পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ہم جسم یحییمبیہ-جی. YAMSMAAMAeSMzMAMAMAMAAA SAAAAA S কুঙ্কটিকা ও কিরণ কহিল,—কিন্তু এর ডাকাত। একদণ্ডের এতটুকু স্থখকে ত্যাগ করতে চায় না, জোর করে আদায় করে। কক্ষান্তরে ডাক্তার মিটার তাহার পত্নীকে বলিতেছিলেন, দেখলে তো মিমু, বাঙালীর কুসংস্কার । এত অল্পবয়সে বিয়ে—— পত্নী কহিলেন,—ওসব কথা এখন থাক । বাড়ীতে না-ই-বা করলে ওসব আলোচনা ! ডাঃ মিটার বলিলেন,—বল কি মিকু ? যা কুসংস্কার তা উচ্ছেদের জন্য আমি চিরকাল প্রাণপণ ক’রে এসেছি, হ’লেই বা ভাইয়ের বাড়ী ! বাঙালীদের এই কুসংস্কার— পত্নী হাসিয়া বলিলেন,—ওগো সায়েব মানুষ, থাম। তোমার ও গরম বক্তৃতা পরিপাক করবার মত শক্তি সকলের থাকে না। আর কি ক’রবে লেকচার দিয়ে ! বিলেত ঘুরে সায়েব হ’য়ে এলেও ভাগ্যক্রমে বাঙালীর ঘরেই যখন জন্মগ্রহণ করেছ তখন এ সমাজের দোষ কীৰ্ত্তন করলেই তো তোমার মুখ উজ্জল হ’য়ে উঠবে না। ডাঃ উত্তেজিতকণ্ঠে কি বলিতে যাইতেছিলেন,— বয় আসিয়া সেলাম জানাইল,—হুজুর থানা তৈয়ারী। অতঃপর বাক্যব্যয় না করিয়া সাহেব ভোজনকক্ষে চলিলেন । নবীনকালী স্বামীকে কহিলেন,—বিয়ে তো ফুরুলো, এরই মধ্যে আমি কিন্তু ফিরছি না। দিনকতক ক’লকাতায় থেকে থিয়েটার, বায়স্কোপ, সার্কাস,—মিউজিয়াম, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে কিছু জামাকাপড় কিনে জব্বলপুর যাব। একখানা ছোটখাটো বাড়ী দেখ। সভয়কম্পিত অস্তরে শুষ্কস্বরে উকীল-স্বামী বলিলেন,— কিন্তু আমার কোর্ট যে পরশু খুলবে ? পরম উদাসীনভাবে নবীনকালী কহিলেন,—বেশ তো তুমি যাও কোর্ট করগে। ভূপেনকে নিয়ে আমি সব দেখে বেড়াব। ভাল কথা, এখন কিছু টাকা দিয়ে যাও, তারপর সেখানে গিয়ে মনিঅর্ডার করে । ন’দিদির মত পরের ব্লাউজ, মেজদিদির মত গরদের লালপাড় সাড়ী, ফুলীর । মত একটা ক্ৰচ, আর বড় বৌদির মত ঢাকাই শাস্তিপুরী শাড়ী ক’খানা আমার চাই । 8v)-\o SAMAMMMMMMA MAMAAA AAASS উকীল-স্বামী কোন উত্তর না দিয়া ਬਾਂ আপনার দশ বৎসরের পুরাতন কোটটির পানে একবার সতৃষ্ণ করুণ নয়নে চাহিলেন ? সেজবৌয়ের স্বামী কহিলেন,—তুমি না হয় দিনকতক এখানে থেকে যাও । ছেলেপুলেগুলো ম্যালেরিয়া জরে ভুগে ভুগে অস্থি-চৰ্ম্মসার হয়েছে, একটু সেরে উঠুক। সেজবোঁ ছল ছল চক্ষে উত্তর দিল,—আমার আসাই অন্তায় হয়েছে। চোর বদনাম কপালে লেখা ছিল, পেলুম, আর কেন । যার পয়সা নেই তার এ সব সাধ আহলাদ কেন ? দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া স্বামী বলিলেন,—তা ঠিক । গরীবের বেঁচে থাকাই বিড়ম্বন ! বিদায়কালে বেলা একে একে সকলকে প্রণাম করিল। সকলেই নববিবাহিতাকে অবস্থানুযায়ী নূতন নূতন যৌতুক দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। সেজবৌয়ের পায়ে প্রণাম করিতেই সে লজ্জাবিবর্ণ মুখখানি নত করিয়া কুষ্ঠিতস্বরে কহিল,—স্বামী সোহাগিনী হও, এর চেয়ে বড় আশীৰ্ব্বাদ আমার নেই। বেলা বলিল,—কাকীম, আমায় কিছু দেবেন না ? সেজবে মানমুখী হইয়া মৃদুস্বরে কহিল,—সোনাদান কিছুই তো আমার নেই মা, আছে শুধু এই গাছ শাখা। এত লোকের সামনে এ বার করতে লজ্জায় যে আমার মাথা কাটা যাচ্ছে, বেলা ! বেলা সলজ্জ হাসি হাসিয়া তাহার হাত হইতে শাখা দু’গাছি লইয়া পরম শ্রদ্ধাভরে আপনার মাথায় ঠেকাইল ও তেমনি পুলক-কম্পিত মৃদুস্বরে কহিল,—আজ এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ কেউ তো আমায় দান করেন নি; কাকীমা।—বলিয়া অবনত হইয়া আর একবার তাহার পায়ের ধূলা তুলিয়া মাথায় লইল । পশ্চাতে দাড়াইয়া ডাঃ মিটার সমস্ত লক্ষ্য করিতেছিলেন । তিনি ঘৃণায় নাসিক কুঞ্চিত করিয়া আপন কন্যা মীরাকে কহিলেন,—কি কুসংস্কার মীরা ! লেখাপড়া