পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা কামিথ্যের ঠাকুর කුළු কুইনাইন দুবড়ী এনে খাওয়ালে পার! ওষুধের রাজা ! হাণ্ডবিল দেখেছ ?” কেতকী দেখলে এ আসরে কামিথ্যের পাল আর জমে না। ঝন্টর মা নেশাও ত বড় কম ধরিয়ে দিয়ে যায় নি। সেই ঝোকে সে প্রশ্ন করলে,—আমার অম্বলের কথাটা— বিরাজ হেসে বললে, “ছাদে উঠে দিনকতক ডাম্বেল ভশজ ন৷ ” কেতকী ভাবলে পরিহাস । পুনশ্চ বললে, “কামিথ্যেয় শুনেছি একজন ভাল সাধু আছে। ঝন্টর এই অম্বলের ব্যারাম, তার ওষুধে ত সেরে গেল।” “কামিথ্যে—ক্ষেপেছ তুমি ?” চোখদুটো কপালে তুলে দুই কর্ণে সে অঙ্গুলি ঢুকিয়ে দিলে । কেতকী বললে, "চমকে গেলে যে !” “শুধু আমি চম্‌কাইনি—পেটের পিলে পয্যন্ত । আঙ্কেল গুডুমের দেশ, বাবা ! শেষে লোকে বলুক,— বিরাজ একটা আহাম্মক-আর মুখ টিপে হাস্থক !” কেতকী হেসে বললে, “কেন, কাছার্কোচ নেই নাকি তোমার ?” “সেট না থাকুলে তোমার বাবাই বা জামাই বলে স্বীকার করবেন কেন ? এক একটা দমৃক হাওয়া এক এক সময় এমন আসে, কাছ ত কাছ৷— কোচ ত ক্টোচা-মায়য পৰ্য্যস্ত উড়ে যায়। বুড়ে বয়সে আর ডিগবাজী না পেলালে ?” কেতকী তখনকার মত চুপ করে গেল । ত অাছেই । বিরাজ বাকুলে কি হয়—কেতকী আর অধিক রাগলেও না, গে। ধরলেও না, চুপচাপ শয্যা নিলে। বিরাজ দেখলে, মা মঙ্গলচণ্ডী পাচ পয়সার সিন্নিতে আর তুষ্ট হলেন না, দমক খরচ একটা লাগবেই। কামিখ্যাট একবার ঘুরিয়ে না আনলে, একে শয্যার উপর আর চাঙ্গ করে তোলা যাবে না । তখন কেতকীর বোনের কাছে ছেলে তিনটির ভার দিয়ে সে সস্ত্রীক সেই আক্কেল o ھ - س - t e) গুডুমের দেশে চলে এল। এসে দেখলে, ঝন্টর ম৷ বড় মিথ্যা বলেনি। সাধুর আশ্রমটি লোকে লোকারণ্য । ভূমে লুটিয়ে কাতারে কাতারে লোক পড়ে রয়েছে। কেহ সাত দিন - কেহ পনর দিন-কেহ বা মাসের উপর । সাধুর রূপ। মিলছে না। বিরাজের অস্তরে কিছু শ্রদ্ধার সঞ্চার হ’ল । সে সস্ত্রীক নাটমণ্ডপে শুয়ে আছে। রাত্রি গভীর, হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল । শুনলে, ঠাকুরবাবার একটি চেল৷ এসে তারই অল্পদুরে শায়িত মথুরবাবুকে বলছে, “বাড়ীর পূজোপাৰ্ব্বণে তোমার দৃষ্টি নেই। ছেলের অন্নপ্রাশনে বেশ ঘোরধটা আছে । তোমার চিনির নৈবিদি জগন্মাতা : গিলতে পারে না । বাবা তারই উপাসক । মায়ের রূপা না হ’লে, বাবা কি করতে পারেন ?” মথুরবাবু বললেন, “দেবতা ত অল্পেতে তুষ্ট সাধুজী ?” “ত। তুষ্ট । ঝোক্ট ত অল্প হ’লে হয় না । দেবতার পিছু ব্যয় তুমি অপব্যয় বলে মনে কর । আধি-ব্যাধির আর দোষ কি ? তোমার ভোগকাল এখনও গত হয়নি ম। । দায়ে পড়ে মায়ের উপর যেমন লোভ বাড়াও, বেদায়ে সেইরকম শ্রদ্ধা করতে শেপে,—তারপর এস । বাবা এই কথা বলে দিলেন ।” মপুরবাবু নিঃশ্বাস ছাড়লেন । করতে লাগলেন । স্ত্রীটি অশ্রু মাজন মনের ভিতর কোথায় কি ঘটে গেছে, নিজের কাছে ওজন করে পরিমাণ করা ও শক্ত । তাতে আবার এই অবলার মন । মথুরবাবু বলতে লাগলেন, “অস্তদশী সিদ্ধপুরুষ । ওঁর অগোচর কিছুই নেই। মনের খবরটি পৰ্য্যস্ত টেনে বের করেছেন । সত্যি ত ঠাকুর-দেবতার পূজো বাইরের ঘরে ঘণ্টা বাজিয়ে পুরোহিতে কি কবৃছেন না করছেন—ফিরেও দেখিনে । অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণে জনে জনে ডেকে জিজ্ঞাসা করি,—তুপ্ত হলেন কিনা ? চেলাটি যা বলে গেলেন ওর আর ব্যত্যয় হবে না । চল, কৃপা পাবার মত যদি হতে পারি, তখন আস্ব ।” এই বলে অার একটী দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে রেখে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে গেলেন ।