পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉bア AASAASAASAASAASAA AAAA AMAM SMMAAA AAAA S AA AAS ব। মাটির নয়। লক্ষ্য ক’রে দেখলুম, আশে পাশে কাঠের ছাচ রয়েছে, তাই থেকে সিমেন্টে ঢেলে এই সব মুহুঁ আর নকশাদার ফলক তৈরী হচ্ছে। এই দূর বলিদ্বীপে এই রকম আধুনিক রীতিতে এই সব ব্যাপার রাজ আরম্ভ করিয়ে দিয়েছেন দেখে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হ’লুম। সেখানে একজন মিন্ত্রী বাটালী আর হাতুড়ী দিয়ে নেতুন একখন কাঠের ছাঁচ তৈরী করছে, আমরা নির্বাঙ্ক ভাবে পরস্পরের প্রতি তাকিয়ে দেখলুম। দ্বিতীয় তোরণের কাছে একজন পদণ্ডের সঙ্গে দেখা হ’ল—বলিদ্বীপের ছোটে লুঙ্গীর উপরে একটা কালে কোট পর, মাথায় ঝুটি-বাধ, খালি পা, হাতে লাঠি। আমি তাকে আমাদের ভারতীয় প্রথায় দু'হাত তুলে নমস্কার করলুম, সে ভদ্রলোক একটু ভাবচোক থেয়ে আমাকে প্রতিনমস্কার ক’রে প্রশ্নপূর্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালে । আমি মালাইয়ে ব’ললুম, আমি ভারতবর্য থেকে আগত মহাগুরুর সঙ্গে এসেছি, আমি ভারতবর্যের ব্রাহ্মণ, আপনিও তে। ব্রাহ্মণ । তাতে ভদ্রলোক ব’ল্লেন, ই, আমি ব্রাহ্মণ । সংস্কৃত জানেন কিনা জিজ্ঞাসা করলুম। বললেন, সংস্কৃত জানেন না, দেশে সংস্কৃত পড়া হয় না, তবে অনেক "মাণ্টা’ বা মন্ত্র জানেন। মহাভারত পড়েছেন কিনা জিজ্ঞাস ক’রলুম, সমস্ত মহাভারতের বলিভাষায় অল্পবাদ আছে কিনা জিজ্ঞাস করলুম। তিনি ব’ললেন, মহাভারত ভাষায় প’ড়েছেন, তবে সমস্ত মহাভারত বলিদ্বীপের ভাষায় পাওয়া যায় না, কতকগুলি পৰ্ব্ব ওদেশে নেই। এই বলে তিনি ভাঙা ভাঙা ংস্কৃতে একটি শ্লোক প’ড়লেন, শ্লোকটিতে মহাভারতের অষ্টাদশ পর্বের নাম উল্লিখিত আছে । আমি কাগজ পেনসিল বা'র করে শ্লোকট তার কাছে শুনে শুনে তার উচ্চারণ মত লিখে নিলুম। পরে দেশে এসে বিখ্যাত g5 *fss Hendrik Kern as (“s# **’# ) প্রবন্ধসংগ্রহে দেখি ( Verspreide Geschriften, Ix, p. 219), এই শ্লোকটী তিনি একখানি প্রাচীন পুথিতে পেয়েছিলেন, আর এটা তিনি প্রকাশ ক’রে প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ AAAAAA AAAA SAAAA SAAAAA AAAASASAS SS SAAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS AAAMAMA SAMAAAS [ «oo*i ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAAAS দিয়েছেন। রোমান অক্ষরে শ্লোকটী তিনি এই ভাবে ছাপিয়েছেন— Adih Sabha Wana Wirata Samodapamaka (£ = Sayogaparwwa ? ) Bhisma Dwija’rkkasuta Calya Gada’cwa Sopti. Stri Prastani Mucala Canti tatha’cramanca Swarggantam astadaca-parwwarniyuktasangkhyam. নকৃশা-কাট পাথর লাগানো ইটের দেওয়াল শ্লোকটী থেকে এই কয়ট পর্বের নাম পাই—-অাদি (১), সভা (২), বন (৩), বিরাট (৪), সযোগ (?) ব: উদ্যোগ (৫), ভীষ্ম (৬), দ্বিজ বা দ্রোণ (৭), অর্কস্থত বা কৰ্ণ (৮), শল্য (৯), গদা (১০), অশ্ব বা অশ্বমেধ (১১), সৌপ্তি বা সৌপ্তিক (১২), স্ত্রী (১৩), প্রাস্থনি বা প্রস্থিনিক (১৪ , মুশল বা মূষণ (১৫), শাস্তি (১৬), আশ্রম ব৷ আশ্রমিক (১৭), স্বৰ্গ বা স্বৰ্গারোহণ (১৮) । আমাদের দেশের প্রচলিত পৰ্ব্বগুলির সঙ্গে মোটামুট মেলে ; তবে এই শ্লোকে কতকগুলি নাম উলটো পালটা ক’রে দেওয়া আছে । আর আমাদের দেশের প্রচলিত সংস্কৃত মহাভারতে গদা-পৰ্ব্ব ব’লে আলাদা পৰ্ব্ব নেই। আছে তার জায়গায় অনুশাসন পৰ্ব্ব । বাঙলা কাশীদাশের মহাভারতে কিন্তু গদা-পৰ্ব্ব আছে ; সংস্কৃত মহাভারতে ভীম আর দুৰ্য্যোধমের গদাযুদ্ধ বিষয়ক পৰ্ব্বট শল্যপর্বের মধ্যেই ধর।