পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] লোকেদের প্রতি র্তার একটা আস্তরিক টানের পরিচয় পেয়ে আমি মুগ্ধ হ’য়ে গেলুম —আর একটা জিনিস বেশ লাগল ; বাঙলির পুঙ্গব আর অন্য অন্য বলিদ্বীপীয় জমিদার ঘরের ব্যক্তিদের সঙ্গে একটা বেশ সহজ সঙ্গতার—এমন কি আত্মীয়তার—সঙ্গে এঁর ব্যবহার। এই ব্যক্তিগত আত্মীয়তার ভাবটুকু ডচ রাজকৰ্ম্মচারীদের একটা বিশেষত্ব । বলিদ্বীপের স্মৃতির সঙ্গে রেসিডেন্ট শ্ৰযুক্ত কারোনের সৌজন্ত-পূর্ণ ব্যবহার আমার মনে চিরকাল উজ্জ্বল হ'য়ে জাগরূক থাকবে । ‘তোয়-তীর্থ” নিয়ে শোভাযাত্র ফিরে এলে । সাড়ে চারটে বেজে গিয়েছে । আমাদের কারাঙ-আসেম খাবার জন্য তৈরী হবে, নইলে পৌছুতে হ’য়ে যাবে। সঙ্গী বন্ধুর। ফিরে এলেন, ধীরেনবাবু, দৃেউএস, কোপারব্যাগ, বাকে-দম্পতী—সবাই তৈরী এমন রেসিডেণ্ট লাহেব আমায় ডেকে নিয়ে গেলেন—একটি চালা-ধরে শ্রাদ্ধের একটি শেষ অঙ্গস্বরূপ পদ গুদের ভোজনের ব্যবস্থা হ’য়েছে, তার ভোজনে ব’সবেন, তাই দেখতে । চাল-ঘরটির চারদিক নাতিদীদ একটি পংক্তিতে জন-তিরিশেক পদ ও ব’সে আছেন । পদণ্ডের সাধারণ বলিদ্বীপীয় রঙীন কাপড় আর অন্য রকমের গাছপালার নক্শ-কাট কাপড় পরে হ’তে রণত হ’লেন । সময়ে খোলা ; মেবোয়ু মাদুর বা চাটাই পাত । আছেন, কার কারু গায়ে জামা ও আছে । অনেকের মাথায় ঝুটা বাধ, প্রায় সকলেরই ছোটে বা বড়ে দাড়ী আছে। প্রত্যেকের সামনে বসবার চাটাইয়ের উপরে রাখা ডমরু আকারের কাঠের পায় ওয়াল বারকোষের মত পাত্র একটি করে, সেটি আভের কাজ করা বেতের ঢাকন। চাপ দেওয়া । পদ গুদের প্রত্যেকের পিছনে এক বা একাধিক ছাত্র বা শিয্য বসে আছে । প্রত্যেক পদ গুকে তার মর্য্যাদার জন্য দক্ষিণ-স্বরূপ একাধিক বলিদ্বীপীয় কৌধেয় বস্ব দান করা হয়েছে - ভোজন কক্ষে গিয়ে দেখি, তারা সেগুলি গ্রহণ করেছেন, র্তাদের পৃষ্ঠভাগে উপবিষ্ট অন্তেবাসীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, আর তারা বেতের তৈরী ব্যাগের মত চমৎকার স্থালী এনেছে তাইতে কাপড়গুলি পূরে রাখছে। গৃহস্বামী দ্বীপময় ভারত AMSMSAASAASAASAASAA AAAAMMAMAMMAMAAA AAAA AAAAMMMMASAMAAAA 8X > SSASAS AAA AA S AASAASAA AAAAMAeAAASAAAA বাঙালির পুঙ্গব বিনয়নম্রভাবে মাদুরের উপরে বসে আছেন । আশেপাশে অভ্যাগত অদ্য জনগণ আর চাকর-বাকর, সম্বুমপূর্ণ দৃষ্টিতে পদণ্ড-ভোজন দেখছে। সেেহব অতিথিদের সঙ্গে গৃহস্বামী আগেই আহারেই ব’সে গিয়েছিলেন, সেটা বোধ হয় এদেশের রীতিতে বাধে না । শ্ৰীযুক্ত কারোনের সঙ্গে আমিও ভোজন মণ্ডপে উঠে দাড়ালুম, যে চাটাইয়ের উপরে পদ গুর বসেছিলেন, আর যার উপর তাদের আহার্য্য রক্ষিত হ’য়েছিল তার উপর জুতে পায়ে দিয়ে আমরা উঠলুম, আট কালে না।—দক্ষিণার বস্ত্র গ্রহণের এ র খাবারের থালের ঢাকুন। খুললেন, ব্রাহ্মণ-ভোজনের উপকরণ তখন আমাদের নয়নগোচর হ’ল । নৈবেদ্যের আকারে ভাত বাড়া হয়েছে ; তার চারদিকে নানা রকমের তরকারী ; ছোটো ছোটে। পাত্রে তরকারী, গুই থালার উপরেই সঞ্জিত রয়েছে ; আর ভাতের পাশে প্রত্যেকের থালায় রাখা হ’য়েছে একটি ক’রে আস্ত অগ্নি-দগ্ধ হংসদেহ । বুঝলুম, এই রোস্ট, ড্যক্’ হচ্ছে এখানকার একটা রাজভোগ, তাই ব্রাহ্মণদের জন্য তার ব্যবস্থা হ’য়েছে । ভাতের ঢাকনা খুলে, প্রত্যেক ব্রাহ্মণের পাশে পুষ্পপাত্র আর জলের পঞ্চপাত্র ছিল, তা থেকে তার জল নিয়ে আচমন ক’রলেন, তারপর প্রত্যেকে বিড় বিড় ক’রে মন্ত্র পড়তে পড়তে অঙ্গুলি সহযোগে মুদ্রা করতে আরম্ভ করলেন । দশ আঙুল দিয়ে এই মুদ্রণ করাট এক বড়ে আশ্চযা ব্যাপার-এর নানা রকমের কঠিন অপুলি-সঙ্কেত এমনি অবলীলাক্রমে ক’রতে পাগল যে দেখে অবাক হ’য়ে যেতে হয় । কতকাল পরে অনন্তকৰ্ম্ম হ’য়ে করলে পরে তবে এই মুদ্রার সাধনায় এদের মতন সিদ্ধ হওয়া যায় তা জানি না ; তবে আট দশ বছর বয়স থেকে চব্বিশ পচিশ পয্যন্ত এই শিক্ষায় পদ গুদের বাল্য কৈশোর আর যৌবন কেটে যায় । কর-মুদ্রার এই সমস্ত অদ্ভুত অঙ্গুলি-সঞ্চালনের যে একটি মোহমন্ত্রবং শক্তি তাছে, ত স্বীকার করতে হয় ; মনেও এর একটা যেন প্রভাব এসে মনে হয় বুঝি বা অঙ্গুলির এই মোহময় সঞ্চালন-নৃত্যের ফলে আকৃষ্ট হ' বিমসুে হ'য়ে マラfびマ万5 পরে পড়ে, দেবতারা ও আসছেন । এ