পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հե په تسمیه سیمه-ه SAASAASAASAASAASAAMMAMAAASAASAASAASAASAASAAAS চক্ষে দেখিয় থাকেন। স্কুলকলেজের ছেলের নিজহাতে কৃষিকাজ করিতে নারাজ। কিন্তু সম্প্রতি ডাক্তার জিয়াউদ্দিন ইয়োরোপ ভ্ৰমণ করিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা সম্বন্ধে একখানি পুস্তক লিখিয়াছেন ; তাহাতে তিনি লিখিয়াছেন যে, বিলাতে পল্লীগ্রামে যে-সকল উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় আছে তাহার মধ্যে অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্রের নিজহাতে চাষবাস করে, নিজেরাই বাজারে তরিতরকারী লইয়া বেচিয় ও তাহার হিসাব রাখে । এইরূপেই এই-সব ছেলের “মাতুয’ হয় । কোন কোন বিদ্যালয়ে ক্লমিশিক্ষা আবার বাধ্যতা-মূলক । আয়ার্লাণ্ডের অপর আসে সার ও বিনা সারে উৎপন্ন বিলাতী বেগুন নাম Emerald Isle, অর্থাৎ সবুজ ঘাসের দেশ । সেখানে গোধনই শ্রেষ্ঠ ধন । গরুর খাদ্যের জন্য আয়ালাণ্ডের লোকের কত রকমের ঘাস জন্মায় ; কিন্তু আমাদের দেশে আমরা গরুকে মা ভগবতী বলিয় তাহার শিঙে কপালে সিদুর চন্দন দিয়া পূজা করিয়াই ক্ষান্ত থাকি । গরুর উপযুক্ত খাদ্যের কোন ব্যবস্থা করি কি ? শুশ্বনা খড়ই তাহার একমাত্র আহার ; আবার ফরিদপুরে শুনিলাম, খড় একপ্রকার দুষ্প্রাপ্য ; এখানকার জেলখানার জন্য যে খড়ের দরকার হয় সে খড় মণ-প্রতি দুই টাকা, আড়াই টাকা মূল্য দিয়া রংপুর অঞ্চল হইতে আনাইতে হয়। উন্নত কৃষিপ্রণালী অবলম্বন করিয়া বৎসরে একই জমিতে আমাদের নিজেদের ও গরুর খাদ্য অনায়াসে জন্মাইতে• পারা যায় । জলসেচনের ও সারপ্রয়োগের দ্বারা জমির উৰ্ব্বর শক্তিকে অটুট রাখা যায়। আমি বরাবর বলিয়া প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASAAJAMSAMMMA MAMAMAAAA থাকি, আমি একজন রাসায়নিক, টেষ্ট টিউব হাতে করিয়া কাজ করাই আমার অভ্যাস ; প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া আমি কোন কথা বিশ্বাস করি না বা বলি না । আমি যাহা বলিতেছি তাহার প্রমাণ ত এই ফরিদপুরেই যথেষ্ট আছে । এই কমিক্ষেত্রে যে গম জন্মিয়াছে তাহ আপনার দেখিবেন ; কই আশেপাশে ত এমন উৎকৃষ্ট গম জন্মায় নাই ; সময়-মত চাষ, জমির তদ্বির ও সারপ্রয়োগই ইহার একমাত্র কারণ। গতবারে যখন এখানে আসিয়াছিলাম তখন এখানকার পুলিশ সাহেব মিষ্টার আজিজুল হকের বাগান দেখিতে গিয়াছিলাম ; তাহার বাগানে নানারকম তরিতরকারী ও ফুল ইত্যাদি দেখিয়। আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলাম ; এবারে ও র্তাহার বাগান দেখিতে গিয়াছিলাম ; একটা বিলাতী বেগুনের গাছ কত বড় হইয়াছে ও তাহাতে কত পরিমাণ বিলাতী বেগুন ফলিয়াছে তাহ দেখিলে অবাক হইতে হয় । তাহার বাগানে কড়াইল্পটির গাছ দেখিয়া অবাক হইয়াছি ; কেমন বড় বড় সুটি ও কত স্বস্বাদু। ইহা ছাড়া ফুলের বাগানেরই বা বাহার কি। সময়-মত জমি তৈয়ারী, জলসেচন ও সারপ্রয়োগ কবিয়া এইরূপ উৎকৃষ্ট ফসল পাওয়া গিয়াছে । একটু পরিশ্রম করিলে যে আমরা আমাদের নিজের নিজের তরিতরকারী অনায়াসে উৎপন্ন করিতে পারি, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । অনেকে বলেন, সময়ের অভাব ; কৃষিকাজ করিব কখন ? কিন্তু তাস পাশ দাবা খেলিবার সময়ের ত অভাব হয় না ! কাজ করিবার প্রবল ইচ্ছা থাকিলে সময়ের অভাব হয় না। আমরা যেমন সময়ের অপব্যবহার করি, জগতে আর কোন জাতি এমন করে না। আমি আজকাল চীনদেশ সম্বন্ধীয় অনেক গ্রন্থ পাঠ করিতেছি ; চীনেদের অভিধানে আলহু বলিয়৷ কোন কথাই নাই। এমন কি কলিকাতার চীনেপাড়াগুলিতে ঘুরিলে এ কথার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায় ; তাহারা সৰ্ব্বদা কাজে ব্যস্ত ; এমন কি তাহাদের মহিলাগণও দুপুরে কিংবা অপরাহ্লে পরিশ্রমশীল কাৰ্য্যে নিযুক্ত থাকেন। দিবানিদ্র যে কি তাহারা জানে না। আর আমাদের রমণীগণ ? আপনারা হয় ত অনেকে আগাসিজের ( Prof.