পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সার প্রয়োগে উৎপন্ন শস্ত কুষিপ্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় আপনাদিগকে জানাইয়ছিলাম যে, বারাকপুরে প্রতি দুই বৎসর অস্তর ৩০৪০ fqil HfH4 Gotā trenching ground ggl zĘ 8 সেই সমস্ত জমি নিলাম করা হয়। পশ্চিম হিন্দু ও মুসলমান ক্লষকের তিন-চার হাজার টাকা সেলামী দিয়া সারের জন্য কিনিয়া লয়। আমাদের বাংলার কুযকের। এর ধার দিয়া ও যায় না। সেখানে হানেফ নামে একজন পশ্চিম মুসলমান শাকসঞ্জী উৎপন্ন করিয়া বড় পাকাবাড়ী করিয়াছে ।* আমি বংসরে বংসরে বাঙ্গালোরে Institute of Science-এ যাই । বাঙ্গালোরে বৃষ্টিপাত অতি কম ; বৰ্মার দু’এক মাস ছাড়া সেখানকার মাটি সকল সময় এত বেশী নীরস থাকে যে, ঘাস তৃণাদি পর্যান্ত শুকাইয়া যায় ; আবার সেখানে পাহাড়ে জমি । কিন্তু জলসেচনের দ্বারা ও বৈজ্ঞানিক প্রণালী অবলম্বন করিয়া সেখানকার গুণি হইতে কিরূপ সোনার ফসল উৎপন্ন করা হয় তাহ এই ছবিগুলি দেখিলেই আপনার বুঝিতে পারিবেন। কেবল মাত্র দু’একটি ছাত্রাবাসের পাইখানার মল প্রথমতঃ একটি পুষ্করিণীতে নিক্ষেপ করা হয় এবং এই মলের উপর এক প্রকার জীবাণুর চাষ করা হয় ; এই জীবাণুর ক্রিয়াতে মলের গন্ধ দূর হইয়া যায় এবং পরে এই গন্ধহীন মলকে জলের সহিত মিশাইয়৷ কিছুক্ষণ থিতানো হয়। এই মলযুক্ত জল (activated sludge) বাঙ্গালোরের মরুভূমি શ્વ ভারম্ভবৰ্ম –5 SS প্রবাসী—বৈশাখ ১৩৩৪ / φεγ व्7% 2१ शंg സ്സ- സ്.സാ সম মাটিতে মাঝে মাঝে সেচন করিয়া এইরূপ নে ফলানো হইতেছে । আপনার বলিতে পারেন, বাঙ্গালো.ব ও বাংলার মাটির অবস্থা, জলবায়ুর অবস্থা ইত্যাদি সম্পূর্ণ বিভিন্ন রকমের, স্বতরাং বাঙ্গালোরের ছবি দেখিয় আমাদের কি উপকার হইবে ? বেল পাকিলে কাকের কি ? কিন্তু আমাদের এই বাংলা দেশেও উপরোক্ত প্রণালীতে মলমূত্রাদিকে সাররূপে পরিণত করিয়া মাটির উৎপাদিকা শক্তি যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াইতে পারা যায় । সম্প্রতি স্বাস্থ্য-বিভাগের চেষ্টায় খড়দহের নিকটে যেসকল পাটের কল আছে তাহার মাত্র দু-একটি কলের কুলিমজুরদের মলমূত্র ইত্যাদি উপরোক্ত উপায়ে গন্ধঈীন করিবার জন্য একটি দীঘি খনন করা হইয়াছে। র্যাহার। কলিকাতা হইতে বারাকপুর পর্য্যস্ত দৈনিক Foso, r , ఫ్టే .. ' : ;

;

সার ও বিনা সারে উৎপন্ন রাণী যাতায়াত করেন তাহারা গাড়ী হইতে এই দীঘি দেখিতে পান। এই দীঘির মলযুক্ত ঘোলা জল উঠাইয়া কয়েক বিঘা জমিতে সেচন করিয়া উহাকে সারবান করা হইয়াছে।