e سولين عبہمنی مہم حتمی حیح یہی ہی یہ مہ-عر * مـ همیم۔ مبہم প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড • হইলাম। ভরসা করি পত্রোত্তরে আনন্দদান করিতে ইতিমধ্যে র্তাহার দুই চরিখানি পত্ৰ প্রকাশ উপলক্ষে আমি তাহার স্থতির পূত-মন্দিরে এই অৰ্ঘ্য কয়টি নিবেদন করিয়া ধন্ত হইলাম। (5) যোড়ামার, রাজসাহী, ৮ই বৈশাখ ১৩১৯ বং প্রীতিনমস্কার নিবেদন আপনি শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্রবাবুকে যে পত্ৰখানি লিথিয়াছেন, তিনি তাহ আমাকে পাঠাইয়া আপনার সহিত পত্রব্যবহারের অনুরোধ জানাইয়াছেন বলিয়া অপরিচিত হইয়াও এই পত্র লিখিতে সাহসী হইলাম। গৌড়ে, বরেন্দ্রে, বিক্রমপুরে ফটো তুলিবার লোকের অভাব নাই এবং অনেক দ্রব্যেরই ফটো তুলিয়াছি, তদ্বিষয়ে আপনাকে আর কষ্টস্বীকার করিতে হইবে না । কিন্তু উড়িষ্যায় যে সকল দ্রব্যের ফটো করিতে পারি নাই, তাহার স্কেচ, করাইতে হইবে। তাহার ব্যবস্থা করিতে পারিলে জানাইবেন । কোথায় কোথায় গৌড়শিল্পকলার কি কি নিদর্শন উড়িষ্যায় দেখিয়াছি তাহার তালিকা ও ঠিকানা পাঠাইব । ‘হয়শীর্ষপঞ্চরাত্রের একখানা বঙ্গাক্ষরের পুথি পাইয়াছেন জানিয়া আনন্দ লাভ করিলাম। উহা দেখিবার জন্য অপেক্ষা করিয়া রহিলাম । একখানি মাত্র হস্তলিখিত গ্রন্থের উপর নির্ভর করা যায় না, স্বতরাং একখানি পাইয়াছেন বলিয়া সন্ধান লইবার চেষ্ট পরিত্যাগ করিবেন না। অার একখানি হস্তলিখিত পুথির আবশ্বক—তাহার দুই তিন রকমের ছাপা প্রচলিত আছে, সকলগুলিই ভুলভ্রাস্তিতে পরিপূর্ণ, তাহার হস্তলিখিত পুথি না পাইলে, ছাপা দেখিয়া কাজ করা চলে না । পুথিখানির নাম হরিভক্তিবিলাস।” উহার টীকাও আছে। সটীক হরিভক্তিবিলাসের হস্তলিখিত পুথি খুজিয়া বাহির করিতে পারিলে, আমার কাজের সাহায্য হইবে । আপনারা যখন স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া এ সকল ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করিবেন বলিয়া অভয় দিয়াছেন, তখন আর ভয় না খাইয়া, প্রথম পত্রেই অনেক ফরমাইশ পাঠাইতে সাহসী বিরত হইবেন না । অলমতি বিস্তরেণ। ভবদীয় শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ( २ ) ঘোড়ামার, রাজসাহী ১১ বৈশাখ ১৩১৯ । প্রীতিনমস্কার নিবেদন আপনার পত্র পাইয়া যুগপৎ হর্ষ ও গৰ্ব্ব লাভ করিলাম। আপনার সহিত পূৰ্ব্বপরিচয়ের সৌভাগ্য না থাকিলেও, আপনার শিল্পালোচনার সঙ্গে কিছু কিছু পরিচয় ছিল । আপনার পত্রে তাহার আরও পরিচয় পাইয়াই হর্ষ ও গৰ্ব্ব লাভ করিলাম, আপনাদিগের মত উৎসাহী, অধ্যবসায়ী, এবং একনিষ্ঠ সাধকের সাধনা অবশ্যই সিদ্ধিলাভ করিবে । আমি যখন ভারতশিল্পের তথ্যাঙ্গুসন্ধানের প্রয়োজন বোধ করি, তখনও গৌড়শিল্পের ইতিহাসের অনুসন্ধানের কামনাই একমাত্র কামনা ছিল, এখনও তাহাই রহিয়াছে। সে অনেক দিনের কথা। গৌড়ের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পুরাতন শিল্পের নিদর্শন দেখিয়াই আমি তাহার প্রতি আকৃষ্ট হই। আমার পক্ষে সৰ্ব্বদা কলিকাতা যাতায়াত ও তথা হইতে ইচ্ছামত পুস্তকাদি আনিয়া অধ্যয়ন কখনও সুবিধাজনক হয় নাই ; ইহাতে বাধ্য হইয়াই আমাকে অন্যান্য উপায়ে এ বিষয়ের অনুসন্ধান করিতে হইয়াছে। আমি কিছু লিখিতাম না, বন্ধুবান্ধবকে ল্যাণ্টার্ণের সাহায্যে ছবি দেখাইতাম। র্তাহাদিগের উপদ্রবে বঙ্গদর্শনে শ্ৰীমূৰ্ত্তি-বিবৃতি নামক প্রবন্ধ লিখিয়াছিলাম। তাহার পর বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি আমাকে গৌড়শিল্পকলার ইতিহাস লিখিবার জন্য তাড়ন করায় এতকালের পর লিখিবার চেষ্টা করিতেছি বলিয়া এখন দুই একটি প্রবন্ধ ছাপিতে দিতেছি । আমি আর আপনাদিগকে কি অভয় দিব,--আপনারাই আমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করিবেন বলিয়া অভয় দিয়া আমাকে চিরঋণে আবদ্ধ করিয়াছেন । g
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।