পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ) কামিথ্যের ঠাকুর రిyషి অনুরূপ কথাই হ’ল। এমনি ত যেতে দাও না ! অত বড় পাচিলটার ভিতরে কি বস্তু আছে না দেখলে যে প্রাণ ছুকৃছাক কবুত হ্যায়।” পাহারাওয়াল তার হাতের পাঞ্জাটায় একটু চাপ দিলে। কেবলরাম ব্যথায় উঃ ! হু করে উঠল। বললে, “কম্বর মাপ কর জী ! পিঠটায় বেত চালিয়ে মিহিদান বেঁধে দিয়েছ, হাতটায় আর কেন, বাবা ! হাত যানেসে কসরৎ ক্যায়সে দেখায়গা ?” : পাহারাওয়াল হাস্লে । কেবলরাম বললে, “মাপ কর মহারাজ খাচার দরজাট। ঘদি বা খোলা পেলাম, রাস্তাঘাটে শিং উচিয়ে আছ, পথ চলি কি করে ? রেহাই দাও, ভাই ! তোমাদের কপার কথা ভুলব না। ঘর যা’কে ভাই বন্ধ থেলায়কে স্বদ আসল আদা কর দেগা।” পাহারাওয়ালা চুপ করে রইল । কেবলরাম বললে, “আবি:হাম র্যায়ে ?” “আচ্ছা ! মন ঠিক রাখন !” কেবলের তখন পায়ের আঙুল দিয়ে রক্ত ঝরছে, আর ব্যথায় টস্টস্ করছে। কিছু দূর এগিয়ে উঠতে সে দেখলে, একটা বটগাছের তলায় ধুনী জলছে। ছেড়া আঙুলটায় একটু ছাই ঠেসে দেবার মতলবে সে সেখানে গিয়ে দেখলে, এক লম্বোদর সন্ন্যাসী—বোধ করি নাগ+– হিষ্টিরিয়ার রোগীর মত হাত পা খিচিয়ে মাটির উপর গড়াগড়ি যাচ্ছে । কেবলের একমাথা রুক্ষচুল, আর গা দিয়ে খড়ি উড়ছে দেখে ঘনিষ্ঠতায় সন্ন্যাসীর মেহরস বেগবতী হয়ে উঠল । তিনি ইঙ্গিতে তাকে কাছে ডেকে বসালেন। স্মিতহাস্তে বললেন, “জয় সীতারাম । রামকে ছাড়তে চাই—রাম ছাড়ে না। মহাপ্রভুর প্রেম দেখ । তোমার মত একটি কল্যাণবস্তুকে কাছে পেতে সীতারামকে প্রার্থন জানাচ্ছিলাম।” কেবলরাম আড়চোখে তাকিয়ে বললে, “কেন, বড়শী গেলাতে ?” 始 সন্ন্যাসী হেসে বললেন, “সে রকমের চার ঝুলিতে, বাবুজী !” নেই কেবলরাম আঙুলটায় ছাই ঠেসে দিচ্ছে, এমন সময় সন্ন্যাসী তার দিকে চেয়ে আবার মৃদুহাস্ত করলেন । বললেন, “ভূড়িটা-মৃদঙ্গ। দুপুরের আহারটাও পরিপাক হয়নি। এক টিপ সাজে। দুধ আছে, কলা আছে, থাও । পরে তেলেজলে পেটট একবার মর্দন করে দাও।” কেবলরাম ভ্র-কুঞ্চিত করে বললে, “সর্বে মদন, করেই ত সবে বের হচ্ছি। পথে পা না দিতেই ভুড়ি মৰ্দ্দন ? মৰ্দ্দনযোগই কায়েম হ’ল তা হলে ?” “সর্ষে কোথায় মাড়ালে ?” “আজ্ঞে, এই ভবসিন্ধুর কাছাকাছি।” “কেমন ?” “আজ্ঞে, ভবঘুরে লোক আপনার, ঘানিগাছটাও দেখেন নি ? নাগরদোলায় চড়েছেন ত ? ঐ রকমের ঘুরপাক আর কি ! কলির রাজ্য—মানুষ হ’ল বলদ । চোখ দিয়ে ফুল কেটেছে, আর ভেবেছি ভবসিন্ধু বুঝি, কাছে।” সন্ন্যাসী হাস্য করলেন। বললেন, “দেহে দেখি মেদমাংস নেই। - নিবুঢ়ি স্বত্বেই এই মৰ্দ্দনের কাজ করেছ ?” “এখানে কিন্তু দুধ আছে—কলা আছে।” “ইl, ও দ্রব্যটায় লোভও আছে। অনেককাল খাইনি । কথাট। এই,—এখানেও যে সেই সৰ্থে ?” “সর্ষে নয়—সর্মের কাখ । আম আর আচার এক জিনিষ নয়। তেলে জলে মালিস করলে পেটটা ঠাণ্ড হবে ।” তিনি পুনৰ্ব্বার হাস্য করলেন । সন্ন্যাসীর নাম যমুনাগিরি। সত্য সত্যই একজন শ্রেষ্ঠ সাধক। কেবলের ভাগ্যসূত্র তখন অপর রাস্তা ধরে, চলছিল। সে জিজ্ঞাসা করলে, “কলকের আগুনটা ?” “ ছাই পড়ে যাচ্ছে ? দাও, শুয়ে পড়েই টানি ? কেবলরাম ক্ষুধাৰ্ত্ত ছিল। কলিকাটা সাধুর হাতে দিয়া, ঘন আঠা দুধের মধ্যে গোটা-আষ্ট্রেক কল| চট্‌কিরে হাপুস্থ হুপুস্থ করে খেয়ে বাটিট সে চাটুতে লাগল। সন্ন্যাসীর তখনও দম চলছে। শিয়রের কাছে চারপয়সা