পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vОЂе SAAAAAA SAAAAA AAASA SAASAASAAAS দামের একখানা টিনের আয়ন মাটিতে পড়েছিল। সেগান হাতে তুলে নিয়ে চেহারাট বহুকাল পরে একবার সে দেখে নিলে । সন্ন্যাসীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলে। মনে মনে বললে, “রতনে রতন চিনে ৷” সন্ন্যাসী কেবলের হাতে কলিকাটি দিলেন । সে ভরণপেটে আমেজ করে বসে বসে টানতে লাগল । ভাবতে লাগল,—জট পাকিয়ে ঘট হয়ে বসে নিষ্কলুষ বামাচার সাধন – বিবেচক বটে । দুধ, ঘি, আটা, চিনি, কলা, করুণ।--উপরি পাওনার অভাব নেই । তারপর বামহাতে নিজের চুলগুলো টেনে টেনে দেখে ভাব লে,— চুলটা লম্বাই আছে, ঘোট বেঁপে নাকের ডগায় নজর রাখতে পারলেই পাক কচ্ছপ। খোলার ভিতর শুড় গুজে জোচ্ছরি চোখে মক্কেল খোজা-মন্দ কি ? সে আর নড়ল না। যমুনাগিরির কাছে চেলাগিরি কবৃতে রয়ে গেল । 3. কেবলরামের বুদ্ধির ঘটে চেতনা ত নেই–আছে ধোয় । সেই ধোয়াটাকেই মাকৃড়ে ধরে সে ঘনীভূত করতে চায়। যমুনাগিরির সঙ্গে থেকে দুধ, ঘি, আটা, কলা আর মিষ্টান্নের সহযোগে দেহখান সে বেশ জুতসই করে তুললে এবং সাধু সাজ বার খুটিনাটি মারপ্যাচ— মায় তাবিজ, মাদুলী, সি দুর পড়া—সমস্তই সে আয়ত্ত করে নিলে । তথন আর এ ভূড়িমৰ্দ্দনের কাজ একান্ত আপত্তিকর, অপমানজনকও বটে ! একদিন মধ্যরাত্রে নাসিক্যধ্বনির অবসরে সাধুকে অঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে সে সুদূর পূৰ্ব্বাঞ্চলে কামিখ্যায় চলে এল । কেবলের গায়ে কুসুম রংয়ের খন্দরের আলখাল্লা । পরণে গৈরিক বস্ত্র । অঙ্গে বিভূতি । ওষ্ঠে মুদুহাসি । বাহিরে বিনয়—আস্তরে প্রণয় । চোখে আধঘুম,—জতার শব্দে বোজে—চুড়ির ঠং ঠাংএ গোলে । গাছতলায় দিবারাত্র ধুনী জলে । সে ভাং গায়—তুলসীদাস পড়ে— সিদ্ধ হতে বাকী কি ? তা হলেও ক্ষিধে তেষ্ঠায় প্রথম প্রথম দিনকতক প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ SAMMAMAAAA - SAASAASAASAA MAAASASASS می مردم میمیر [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড চোখে তার তারা কেটেছে। এক এক সময় মনে এসেছে,–ধুনীর আগুন সে নিবিয়ে দেয়—আলখাল্লার বোতাম ছিড়ে ফেলে। এই সময় ব্রহ্মপুত্রের স্নান উপলক্ষে আস্তে আস্তে অনেকগুলি লোটা চিমটাধারী এসে তাকে ঘিরে বসল। বেশ মিশ খেলে—কেবলের রীতি প্রকৃতির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন এক । অতগুলো বয়েবুদ্ধ জটাজুটোর মাঝখানে তরুণ সন্ন্যাসীটির আসন দেখে, দেশের লোকের চোখে তাকু লেগে গেল । মাথা গেল গুলিয়ে। ছেলের অস্থথে ডাক্তার কবিরাজ কেহ ডাকে না-বাবার বিভূতি নিতে ছুটে আসে। শাস্তি স্বস্ত্যয়ন কেহ করে ন!—বাবার পদরেণু পাবার জন্য সাষ্টাঙ্গ হয়ে ভূমি চুম্বন করে। পসার বেশ জমে উঠল । ক্রমে জনৈক ধনাঢ্য লোকের কৃপায় একটা পাকাবাড়ীতে সে আশ্রম ফেদে বসল। সকলে এখন তাকে “ঠাকুর বাবা’ বলে সম্বোধন করে । সকাল সন্ধ্যা দু’বার বাবার দেহ লয়ে চেলা চামুণ্ডার ময়দা ঠাসে । বেলা আটট অবধি শৌচাচার, আসনযোগ, কুলকুণ্ডলিনী শক্তির চেতনা সঞ্চার। পরে বৈরাগ্যযোগ, —কামিনীকাঞ্চনে স্পৃহাহীনতা, ঠাকুরের রুপার জন্য বিপন্নগণের আনীত তুচ্ছ ঘৃত দুগ্ধ ও ফলমূলের প্রতি আড়নেত্র। তারপর উদর এবং বিশ্রামযোগের পর বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত গীত, তুলসীদাস ও চণ্ডীপাঠ, থোল করতাল সহ নাম সঙ্কীৰ্ত্তম । বাবা এ সময় ভাববিভোর হয়ে পড়েন । সময় সময় চৈতন্ত থাকে না । পরে আবার আসনযোগ,—দেশের আপদ বিপদ আধিব্যাধির কল্যাণ ভিক্ষা । অস্তিমে শান্তিপৰ্ব্ব । এই সময় ঠাকুরবাবা নির্জন কক্ষে প্রবেশ করেন। এদিকে উৎকণ্ঠায় বাহিরে সোরগোল পড়ে যায়, না জানি কাকে কাছে ডেকে ঠাকুরবাবা অনুগ্রহ বিতরণ করবেন। চেলার টহল ফেরে, তল্পিতল্পার আভ্রাণ নিয়ে দেখে কাকে বাবার কাছে এগিয়ে তোলা যায়। নেড়া মাথা অনেকেরই— ধর্ম দেওয়া সার হয় অনেকের। পনের দিনে হয়ত একটি লোক নির্জন কক্ষে বাবার সঙ্গে সাক্ষণতের অধিকারী হয়। অপর সকলে নিজ নিজ অদৃষ্টের উপরই দোষারোপ করে । বাবার প্রতি আকুযোগ থাকে না । এইরূপে