পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড “আর আমার উপর পেত্যাদেশ হয়েছে তোমার কেবলের সেই মাস ছয়েকের গুরু যমুনাগিরি বাবার কানদুটো টেনে ছিড়ে দিতে।” yচন্দ্রনাথ যাবার মানসে ষ্টেশনে উপস্থিত ছিলেন } কেতকীকে এক ধাক্কায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে উদভ্রাস্তের তিনি দূর থেকে একজন সাধুকে বিপন্ন হতে দেখে নিকটে মত পুলিশের কৰ্ত্তাদের সম্মুখেই কেবলরামের কানদুটি দুই এসে স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে গৈলেন। বললেন, “কেবলরাম হাতের মূঠায় পূরে নিয়ে সে সজোরে মদন করতে লাগল। যে ! মৰ্দ্দনযোগ কাটেনি এখনও ?” ○ぬb〜 مبیی هسه আর্টের অর্থ শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহা, এম-এ আজকাল আট কথাটি বাংলায় চলিয়া গেছে। চলিয়া গেছে বলিলে অল্পই বলা হয়, আর্টের বন্যায় কলা কারু শিল্প সকলই ভাসিয়া গেল । লেখায় আট, ছাপায় আর্ট, ছবিতে আর্ট, চরিত্রে আট, সাহিত্যে আর্ট, আলাপে আট, অভিনয়ে আট—এমনি করিয়া আর্টের ম্রোতে জীবন চঞ্চল হইয়া উঠিল । সব সময় আট কথাটি আমরা যে কোনে নিদিষ্ট অর্থে ব্যবহার করি তাহ নয়। একদিকে আমরা বলি, এই কাব্যে আর্টের চরম নিদর্শন দেখিতে পাই, অন্যদিকে বলি, ঐ উপন্যাসের চরিত্রাঙ্কনে আটকে বিনষ্ট করা হইয়াছে, বলি সে বড় অভিনেতা কিন্তু আর্টিষ্ট নয়, বলি এই পরিকল্পনাটি আর্টসঙ্গত, বলি আটের সঙ্গুে নীতির সম্বন্ধ নাই, বলি আদর্শ আটকে খাটো করে, বলি যাহা অবাস্তব তাহ আর্ট নয়, বলি দেহগত আকাঙ্ক্ষা আটের অপরিহায্য উপাদান । এমনিভাবে যেখানে-সেখানে যখন-তখন যেমন-তেমন করিয়া আর্ট কথাট। লাগাইয়৷ দি । কথার মোহ যখন পাইয় বসে, বস্তু বুঝিবার তখন অবসর থাকে না । - দোষ যে সম্পূর্ণ আমাদের তাহা নয়। যে ভাষা হইতে আট শব্দটি গ্রহণ করিয়াছি, একদা কিছু কাল ধরিয়া সেই ভাষার সাহিত্যে ঐ শব্দটি নিতান্ত ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল । ريv ইংরেজী সাহিত্যে অষ্টাদশ শতাব্দী ছিল যুক্তি-তর্কের কাল । কল্পনাকে মনে করা হইত মনের বিকার । প্রত্যক্ষ ছিল একমাত্র প্রমাণ। গদ্য ও পদ্যের তফাৎ ছিল ভাবে নয়—রুপে । ছন্দে-রচিত পোপের Essay on Man গদ্যেও লেখা যাইতে পারিত । অবশেষে প্রতিক্রিয় স্বরু হইল। শতাব্দীর সঙ্গে এই ছদ্ম-ক্ল্যাসিসিজমও অবসানলাভ করিল। উনবিংশ শতাব্দী রোমাণ্টিসিজমের যুগ । বিস্ময়ের উদ্বোধনে, কল্পনার নব-জাগরণে মানুষের মনোভাবের অপূৰ্ব্ব পরিবর্তন সাধিত হইল । বোঝা গেল, মনের কাছে বস্তুজগতের অপেক্ষা ভাবজগৎ অধিকতর সত্য । যে অমৃতৃতি অস্পষ্ট, জীবনে তাহার প্রভাব অল্প নয়। যাহ। অব্যক্তপ্রায়, তাহাকে ব্যক্ত করিবার জন্য একটা অদম্য অভিলাষ জাগিয়া উঠিল । অতীত হইতে অতিপ্রাকৃত পর্য্যস্ত সৰ্ব্ববিষয়ে মামুযের কৌতুহল প্রধাবিত হইল । ছন্দ নব নব রূপ ধারণ করিল। কাব্য রসাত্মক হইয়। ऐंठठेिल । অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংরেজী লেখকেরা যে কুশল গদ্যের সঃি করিয়াছিলেন, তাহ সরল স্পষ্ট পরিচ্ছন্ন আতিশয্যবর্জিত। য়ে যুগের পদ্যও ছিল গদ্যামুগামী । কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর গদ্য হইয়া উঠিল কাব্যধৰ্ম্মী । কথার ব্যঞ্জনায় গদ্যরচনা কাব্যের মত উপভোগ্য হইয়া উঠিল