পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وOSNي --ഹ----- প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়ল। দেখলে নির্জন কক্ষের পিছনের দরজাটা খোল। সে অতি দ্রুত ভিতরে ঢুকে পড়ল। একটা বিরাট শূন্যতা হি হি শব্দে বিকট হাসি হেসে তাকে যেন অভিনন্দিত করলে । কোথায় ব্যাঘ্রচৰ্ম্ম—কোথায় কমণ্ডলু-আর কোথায় কম্বল চিম্‌ট। কেবল তাকে পাগল করে তুলতে নিকষ কালো বিকৃত অন্ধকার ঘরটি জুড়ে আড়ি পেতে রয়েছে । বিরাজের দেহের রক্ত জল হয়ে মাটি ভিজতে লাগল। কতক্ষণ এ ভাবে কাটুল জ্ঞান ছিল না । চেতনা ফিরলে ব্যাকুলভাবে ছুটে নাটমণ্ডপে পড়ে যারা ঘুঘূচ্ছিল সকলকে এসে সে সচেতন করে তুললে । তাহার ভয়ার্ভ মুখের কাহিনী শুনে সকলে বিস্মিত ও স্তব্ধ হয়ে গেল । বাগানের পথে ঘরে ঢুকে সকলে দেখলে,—সত্যই পার্থী উড়েছে ! একান্ত নিরুপায় হয়ে বিরাজ তখন ছুটতে ছুটতে নদীর ঘাটে চলে এল । ষ্টীমার তখন ঘাট ছেড়ে চলে গেছে । সে হাটু গেড়ে সেইখানে বসে পড়ল । তথন সকাল হয়েছে । গেছে । সকলে যুক্তি করে একথান ডিপি নৌকায় তাকে তুলে দিলে এবং খালের পথে সোজা গিয়ে ষ্টীমার পৌছানে rর পূৰ্ব্বে তাকে রেল প্লামারের সঙ্গমস্থলের ষ্টেশনটি ধরিয়ে দিতে পারে মাঝিমাল্লাদের সকলে উপদেশ দিয়ে দিলে । নৌকা খরবেগে ছুটে চলল। বিরাজ নৌকার মধ্যে স্তব্ধভাবে বসে এই দুজ্ঞে য়ু মৰ্ম্মপীড়া উপভোগ করতে লাগল। বিরাজের নৌকা যখন নিদিষ্ট স্থানে পৌছল তখন ষ্টীমার এসে গেছে । গাড়ী ছাড়ে ছাড়ে । সে ডাঙ্গায় প। দিতেই দেখতে পেলে বাবার একটি চেলা এক লোটা জল নিয়ে গাড়ীতে উঠছে। টিকিট কেনার আর খেয়ালও হ’ল না—সময়ও হ’ল না। তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে চলন্ত গাড়ীটার হাতল ধরতে পুলিশের একটি লোক তার হাত চেপে ধরলে । বিরাজ 'হাউ হাউ করে পাদতে কাদতে বললে, “আমাকে ছাড় বাবু! আবার যথাসৰ্ব্বস্ব লুটপাট করে নিয়ে ওই চলল - পালিয়ে চলল।” বাবুটি পুলিশের একজন ইনস্পেক্টার । অনেক লোক জন এসে জমে বিরাজের হাত ছেড়ে দিলেন। নিজেও সঙ্গে সঙ্গে গাড়ীতে গিয়ে উঠে বস্লেন। গাড়ী তখন চলতে আরম্ভ করেছে। একটু স্থির হয়ে বসার পর বাবুটি জিজ্ঞাসা করলেন,– “কি হয়েছে আপনার এইবার গুছিয়ে বলুন দিকিনি ?” বাপোচ্ছাসে বিরাজের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হয়ে আসছিল। গলাটা ঝেড়েকুড়ে নিয়ে সে বললে, “আর হয়েছে— হতভাগা--রাস্কেল—গর্দভ-আহাম্মক—” এই বলে সে নিজের গালে নিজে চপেটাঘাত করতে লাগ ল ।. ইনস্পেক্টর হাস্য করে বললেন, “ক্ষেপে গেলেন দে, বাবু ! গাড়ীতে ত সঙ্গী করেই নিলেন । আবার পাগলা গারদ পর্য্যস্ত ভোগাবেন না কি ? আমার ত সময় কম ।” বিরাজ দাত পিচিয়ে বললে, “সময় আমার খুব বেশী ! বেট। সাধু-তৈলঙ্গস্বামী । বুকে শ্লেষ্মা –মুখে বব-বম —ও কি কখ খনে ফোটে ? আর তোমরা হয়েছ গিয়ে ওদের মাসতুতে ভাই ।” একদল শিযু সঙ্গে একজন সাধুকে এই গাড়ীতে উঠতে ইনস্পেক্টর দেখেছিলেন । এইখানেই বিরাজের সম্পর্ক তিনি অহুমান করে নিলেন । বললেন, “কেন, মাসতুতে ভাই হলাম কিসে?” “ন! – কেন ? মার উপর দরদ দেখাচ্ছে । জোচ্চ রির পয়সা—বেটার ত অভাব নেই। গেজের টাকাটা খোমটার ফাকে মুচকি হাসার মত দেখিয়ে দিলে চোয়। ঢেকুরটা আমারই নাকের ছেদা দিয়ে ঢুকিয়ে দেবে । এই চিং—এই ব্যবস। তোমাদের গিয়ে ।” ইনস্পেক্টর হেসে বললেন, “ছেলেপুলে নিয়ে ঘর করি, তাই ত পয়সার মায়ু কাটাতে পারিনে। আপনি কিছু ঝাড়ন না ? চিংটা বজায় থেকে যাক্ ।” বিরাজ বললে, “ঝেড়ে ত দিলুম। পাপের বোঝা টেনে বেড়াচ্ছ আখেরে ছেলেপুলে কি ও পাপ ঘাড়ে নেবে ? বলবে,~~বাবা, তুমি একটু জিরো ও ? বালককালে রত্নাকরের গল্পটা ও পড়নি ।” “নাই বা নিলে । সস্তান তারা, সমস্ত বোঝাট না হয় আমরাই নিলুম !” এই ধ द९-७ट्टे ड श्’ळ REہیں