পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Հհ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAA MM AA AMMASAMMMAAA SAAAAAS AAAAA AAAAeeAAAA - --ജ്ഞ് ക്ഷ ত সব ধি দী । ওর না হয় বর তলব করেছে, তোমাকে আবার কে ডাক দিল ?” মায়া বলিল, “বর ছাড়া আর কেউ ডাকতে জানে না নাকি ? বাবা ত আমায় শিবচরণবাবুদের সঙ্গে যেতে লিখেই দিয়েছেন । র্তার কবে চটু করে বেরিয়ে পড়বেন, তখন আমায় হুড়োহুড়ি করে মরতে হবে । তার চেয়ে কলকাতায়ই গিয়ে থাকি না । এখানেই ব| বসে থেকে করব কি ? যে কাজের জন্তে এলাম, তার ত কিছুই চল না।” ইন্দু বলিল, “তবে যাও, আর কি বলব ? আজকাল সবাই স্বাধীন, নিজের ইচ্ছামতই ত চলবে ?” জয়ন্তী বলিল, “স্বাধীন আর কই ? অত্যস্ত পরাধীন বলেই না যেতে হচ্ছে।” তাহার পিসী বলিল, “ আহা, যেতে তোমার বড়ই অনিচ্ছে, ন ? পারলে ত এখন ধেই ধেই করে দুহাত তুলে নাচ ।” রোদ'। ক্রমে পড়িয়া আসিল । ঝিরঝির করিয়া একটুথা িহাওয়াও দিতে আরম্ভ করিল। মায় বলিল, “চ-ট। ধেয়ে চল একবার প্রভাসদাদের বাড়ী ঘুরে আসা যাক । আর ত সময় হবে না, সেদিন অত করে বলে গেলেন ।” ইন্দু বলিল, “ত চল । কিন্তু প্রভাসের চিঠির কথা কিছু বলিস্নে। দেখি বামুনদিদিকে তাড়া দিয়ে, নইলে উতুন ধরাতেই তার চার ঘণ্টা কেটে যাবে।” ইন্দুর শরীর ভাল নয় বলিয়া রান্নার কাজ একজন দরিদ্র। ব্রাহ্মণ-কন্যার দ্বারা চলিত । চায়ের জল যথাসময়েই গরম হইয়া আসিল । সঙ্গে আসিল এক রাশ বাড়ীর বাগানের ফল, আর ঘরে প্রস্তুত মিষ্টান্ন। এখানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ময়রার দোকান নাই । তাই পাছে মায়ার খাওয়ার কষ্ট হয় বলিয়া ইন্দু রোজই ঘরে কিছু-না-কিছু মিষ্টি তৈয়ারী করিয়া রাখে । আত্মীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর ঘর হইতেও মায়ার নামে প্রায়ই মিষ্টান্ন উপহার আসে। কাজেই খাওয়ার অসুবিধার বদলে একটু বেশী রকম সুবিধাই হইয়া গিয়াছে। কাসার রেকারীতে ইন্দুকে খাবার সাজাইতে দেখিয়া মায় বলিল, “কাল চলে যাব বলে কি আজই একমাসের খাওয়া খাইয়ে দিচ্ছ ?” ইন্দু বলিল, “তা এগুলো সব নষ্ট হবে নাকি ? না গরুবাছুরে খাবে ?” 哆 মায়া বলিল, “নিস্তারিণীদিদির ছেলেদের দাও না ? তারা ত ভাল জিনিষ চোখেও দেখে না, কেবল ভাত আর মুড়ি গিলে মরে ।” - ইন্দু বলিল, “দেখে না যে ত কার দোষ ? বুড়ী এদিকে ত টাকার কুমীর, অথচ একটা পয়স বার করতে হলে তার যেন বুক ফেটে যায়। ছেলেগুলোরও এমন লক্ষ্মীছাড়া স্বভাব যে তাদের কিছু দিতে ইচ্ছে করে না ।” যাহা হউক জিনিষগুলা নষ্ট হইবার ভয়ে হোক বা মায়ার অনুরোপেই হোক, নিস্তারিণী-ঠাকুরাণীর ধরে শীঘ্রই বড় এক থালা সন্দেশ, পাস্তুয়া এবং ক্ষীরের ছাচ গিয়া পৌছিল। মায়া, ইন্দু, জয়ন্তী, তার ছেলেমেয়ে সকলে মিলিয়া পাড়া বেড়াইতে চলিল । প্রভাসের মা তখন বসিয়া একখানা গহনার ব্যাটালগ, মন দিয়া দেখিতেছিলেন । অভ্যাগতদের দেখিয়া তাড়াতাড়ি উঠিয়া আসিলেন । বারানায় নানারকম নক্সাকাটা বড় একখানা মাদুর পাতিয়া সকলকে বসাইলেন । গহনার ক্যাটালগটা সৰ্ব্বপ্রথম চোখে পড়িয়াছিল জয়ন্তীর । সে বলিয়া উঠিল, “ছেলের বিয়ে কি ঠিক হয়ে গেল ? বৌয়ের জন্যে গহনার ফরমাশ দিচ্ছেন ? প্রভাসের মা বলিলেন, “ত একরকম ঠিকই বাছা । আর শুধু শুধু দেরি করে কি হবে ?” ইন্দু জিজ্ঞাসা করিল, “কবে বিয়ে ? দিনও ঠিক হয়ে গেছে নাকি ?” প্রভাসের মা বলিলেন, “এই প্রভাস এলেই ঠিক হবে । সে দিনকুড়ি পরে আসছে কি না । এলে একবার মাথা কোটাকুটি করে দেখব । নিতান্তই যদি রাজী না হয়, তাহলে স্বভাসের বিয়েই আগে হবে।” মায়া এতক্ষণ পরে কথা বলিল, জিজ্ঞাসা করিল, “কিরকম মেয়ে ঠিক করলেন ? আপনি নিজে দেখেছেন ?”