পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8> e تمامی مستعمیم. ভূত্য উঠে মোটর-চালকের পাশে ব’স্ল, এর কারাঙ-আসেম অভিমুখে যাত্রা করলেন। কবির সঙ্গে সুরেন বাবুও রইলেন । আর স্থির হ’ল যে আমরা বাঙলির উৎসব ক্ষেত্রে আরও খানিকক্ষণ কাটিয়ে ঘণ্টাখানেক ঘণ্টাদেড়েক পরে যাত্ৰা ক’রবে। । ‘আভ্যস্তর মানব’কে তুষ্ট করে আমরা উৎসবক্ষেত্রে আবার অবতীর্ণ হলুম। এইবারে দেখি, ভীড় আরও বেড়েছে, আর একটা নয়নাভিরাম অম্বষ্ঠানের জন্য লোকেরা তৈরী হ'চ্ছে । একটি মিছিল বা যাত্রার আয়োজন হ’চ্ছে । ছাতি ধ’রে, বল্লম ঘাড়ে ক’রে পদাতিকের দল সার দিয়ে দাড়াচ্ছে, আর অনেকগুলি কম-বয়সী মেয়ে মাথায় কাঠের ডমরু-পদ পাত্র তার জলের ভৃঙ্গার নিয়ে দাড়াচ্ছে—এদের সকলেই উৎসবের জন্য মুসজ্জিত হ’য়ে এসেছে ; আর ছাতার নীচে কতকগুলি শ্বেতাম্বর ব্রাহ্মণ পদ গু দাড়িয়ে আছেন । সঙ্গে গামে বলিদ্বীপ শোভাযাত্রা লানের বাদ্য নিয়ে এর যাত্রা করলে, বাঙলি গ্রামথেকে প্রায় দেড় মাইল দূরে একটা স্রোতস্বিনী আছে, এর সেখানে 'জল সইতে যাচ্ছে—নদী থেকে এরা ভুঙ্গারে ক’রে তোইয়া-তীত বা তীর্থতোয়—তীর্থ-সলিল আনতে যাচ্ছে ; এই তীৰ্থজল শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে লাগবে । বাকের, আর কেউ কেউ এদের সঙ্গে নদী পর্য্যন্ত গেলেন ; বেলা তিনটের চড়চড়ে রোদে আমি দেড়মাইল দেড়মাইল তিন মাইল মিছিলের অঙ্গীভূত হ’য়ে হাট সমিচীন বিবেচনা ক’রলুম না, আমি বাঙলিতেই রয়ে গেলুম। ধীরে ধীরে প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMMMAAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড এই মিছিল যাত্রা ক’রলে, দেখে আমরা নয়ন সার্থক ক’রলুম। যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবক্ষেত্রের ভীড়টা একটু পাতলা হ’য়ে গেল । ইতিমধ্যে আর একটি অপরূপ দুখ নজরে প’ড়ল । মৃতের উদ্দেশ্যে নৈবেদ্য বস্ত্র তৈজসাদি যেখানে রক্ষিত হয়ে আছে, পূব দিকের সেই বড়ো মণ্ডপটীতে রাজবাড়ীর মেয়েরা দলবদ্ধ হ’য়ে এলেন । ধীরে ধীরে এরা গড়েন পথ দিয়ে ম গুপের মাচায় উঠলেন - কী মনোহর, আর রাজকন্যা আর রাজবধূদেরই উপযুক্ত গতিভঙ্গি এদের পরিধানে সোনালী কাজ করা গাঢ় নীল রঙের, বেগুনে রঙের আর আবীরের রঙের বস্ত্র, তার উপরে সোনালী-ছাপ-মার বক্ষোবস্ত্র, কারু কারু কাধে পাতল। কাপড়ের ছোবানে বা সাদা জালের কাপড়ের একপানি ক’রে ছোট উত্তরীয় ; সৌষ্ঠবময় অংশদেশ অনাবৃত, খালি প, কানে সেই সনাতন তালপাতার গোজ –‘সদ্যঃকন্তদ্বিরদরদ-চ্ছেদ-গেীর’ বর্ণে তুচ্ছ এই তালপাতার অলঙ্কার তাদের কালো চুলের পাশে মহাধ বস্তু ব’লে বোধ হ’চ্ছিল ; কারু ব| কানে কালে কাঠের গোজ ; কারু দুই রগের নীচে দুই ভুরুর পাশে গোলগোল ছোট ছোট সবুজ পাতার টিপ লাগানে! —সত্যিকারের পত্র-রচন” ; এদের গায়ে অলঙ্কার খুবই কম—এক বা দু হাতে হয় তো কারু বা একগাছি ক’রে সোনার কাকন, কারু বা কন্তইয়ের উপর বাক তাড় একগাছি ক’রে –গলায় হারবা মালার পাটই নেই। মাথায় এলো খোপায় বাধা স্বপ্রচুর কেশরাশির মধ্যে নানারঙের ফুল গোজা, আর দু একটি ক’রে পাতলা সোনার গহন, প্রজাপতির মতন দেখতে, প্রতি পদক্ষেপে গতির হিল্লোলে ব| শিরশ্চালনায় সোনার এই কেশের অলঙ্কারের তারের কাজ, মাথার পুষ্পরাশির মধ্যে ফুলের সোনার কেশরের মতন কেঁপে কেঁপে উঠছে। রাজবাটীর মহিলারা এই মণ্ডপে উঠে, অনেকক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে কি অনুষ্ঠান সেরে আস্তে আস্তে নেমে চ’লে গেলেন । রেসিড়েণ্ট সাহেব উৎসবক্ষেত্রেই ছিলেন, র্তার সঙ্গে আমার আরও অনেক কথা হ’ল । নান৷ খুটানাটা বিষয়ে তার সহৃদয়ত। আর বলিদ্বীপের