৩য় সংখ্যা ] নিজের নিজের বাড়ীতে করিতে চাহেন, তাহারা নয় রাত্রি ব্যাপিয়া গর্ব গান করিবার জন্য প্রতিবেশিনীদের সাদর আমন্ত্রণ করেন এবং বাড়ীর যিনি গৃহিণী তিনি গৰ্ববো'টি নিজের মাথায় লইয়া আগে ঘুরিতে থাবেন গুজরাটী গরবা ক্সারস্তু সন্ধ্য হইলে গৃহস্থঘরের মেয়ের রাস্তার এককোণে সমবেত হয় । একজন গান গায়, অপর সকলে তাল দিতে দিতে “সরবো”র চারিদিকে পূরিয়া ঘুরিয়া নৃষ্ঠা করে । এবং তাহার সঙ্গিনীরা বুৰাকারে তাহার অঙ্কগমন করেন। এই স্বপ্রাচীন প্রথাটি গুজরাটে আজ পয্যন্ত অব্যাহত রহিয়া গিয়াছে । উংসবের শেয দিন সারা রাত্রি ব্যাপিয়া গর্ব। গান গীত হইয়। থাকে এবং পরদিন ভোরে বিগ্ৰহ বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে গৰ্ববো' ও নদীতে বিসর্জিত হইয়া থাকে। যে সকল স্ত্রীলোক উৎসবের প্রথম হইতে শেষ দিন, অর্থাৎ নয় দিনই গরব গানে যোগদান করে, তাহাদিগকে বাতাসার মত একপ্রকার মিষ্ট দ্রব্য দান করা হয়। পরে অবখ্য উপস্থি ত আর সকলকেই মিষ্ট বিতরণ করা হয়। এই মিষ্টান্ন বিতরণকে লহানী বলে। নয় দিন ব্যাপী উৎসবে গৃহিণীকেই যে প্রতিদিন মিষ্ট বিতরণ করিতে হইবে এমন কোনও কথা নাই। গৃহিণী একদিন মিষ্ট বিতরণ করেন এবং তাহার দলের অপর অপর মহিলার মধ্যে যাহার যেমন শক্তি তিনিই পালাক্রমে geరి বাকী আটদিন লহানী করেন। উৎসবের শেষ রাত্রিতে গুজরাটের একপ্রাস্ত হইতে অপর প্রাস্তের প্রত্যেক শহরের প্রতি রাজপথের মোড়ে মোড়ে, পল্লীতে পল্লীতে গর্ব গান শোনা যায় এবং এই প্রথা যে কবে হইতে স্বরু হইয়াছে তাহা কেহই সঠিক বলিতে পারে না । ‘গরুবা বলিতে গেলে সৰ্ব্বসাধারণের উৎসব, সুতরাং যেকোন মহিলা তাহার পল্লীস্থ উৎসবে যোগদান করিতে পারেন এবং পুরুষেরাও তাহ শুনিবার সৌভাগ্য হইতে বঞ্চিত নহেন। ‘গরবা’ নৃত্যের সঙ্গে সাধারণত ঢোলকই বাদ্যযন্ত্র-হিসাবে ব্যবহৃত হইয়া আসিয়াছে। তবে বৰ্ত্তমানে অ ব শু হামোনিয়ম প র্য্য স্ত চলিয়াছে । ‘গর্ব। গানে বহু দেবীর আবাহন করা হয়, যেমন কালী, বহু চারজী, অঙ্গাজী ইত্যাদি । এখানেও যেমন, অন্তত্বও ভদ্ৰ— তেমনি – ধৰ্ম্ম হইতেই সকল শিল্পকলার উদ্ভব । এবং নৃত্যকল। সঙ্গীত ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় অতুভূতিরই এক একটি বিশিষ্ট প্রকাশ । কাথিয়াবাড় অঞ্চলে আর এক প্রকার ‘গরবা’র চলন আছে, বল। ‘রাস’ । ইহা শকুফ গোপিনীগণের রাসলীলা হইতেই উদ্ভূত হইয়াছে। কাথিয়াবাড় অঞ্চলে এখনও স্ত্রী-পুরুষে মিলিয়৷ একযোগে রাসলীলা করিয়৷ থাকে। আবার কেবল স্ত্রীলোকেরাও স্বতন্থভাবে এই গরব গাহিয়া থাকে। এইস্থানে এই কথাটিও উল্লেখ করা দরকার যে, পুরুষেরাও আবার স্বতন্ত্রভাবে তাহদের রাস-উৎসবের অনুষ্ঠান করিয়া থাকে। পুরুষেরা তাল দিবার জন্য এক প্রকার থাটে। লাঠি ব্যবহার করে, লাঠির একধারে ছোট ঘুঙুর বাধ থাকে। এই লাঠিকে বলা হয় ‘দাণ্ডি’। এই লাঠিকে তালে মানে 3 তাহাকে '83 瓦 হয়
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।