাট গবন্মেণ্টের থাকিয়া যায়, এবং বাজেয়াপ্ত ছাপাখান বিক্রী করিয়াও অনেক আয় হইতে পারে । ভারতসরকার এই প্রকার উপরি পাওনার জন্য এই উপ-আইনটি জারী করিয়াছেন, তাহা আমাদের বিশ্বাস নহে । আমরা কেবল সাধারণ আইন এবং আলোচ্য উপ-আইনটির কাৰ্য্যকারিত, সুবিধা অসুবিধা এবং লাভ-অলাভের প্রভেদ দেখাইতেছি । এই উপ-আইন দ্বার সংবাদপত্রের ও ছাপাখানার স্বাধীনতা বিনষ্ট হইল । ইহার অর্থ এ নয়, যে, কোন খবরের কাগজ গবন্মেণ্ট সম্বন্ধে বা অন্য কোন বিষয়ে কিছু বলিতে পারিবে না বা বলিবে না ; অর্থ এই, যে, যে যাহা লিখিবে ছাপিবে তাহার জন্য শাস্তি পাওয়া না-পাওয়া সম্পূর্ণরূপে সরকারী লোকবিশেষের মঙ্গি খেয়াল বা অনুগ্রহের উপর নির্ভর করিতে হইবে । শাস্তি নাপাইবার অধিকার আমাদের থাকিল না। যদি শাস্তি
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।