পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAMMAMMAMMMMMMAMAMAMMAMMAAAA বেশী হ’ল ? মীরা হাসিয়া বলিল, আমার কাছেও বাবা । অতি বিস্ময়ে দুই চক্ষু কপালে তুলিয়। ডাঃ মিটার বলিলেন,—তুইও একথা বলছিল মীরা ? মীরা তাহার হাত ধরিয়া কহিল,—আমি, হিন্দুধৰ্ম্মের কোনো শিক্ষাই পাইনি বাবা, কিন্তু মনুষ্য-ধৰ্ম্মের কিছু কিছু তোমারই কাছে শিখেছি। অস্তরের অকৃত্রিম দান বলে ওই শাখা জোড়াটা মাথায় তুলে নিতে আমিও রাজী আছি বাবা । মানুষকে যে এটুকু দিতেই হবে । ডাঃ মিটার বলিলেন,—আর এত ভাল ভাল দামী উপহারগুলো বুঝি কিছুই নয় মীরা ? মীরা হাসিয়া বলিল, ওখানে যে ঐশ্বৰ্য্যের পাল্পী দেওয়া চলেছে, একের অপরকে খাটো করবার চেষ্টা প্রবল হয়ে ফুটে উঠেছে। তুমিই বল দেখি বাবা, উঠেছে কি না ? —বলিয়া ক্ষণকাল পিতার পানে চাহিয়া বলিতে লাগিল,- আর আমি দেখছি সেজ জেঠাইমা যখন বেলাকে শাখাগাছি দেন, তখন কত না লজ্জিত, কত না কুষ্ঠিত। কিন্তু চোখেমুখে ওর কি আস্তরিকতাই না ফুটে উঠেছিল ! যেন যথার্থ কল্যাণময়ী মা—ঈশ্বরের কাছে অকপটে সস্তানের মঙ্গল কামনা করছেন । কন্যার কথায় ডাঃ মিটার সহসা গম্ভীর হইয়া সিগার ধরাষ্টয়া ধূম্ৰ উদগীরণ করিতে লাগিলেন । عكسيك صعصعصيتيتيتيتيتي মহাকাল শর্বরী শ্রীজীবনময় রায় আজি ফাল্গুনী পূণিমু নিশি ঘেরিয়াছে মেঘজালে ; খর চঞ্চল পূরবী পবন পরশিছে আসি ভালে। ইন্দু-কিরণ-লিখা বিদ্যুৎ অসি রূপে ঝলকিছে, হানিছে অগ্নিশিখা ৷ পঙ্কিল হ’ল অম্বরতল, শঙ্কিল বনরাজি, ধরণী গগনে শ্বসিছে সঘনে শাখানাগিনীর আজি । পঞ্চশরের ফুলবন মথি’ এ কোন মত্ত করী, নিৰ্ম্মম রোষে মাতিয়া বেড়ায় গগনাঙ্গন ভরি’ । কতদিন বসি’ কল্পনালোকে আজি সায়াহটিরে রচিয়া রচিয়া তুলেছিনু মুখে কত রঙে রসে ঘিরে । শিশুকাল হ’তে যত রূপকথা যতেক আখ্যায়িক ; আজিকার এই সন্ধ্যাবাসরে দিয়েছিল রাজটীকা । সাগর হইতে সুনীলকান্ত, আকাশ হইতে চুনী, ত্রিদিব হইতে এনেছিছু লুটে আজিকার ফাঙ্কনী । কত দুৰ্গম গিরির শিখরে, কত বিনিদ্র পুরে, সিন্দবাদের রত্বগুহায় ফিরিয়াছি ঘুরে ঘুরে । আম্রমুকুল ঘন স্বগন্ধ-ধূপে সন্ধ্যার ছায়া ভরিয়া তুলেছি পুলকোৎসবে রচিয়া রঙীন মায়া । তারি মাঝে মোর চিত্তপুরের মণিকোঠাবাসিনীরে অরুণ লেখার সোনার কাঠিতে জাগায়ে তুলিব ধীরে ; চন্দ্রকিরণ চন্দন লেখ শুভ্র ললাটে তব স্বপনজড়িত নয়ন-আলোকে মনে হবে অভিনব ; এই ছিল মোর মনে, সহস কখন ভাঙিল স্বপন গম্ভীর নিঃস্বনে। আকুলি’ উঠিল শাস্ত আকাশ ব্যাকুল বক্ষতল অন্ধ আবেগে আম্ৰবীথিক হইল বিচঞ্চল । ঝর ঝর ঝরে চুতমঞ্জরী থর থর কাপে পাতা, চিত্ত মাঝারে উঠে হাহাকারে কলক্ৰন্দন গাথা । আজি ফাল্গুনী পূর্ণিমা মোর নিমেষে ব্যর্থ করি’ ঝঙ্কাডমরু নিনাদে নামিল মহাকাল শৰ্ব্বরী।