পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ৷ আর দু একটা টেবিল চেয়ার মাত্র পাওয়া যায়, এখানে তা নয়, রীতিমত হোটেলের মতন সব ব্যবস্থা, ৮১০ জন লোক অনায়াসে থাকৃতে পারে । প্রশস্ত হাতার মধ্যে বাড়ী, ঘরগুলি বেশ বড়ো বড়ে । খানসামাকে ‘মান্দুর’ বলে, মাদুর নিয়মিত ইউরোপীয় খানা যোগায় । ভারতবর্ষের ডাক-বাঙলা আর ইন্সপেক্শন বাঙলার মতন পাসাঙ্গাহানগুলিতে রাজকৰ্ম্মচারীদের দাবী আগে, তবে সাধারণতঃ অন্য লোকদের জন্য ও স্থান পাওয়া যায় । থাকা, খাওয়া,—সকলো দৈনিক খরচের হার সরকার থেকে বেঁধে দেওয়া আছে—বাইরের লোক হ’লে সাড়ে সাত গিলডার অীর সরকারী কৰ্ম্মচারী হ’লে সাড়ে পাচ গিলডার, যথাক্রমে—আমাদের দেশের আমুমানিক ছ টাকা আর চার টাকা ; ডচ থোরাকের অনুরূপ তিন প্রস্থ আহার্ষ্য দেবে, তা ছাড়া চা কফি আছে ;–দাম খুব বেশী নয়। বলিদ্বীপে আমরা আর তিন জায়গায় পাসাঙ্গ হানে ছিলুম, যবদ্বীপে সে আবশ্বকত হয় নি –মোটের উপর, পাসঙ্গি,াহানের ব্যবস্থায় আমর খুবই খুশী হয়েছিলুম। পাসঙ্গি,াহানে রাত্রের আহার চুকিয়ে আমরা বারান্দায় চেয়ারে বসে বসে গল্প ক’রছি, এমন সময়ে পুরী থেকে টেলিফোন ক’রে জানালে, রবীন্দ্রনাথকে দেখাবার জন্য রাজা বলিদ্বীপীয় নাচের ব্যষস্থা ক’রেছেন, আমরা যেন দেখতে আসি,—একটু পরেই মোটর আসবে। প্রায় সাড়ে ন’টা তখন । পুরীতে গিয়ে দালানে আমরা ব’সলুম। ছোট্ট একটী নাটক, নাচে আর গানে অভিনীত হ’ল । শল্য-সত্যবতীর উপাখ্যান নিয়ে— আখ্যান-বস্তুটী আমাদের মহাভারতের কোথায় আছে স্মরণ হ’চ্ছে না । একজন রাজা, তার একজন পারিষদ বা অকুচর, আর রাণী—এরাই হ’ল পাত্র পাত্ৰী । বাঙলির যাত্রার যে ধরণের পোষাক দেখেছিলুম, এদের পরণে সেই ধরণের পোষাক, তবে আরও ঝলমলে আরও দামী । শুনলুম এই রকম নৃত্যময় গীতাভিনয়ের নাম লুণ্ট ক্ল’, না কি ! উঠানে অভিনয় হ’ল । বাদ্যের ব্যবস্থা ছিল, বাজনা কিন্তু কম বাজানো হ’য়েছিল। বেশী সময় রাজা আর রাণী কান্নার স্বরে গান গেয়ে গেয়ে দ্বীপময় ভারত AMAMMMMAMAMAMAMMAMMMMMMAMAMMMMMAMMA AMAAAA পরস্পরের সঙ্গে কথা ক’চ্ছেন, আর মাছে মাঝে পারিষদটী নতজানু হ’য়ে দুহাত জোড় ক’রে রাজাকে যেন কাতর ভাষে কি নিবেদন ক’রছে। গান নয়, সুর ক’রে পাঠ ক’রে তার কথা কইছে বলা যায়—গানের ভাগ খুবই কম । অভিনেতা তিন জনেই অল্পবয়সী ছোকরা। কথা বা গান বা পাঠের স্বরটা একঘেয়ে, টেনে টেনে কাজুনি গাওয়ার মতন লাগছিল ; খানিক শুনে, সেটা বলিদ্বীপের নৰ্ত্তক অভিনেতা যে খুব শ্রুতিম্বখকর হচ্ছিল তা বল চলে না ; কিন্তু জিনিযট। মানিয়ে যাচ্ছিল, রুচিকর হচ্ছিল এদের নাচের ভঙ্গীতে, চলাফেরার একটা লক্ষণীয় স্থষমায় । ঝলমলে পোষাকটা দেখতে স্বত্র না হ’লেও নাচের কায়দায় সেটাকে শোভন ক’রে তুলছিল। ঘণ্টাখানেক এই অভিনয় দেথা চলল। তার পরে আমরা রাত এগারোটা আন্দাজ বিদায় নিয়ে পাসাঙ্গ হানে ফিরে এলুম।