পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] মরুভূমিতে সোনা ফলন २१ میبایستمی مته আপনারা হয় ত শুনিয়া আশ্চৰ্য্য . হইবেন যে, এই সকল জমির বার্ষিক I. ' ' খাজনা বিঘা-প্রতি ৮২ টাকা ; কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বাঙ্গালী কৃষকগণ এত অধিক খাজনা দিয়া এই জমি লইতে সাহস করিতেছে না—বিঘ ভূ ই ৮২২ টাকা খাজনা দিয়া সেই জমি হইতে লাভ করা তাহাদের পক্ষে যেন একটা ভয়াবহ ব্যাপার । কিন্তু যেমন পলত অঞ্চলে পশ্চিমার বসবাস করিতেছে, এখানকার জমিগুলি ও সেরূপ পশ্চিমার লইতেছে। বাঙালী কৃষকদের মত তাহার এত অধিক খাজনায় এই জমি লইতে কিছুমাত্র ভয় পায় না, কারণ তাহারা বেশ জানে ও বোঝে যে, এই সব জমিতে বার মাসে তের ফসল জন্মান যায়। এই সকল উদাহরণ হইতেই বুঝা যায় যে, বৈজ্ঞানিক উপায়ে বিষ্ঠাকে আমরা কতদূর কধ্যেকরী করিতে পারি ও তাহার দ্বারা আমাদের জমির ফলন কতটা বাড়াইতে পারি। কিন্তু আমরা ত চোখ চাহিয়া কিছুই দেখিব না, কেবল আরাম-কেদারায় বসিয়া পরচর্চা করাই যে আমাদের স্বভাব। হা অন্ন, তা অন্ন করাটাই যেন আমাদের মজ্জাগত হইয়া দাড়াইয়াছে, ইহ একমাত্র অলসতা ও শ্রমবিমুখতার পরিচায়ক ভিন্ন আর কিছুই নহে। অনেকে আবার বলেন যে, যেখানে গড়ে মাথা-পিছু দুই তিন বিঘার বেশী জমি নাই, যেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করিয়াও কৃষকের দুবেলার পূরা আহারের ংস্থান করিতে পারে না, সেখানে আবার যদি ভদ্রলোকের ছেলেরা কৃষিকাজ আরম্ভ করিয়া কৃষকদিগের সহিত প্রতিযোগিতা করে তাহ হইলে কৃষকের দাড়াবেই বা কোথায় এবং অর্থ-সমস্যারই বা কি সমাধান হইবে ?


میا۔ سیس۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔

আচায্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বাঙ্গালোরের কুষিক্ষেত্রে উৎপন্ন একটি ৭। পাউণ্ড ওজনের পেপে ধরিয়া আছেন ইহার উত্তরে বল। যাইতে পারে যে, যখন বাংলা দেশের মাথা-পিছু গড়পড়ত আয় দশ পয়সা মাত্র, তখন আর অর্থ উপাজনের চেষ্টারই বা কি দরকার ? হাত-প। গুটাইয়। চুপচাপ বসিয়া থাকাই ত ভাল। কিন্তু জমির উৎপাদিক শক্তি বাড়াইয়। উন্নত শ্রেণীর শস্ত্যাদি জন্মাইয়। দেশের আয় যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ান যাইতে পারে । বিখ্যাত লেখক সুইফটের কথা আপনারা জানেন ; তিনি বলিয়াছেন, ঘিনি একগাছি তুণের জায়গায় দুই গাছি তৃণ জন্মাষ্টতে পারেন তিনিই দেশের পরম উপকারক । আমাদের দেশে তথাকথিত ভদ্রসম্প্রদায় ক্লফিকাজকে এগন ও অসম্মানের