পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AM AMSAASAASAASAASAAAS কুঙ্কটিকা ও কিরণ w&ులు) পদার বালাই নাই। স্বামীর সঙ্গে মোটরে চড়িয়া, টেনিস খেলিয়া, টি পার্টি, ডিনার পার্টিতে যোগ দিয়া দিনগুলি বেশ লঘু স্বচ্ছন্দভাবেই উড়াইয় দেন। ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলি চকলেট বিস্কুট চাখিয়া, ঘাড় কামাইয়া খাট চুল রাখিয়া, হাটুর উপর স্কার্ট ঝুলাইয়৷ প্রজাপতির মত বিচিত্র ছন্দে মৃত্য করিয়া বেড়ায় । ব্যাঙ্কের খাতা শূন্ত হইলেও ফ্যাসানের কেতা দুরন্ত । বড় বড় পার্টিতে সেজদিদি কয়েকবার ফ্যান্সি ড্রেসের পুরস্কার পাইয়াছেন । বৈষম্যই বোধ হয় জগতের বৈশিষ্ট্য। তাহার পাশের ঘরেই পুরাদস্তুর হিন্দুয়ানী বজায় রাখিয়া মেজদিদি স্বামী, পুত্র ও পুত্রবধু সহ অবস্থিতি করিতেছেন। স্বামী ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার ছিলেন ; উপস্থিত অবসর লইয়৷ সঞ্চিত ক্যাশের তত্ত্ব লইতেছেন। কলিকাতার উত্তরাঞ্চলে নিজস্ব বাট করিয়াছেন। একমাত্র পুত্র। সে-ও সম্প্রতি র্তাহার পরিত্যক্ত ব্যাঙ্কের একখানি চেয়ার দখল করিয়া বসিয়াছে। কিন্তু তাহাতে সাংসারিক আয়ের কিছুমাত্র সচ্ছলত হয় না। ছেলের পান সিগারেট চা চপেই ঐ টাকাট খরচ হইয়া যায়। মেজদিদি সেজন্য কিছুমাত্রও দুঃখিত নহেন । নিজ বসতবাড়ীরই একাংশ জনৈক মান্দ্রাজবাসীদের চড়া হারে ভাড়া দিয়াছেন,—বলেন, এই বাড়ীই আমার রোজগেরে ছেলে ! কথাটা সত্য । তাহ ছাড়া ব্যাঙ্কের কল্যাণে মোট স্বদের টাকাটা সংসারের আয়ব্যয় সম্বন্ধে বহুদিন হইতেই তাহাকে অভয়বাণী ওনাইয়া আসিতেছে। মাহুষটি দৈর্ঘ্যপ্রস্থে দশাসই । গায়ের গহনাওঁ খুব বেশী নাই ; তবে তাগা, বাল, হার ও চুড়ি লইয়া সৰ্ব্বযুদ্ধ সের-পাচেক সোনা তাহার অঙ্গে চাপান রহিয়াছে। পরণে গরদের শাড়ী, দেখিলে বোধ হয় বনিয়াদী চাল । তার পরের ঘরখানিতে থাকেন মেজভাইয়ের স্ত্রী। ভাই পুলিশ-ইনস্পেক্টর-ছুটি পান নাই। স্ত্রী র্তাহার ছয়টি কন্যা ও একটি পুত্রসহ বৃহৎ সমুদ্রের স্রোতে মিলিতে আসিয়াছেন। গৃহস্থ মানুষ, পুলিশের চাকরী করেন। স্ত্রীর অষ্ট অঙ্গে অলঙ্কারের অপ্রতুল নাই! তবে প্যাটার্ণগুলি মিশ্রিত, সেকাল ও একালের সমন্বয় বজায় ہیے مہتمم عص صعحم রাখিয়াছেন। হিসাবী লোক বলিয়া বারে বারে বাণীর টাকাটা খচর করিতে তিনি নারাজ । পুরাতন যাহা ছিল তাহার উপর নূতন তৈয়ারী হইয়াছে এবং এখানে আসিবার সময় স্ত্রীকে বারংবার বলিয়া দিয়াছেন—সদসৰ্ব্বদা সমস্ত অলঙ্কার ও ভাল ভাল জামাকাপড় পরিয়া যেন তিনি চারিদিকে আপনার স্বামীগৰ্ব্ব প্রচার করিতে কুষ্ঠিত না হন। তবে সাবধানও করিয়া দিয়াছেন—উহার একখানিও যেন অসাবধানে তাহার অঙ্গচু্যত না হয়। স্বামীর রুক্ষ্ম মেজাজের কথা স্ত্রী ভাল করিয়াই জানিতেন । তাই নূতন পুরাতন সমস্ত অলঙ্কার পরিয়া, মুহু মুহু শাড়ী বদল করিয়া স্ত্রীমহলে বেশ একটু কৌতুকের সঞ্চার করিয়াছেন। - সম্মুখের সারিতে প্রথম কক্ষখানিতে ন’দিদির স্থান হইয়াছে। কক্ষটি ছোট—মানুষও তাহারা সবেমাত্র দুটি । পুত্রকষ্ঠা হয় নাই—হইবার বয়সও গিয়াছে। তথাপি স্বামী স্ত্রী কেহই অস্বর্থী নহেন। পরের ছেলে দেখিলেই কোলে তুলিয়া আদর করেন—ভাল ভাল খেলান কিনিয়া দিয়া তাহাদের মুখে হাসি ফুটাইতে যত্ন করেন। বোম্বাইয়ের কোন-একটা মিলের ইলেক্‌টিক ইঞ্জিনিয়ার ইহার স্বামী । নাসিকে বাড়ী কিনিয়াছেন । সময়ে সময়ে স্বামী স্ত্রী মিলিয়া ভারতের সমস্ত তীর্থপরিভ্রমণ করেন। অলঙ্কার বা বেশভূষার বাহুল্য নাই । স্থির সমুদ্রের জল—অল্প বাতাসে বোধ হয় এমনই তরঙ্গহীন গাম্ভীষ্যে সৌন্দয্য বিস্তার করিয়া থাকে ! ফুলদিদির স্বামী আসিয়াছেন—পুত্রকন্যারাও আসিয়াছে ; তিনি নিজে আসিতে পারেন নাই । অস্তঃসত্ত্ব বলিয়৷ ডাক্তার নড়িতে নিষেধ করিয়াছেন। পাশের ঘরখানি তাহার পুত্রকন্যারাই দখল করিয়াছে। স্বামী কণ্ট,াকটার-উপার্জন নেহাৎ মন্দ করেন না। তৃতীয় ঘরখানিতে আলমোড়ার প্রসিদ্ধ যক্ষ্মা-চিকিৎসক বিলাত-ফেরৎ ডাক্তার এ-এন, মিটার আশ্রয় লইয়াছেন । ইনি পঞ্চম ভ্রাতা। ডাক্তারীর আয়ে শৈলাবাসে জায়গাজমি কিনিয়া স্থায়িভাবে বসবাস করিতেছেন। বাংলা ভাষা না ভুলিলেও বাঙালী রীতি বিশ্বত হইয়াছেন। ভুলিয়াও ধুতি পরেন না, আসনে