পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ക്ഷാ মুস্থিল—অপু সে কথা গ্রাহ না করিয়া উপরে উঠিয়৷ গেল। প্রৌঢ় বয়সের একটি ভদ্রলোক ঘরের মধ্যে বসিয়া, হোমিওপ্যাথি-পড় ছোক্রাটির সঙ্গে কি তর্ক চলিতেছে বাহির হইতে বুঝা গেল—ছোক্রাটি কি বলিতেছে, ভদ্রলোকটি কি বুঝাইতেছেন। সে ছোকরা একেবারে নাছোড়বান্দা, টুইশানি তাহার চাই-ই । ভদ্রলোক বলিতেছেন, ম্যাট্রিকুলেশন-ফেল টিউটার দিয়া তিনি কি করিবেন ? ক্রমে সকলে একে একে বাহিরে আসিয়া চলিয়া গেল। অপু ঘরের মধ্যে ঢুকিয় সঙ্কচিতভাবে বলিল,—আপনাদের কি একজন পড়াবার লোক দরকার—“আজ সকালের কাগজে বেরিয়েছে – যেন সে এত লোকের ভিড়, উপরে উঠার নিষেধাজ্ঞ, কাগজে নামধাম লিখিয়া রাখিবার উপদেশ কিছুই জানে না । আসলে সে ইচ্ছা করিয়া এরূপ ভালমাতুম সাজে নাই—হাপরিচিত স্থানে আসিয়া অপরিচিত লোকের সহিত কথা কহিতে গিয়া আনাড়িপনার দরুণ কথার মধ্যে নিজের অজ্ঞাতসারে একটা ন্যাক স্বর অসিয়া গেল । ভদ্রলোক একবার আপাদমস্তক তাহাকে দেখিয়া লক্টলেন, একটা চেয়ার দেখাইয়! দিয়া বলিলেন, বস্থন । আপনি কি পাশ ? ও, আই-এ পড়ছেন,-দেশ কোথায় ?...ও !...এখানে থাকেন কোথায় ?...হু ! তিনি আরও যেন খানিকক্ষণ তাহাকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিলেন। মিনিট পনের পরে—অপু বসিয়াই আছে— ডাক্তারবাবু হঠাৎ বলিয় উঠিলেন,—দেখুন পড়ানো মানে—আমার একটি মেয়ে—তাকেই পড়াতে হবে। যাকে তাকে তো নিতে পারিনে---কিন্তু আপনাকে দেখে আমার মনে হচ্চে—ওরে শোন—তোর দিদিমণিকে ডেকে নিয়ে আয় তো—বলগে আমি ডাক্‌চি--- একটু পরে মেয়েটি আসিল । বছর পনেরো বয়স, তখী, স্বন্দরি, বড় বড় চোখ, আঙুলের গড়ন ভারি স্বন্দর, রেশমী জামা গায়ে, চওড়া পাড় শাড়ী, গলায় সোনার সুরু চেন, হাতে প্লেন বালা। মাথায় চুল এত ঘন যে, দুধারের কান যেন ঢাকিয়া গিয়াছে—জাপানী মেয়েদের মত ফাপানো থোপা ! অপরাজিত లQ(t AMAMAMMAMAMAMSMASAMA SAMMAAAA —এইটি আমার মেয়ে, নাম প্রতিবালা। বেথুন স্কুলে পড়ে, এইবার সেকেণ্ড ক্লাসে উঠেচে । ইনি তোমার মাষ্টার খুকী—আজ বাদ দিয়ে কাল থেকে উনি আসবেন —ষ্ট্যা এর মুখ দেখেই আমার মনে হয়েচে ইনিই ঠিক হবেন। বয়েস আপনার আর কত হবে-এই উনিশ-কুড়ি মুখ দেপেই তে মনে হয় ছেলেমানুষ, তা ছাড়া একট distinction-ets. Ei ai grars, l খুকী বসো মা— টুইশনি জোটার আনন্দে যত হোক্‌-না-হোক, ভদ্রলোক যে বলিয়াছেন তাহার মুখে একট। distinction এর ছাপ আছে, এই আনন্দে পরিপূর্ণ হইয় সে সারাদিনট কাটাইল ও ক্লাসে, পথে, বাসাতে, হোটেলে—সৰ্ব্বত্র বন্ধুবান্ধবদের কাছে কথাটা লইয়া নিৰ্ব্বোধের মত খুব জাক করিয়া বেড়াইল । মাহিন যত নিৰ্দ্দিষ্ট হইয়াছিল, তাহার অপেক্ষ অনেক বেশী বলিল, মেয়েটির সৌন্দৰ্য্য-ব্যাখ্যা অনেক বাড়াইয়া করিল, ইত্যাদি । - কিন্তু পরদিন পড়াইতে গিয়া দেখিল মেয়েটি নিৰ্ম্মল! নয়। সে রকম সরল, স্নেহময়ী, হাস্যমুখী নয়—অল্প কথা কয়, খাটাইয়া লইতে জানে, যেন গৰ্ব্বিত । কথাবাৰ্ত্তা বলে হুকুমের ভাবে । অমুক অঙ্কট কাল বুঝিয়ে দেবেন। অমুকটা কাল ক’রে আনবেন, আজ আরও একঘণ্টা বেশী পড়াবেন, পরীক্ষণ অাছে—ইত্যাদি । একদিন কোনো কারণে আসিতে ন পারিলে তার পরদিন কৈফিয়ং তলব করিবার স্বরে অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করে। অপু মনে মনে বড় ভয় খাইয়া গেল, যে রকম মেয়ে, কোন দিন পড়ানোর কোন ক্রটির কথা বাবাকে লাগাইবে, চাকুরীতে দিয়ে দিবে জবাব—পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকিবে না । ছাত্রীর উপর অসন্তুষ্টি ও বিরক্তিতে তাহার মন ভরিয়া উঠিল । মাসখানেক কাটিয় গেল। প্রথম মাসের কুড়িটি টাকা মাহিনী পাইয়াই মাকে কিছু টাকা পাঠাইয়া দিল, বৌবাজার ডাকঘর হইতে টাকাটা পাঠাইয়। সে চলিয়া যাইতেছিল, সঙ্গের বন্ধুটি বলিল, এসে তো ভাই, একটু চোরা-বাজারে, একটা ভাল অপেরা-গ্লাস কাল দর ক’রে রেখে এসেচি–নিয়ে আসি ? চোরা-বাজার নামও কখনো অপু শোনে নাই। একটু