পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAAMMAMMSMSAMSAMAMMMAMAMMMMMSMMSMSMS নিয়মের পরিচয় লাভ করি । বিজ্ঞান হইতে আমরা জানি । এই জ্ঞান অামাদের সকল কার্য্যসাধনের প্রধান অবলম্বন । কিন্তু জ্ঞানের ক্ষেত্র হইতে কৰ্ম্মের ক্ষেত্রে প্রবেশ করিবামাত্র আমরা আটের রাজ্যে উপস্থিত হই । বিজ্ঞান বলে -- ‘জান’, আট বলে—“কর । দেখা যাইতেছে, স্বভাব সম্পর্কেই হোক আর বিজ্ঞান সম্পর্কেই হোক, আর্ট মানুষের কৰ্ম্মপ্রবৃত্তি এবং কৰ্ম্মপ্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে । পথ ও প্রণালীর সন্ধান বলিয়া দিয়া বিজ্ঞান আমাদের উপায়বিং করিয়া তোলে । কিন্তু কৰ্ম্মে ও ব্যবহারে সেই উপায় এবং পদ্ধতি নিয়ন্ত্ৰিতভাবে প্রয়োগ করিয়া আমরা আর্টের ধৰ্ম্ম পালন করি । করি বলিয়া আর্টের সঙ্গে কৌশল ও নৈপুণ্যের সম্বন্ধ একান্তরূপে ঘনিষ্ঠ । তাই আট ও কৌশল অনেক সময় একাৰ্থবাচক । এই কৌশলকে সংস্কৃতে বলা হয় কলা । গীত বাদ্য নৃত্য নাট্য কৌশল প্র ভূতি চৌষটি বিদ্যাই কলার মধ্যে পড়ে । পুপাস্তরণ অঙ্গরাগ গন্ধযুক্তি ভূষণযোজন—প্রাচীনমতে ইহারা ও কল । এমন-কি জানা ও করার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য বলিয়া আকরঞ্জান মণিরাগজ্ঞান দেশ ভাষাজ্ঞানকে পঘা স্তু চতুঃষষ্ঠি কলার অস্ত ভুক্তি কর। হইয়াছে । শুধু কৌশলে অথবা কলা হিসাবে ব্যবহৃত হইলে আর্ট কথাটির মধ্যে এত জটিলত থাকিত না । কিন্তু প্রয়োগের বৈচিত্র্যে আর্ট কথাটি বিচিত্রার্থ হইয়। উঠিয়াছে । উদাহরণে কথাটা পরিষ্কার হইতে পারে । পাথরে যখন মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করি, তখন তাহাকে বলি ভাঙ্গস্য । ভাস্কয্য একটি কল । এখন পাথর খোদাইয়ের কৌশলকেও আমরা বলি আট, ক্ষোদিত করিবার কাজটিকেও বলি আর্ট, আবার যে বিধিতে ক্ষোদনক্রিয় নিয়ন্ত্রিত হয় সেই নিয়মপ্রণালীকেও বলি আর্ট ; শুধু তাই নয়, স্বনিয়ন্ত্রিত ক্রিয়ার ফুলে যে মূৰ্ত্তি গড়িয়া উঠিল, তাহাকেও বলিলাম আর্ট । অর্থাৎ কৌশল, প্রয়োগ, প্রয়োগ-প্রণালী এবং রচিত বস্তু—ইংরেজী আর্ট কথাটিতে এ সকলই বুঝাইয়া গেল । এ পর্য্যস্ত আর্টের যে অর্থ ব্যাখ্যাত হইয়াছে, তাহা [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড আর্টের মৌলিক অর্থ। আর্ট মানবী স্বষ্টি । স্বষ্টি ও রচনার সহিত কৰ্ম্মনৈপুণ্য একান্তভাবে জড়িত । আট ও কল| তাই একার্থবোধক । জীবনধারণের প্রয়োজনে আর্টের উদ্ভব। কিন্তু শুধু কি তাই ? আর্টের সহিত আনন্দের যে সম্বন্ধ রহিয়াছে, তাহা কে অস্বীকার করিবে ? বৰ্ব্বর মানব আত্মরক্ষা ও খাদ্য-আহরণের প্রয়োজনে পাথর অথবা হাড়ের অস্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিত, আশ্রয়ের জন্য গুহার অন্বেষণ করিত । কিন্তু অস্ত্র ও গুহার গাত্রে যে চিত্র সে ক্ষোদিত অথবা অঙ্কিত করিত তাহা ত প্রয়োজনবশে নয় । করিবার আনন্দে ইহাদের উদ্ভব । মাতুষের আদিম প্রবৃত্তির উপর অলঙ্করণ-স্পৃহার প্রতিষ্ঠা । অন্যান্য প্রবৃত্তির মত মানুষের সৌন্দর্য্যবৃত্তিকে স্বীকার করিতে হইবে । অতএব যেমন প্রয়োজনের তাড়নায়, তেমনি আনন্দের বশেও মানুষের স্তষ্টিশক্তি স্মৃত্তিলাভ করিয়াছে । তাই আর্টের দুইটি বিভাগ দেখিতে পাই । জীবনের সুখ-সুবিধা অথবা প্রয়োজনের উপর যে ষ্টি নির্ভর করে তাহাকে বলি useful অর্থাং আবখ্যক আর্ট । বস্ত্র নিৰ্ম্মাণাদি শিল্প অথব। কারু এই শ্রেণীর যন্ত্রকলাকে শিল্প বলা চলে । যে-সকল কলা প্রয়োজনের অতিরিক্ত, আনন্দের উপর প্রতিষ্ঠিত, অর্থাৎ ব্যাবহারিক স্ববিধা যাঙ্গদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয়, সেগুলিকে ইংরেজীতে বলে ফাইন আর্টস । ইংরেজির অনুসরণে বাংলায় আমরা নামকরণ করিয়াছি ললিত কলা। ললিত কল মানুষের সৌন্দৰ্য্যবৃত্তিকে চরিতার্থ করে। চিত্র কাব্য সঙ্গীত স্থাপত্য এবং ভাস্কৰ্য্য— কলার মধ্যে এই পাচটিকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়। ধরা হয় । উনবিংশ শতাব্দীর আর্ট-আন্দোলনের সময় বিলাতের রসিক সমাজ যখন শুধু কাব্য নয়, সবগুলি ললিত কলার দিকেই চোখ ফিরাইলেন তখন বিশেষভাবে ফাইন আর্টস অর্থে আর্ট কথাটি সাহিত্যে প্রচলিত হইতে সুরু করিল। অবশ্য ফিক্টে শেলিং হেগেল প্রমুখ জাৰ্ম্মান দার্শনিকগণের আর্ট-ব্যাখ্যাই ইহার জন্য মূলত দায়ী। প্রয়োজনকে পিছাইয়া সৌন্দর্য্য বড় হইয়া উঠিল। সৌন্দৰ্য্য ও রুচির সঙ্গে আর্টের যোগসাধন সম্পূর্ণ হইয়া গেল । অস্তগত ।