১৮ AMMAMMMMMMAMAAA AAAA AAAA AAAAMAeeS প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমি বললুম—ব্যাপারটা কি হয়েছে খুলেই বল না झांझे । মতিলাল এতক্ষণ চুপ ক’রে ছিল। এবার সে বললে— चक्र चाभिद्दे बन्छ । মতিলালের কথা শুনে নির্শল মুখ তুলে তার দিকে পইলে। কিন্তু তার চোখ দুটো অশ্রভারে তখুনি চুয়ে পড়ল। সে অন্যদিকে মুখখান ফিরিয়ে নিলে। মতিলাল বললে-আমি আর হিমানী স্থির করেছি যে, তোমাদের কাছ থেকে আর অর্থ-সাহায্য নেব না। এই অবধি বলে মতিলাল চুপ করলে। আমাদের কারুর মুখ দিয়েই আর কোনো কথা বেরুলো না, মতিলালও চুপ ক’রে রইল। হেমস্তের সন্ধ্যা তার অন্ধকারের সঙ্গে রাশি-রাশি ধোয়া নিয়ে ছোট্ট সেই খোলার ঘরখানার ভেতরে এসে জমা হোতে লাগল। ক্ষারই মধ্যে বসে-বসে আমার মনে হোতে লাগল, একদিন এখর দিবালোকে আমরা যে এই চারটি বন্ধু পরস্পরের কাছাকাছি হয়েছিলুম এই অন্ধকারের মধ্যে বুঝি সেই বন্ধনের গ্রন্থি ছিন্ন হয়ে গেল। অনেকক্ষণ এইভাবে কেটে যাবার পর নির্মল বলে উঠল—বাতিটা জালোবৌদি। হিমানী বললে—এই যে জালি । হিমানীর কণ্ঠস্বর ভারী। বেশ বুঝতে পারা গেল অন্ধকারে সে কাদছিল। বাতিটা জালবার পর মতিলাল বললে-এর জন্য তোমরা দুঃখু কোরো না বন্ধু । আমি হিমানীর জন্য ও হিমানী আমার জন্য কতখানি ত্যাগ করেছে ও একে অন্তের জন্য কতখানি সহ্য করতে পারে ত অভাবে না পড়লে তো বুঝতে পারব না। হিমানীকে পাওয়ার স্থখ আমি সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করতে কিছুতেই পারছি না, যতক্ষণ না তাকে পাবার দুঃখটাও ভোগ করছি। এতে তোমরা ক্ষুন্ন হয়ে না। তা হ’লে আমরা দু-জনেই মৰ্ম্মাস্তিক দুঃখ পাব। সেদিন এ সম্বন্ধে আর আমাদের কোনো কথা হ’ল না। বাড়ী ফেরবার সময় সমস্ত পথটা মতিলালকে গালাগালি দিতে-দিতে ফেয়া গেল।
- তখন মাসের শেষ, ঘাড়ী ভাড়া দেবার সময়। আমি
আর নিৰ্ম্মল স্থির করলুম যে, চুপি-চুপি তাদের ওখানে গিয়ে বাড়ীওয়ালাকে ঘরভাড়াটা দিয়ে হিমানীর সঙ্গে দেখ৷ না ক’রেই পালিয়ে আসব। ঠিক করা হ’ল যে, দুপুরবেলায় গিয়ে কাজটি সেরে আসতে হবে, কারণ সে সময় মতিলাল বাড়ীতে থাকে না । - দুই বন্ধু দুপুরবেলা মতিলালের বাড়ীতে গিয়ে সোজা একেবারে বাড়ীওয়ালার ঘরে গিয়ে ওঠা গেল। বাড়ীওয়ালা আমাদের প্রস্তাব গুনে হেসে বললে—তারা তে কাল বাড়ীভাড়া চুকিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। বাড়ীওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করলুম—কোথায় গেল তারা ? কেন গেল তারা ? বাড়ীওয়ালা তার আন্দাজ মত দু-একটা জায়গার নাম কবুলে। তখুনি দুজনে ছুটলুম সেখানে বস্তির পর বস্তি আতি-পাতি ক’রে খুজে বেড়ালুম, কিন্তু মতিলাল ও হিমানীর কোনো সন্ধানই পেলুম না। মতিলাল কেন আমাদের ছেড়ে গেল ! না হয় সে আমাদের সাহায্য না-ই নিত। এই নিৰ্ব্বান্ধব শহরে আমাদের চেয়ে বন্ধু সে কোথায় পাবে ? পরদিন থেকে আমি আর নিৰ্ম্মল মাঠে যাওয়া বন্ধ রেখে কলকাতা শহরের বস্তিতে-বস্তিতে সেই পলাতক বন্ধু আর বান্ধবীর সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে লাগলুম। একমাস অবিশ্রাস্ত চেষ্টা ক’রেও তাদের কোনো সন্ধাম ন পেয়ে হতাশ হ’য়ে আবার একদিন সন্ধ্যাবেলায় মাঠে ফিরে এলুম। মাঠের সেদিনকার অবস্থা আজও স্পষ্ট মনে পড়ে। সেখানে গিয়েই বুঝতে পারলুম একটা বিষাদের ছায়৷ সেখানকার অনাবিল আনন্দকে স্নান ক’রে ফেলেছে। ফুটবল খেলা বন্ধ, গানও বন্ধ—বন্ধুরা এককোণে মানমুখে বসে রয়েছে। মাঠের ঠিক মাঝখানেই দেখি একটা বড়গোছের হোগলার ঘর উঠেছে। এখানে-সেখানে চারিদিকে লম্বা-লম্বা গৰ্ত্ত । ংবাদ পাওয়া গেল যে, যারা জমিটা কিনেছে তার বাড়ী তুলছে। মাস-দুয়েকের মধ্যেই সেখানে বড় বাড়ী তৈরী হবে। চোখের সামনে প্রতিদিন একখানার পর একখানা ইট গেথে মিস্ত্রিরা সেখানে দালান তুলতে লাগল। বন্ধু