পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] সের খি বিক্রী হয়েছে। পুলিস দেখেছে কি না, অথবা বিক্রেতা পুলিসকে কি বলে বুঝিয়েছে জানি না। হিন্দুর নালিশ করলেই ইংরেজের ঠাট্টা করে—Go to your Gandhi and get Swaraj. antal oito হিন্দু চলে না, মুসলমান চলছে অল্প . অল্প ; দোকান বাজার এখনো প্রায় বন্ধ ; হিন্দুরা দুট বাজার বসিয়েছে সেখানে কেবল হিন্দুর কারবার, কিন্তু ভিন্ন পাড়ার লোক সাহস ক’রে যেতে পারে না । শিক্ষায়তন-বিশেষের সহিত সম্প ৰক্ত এক মৌলবী সাহেব বলছিলেন যে, মুসলমানের দুঃখ করছিল যে, তারা একটা আয়রণ-চেষ্ট লুট করে আনছিলো, পথে পুলিস ছিনিয়ে নিয়ে সেটা ভেঙে টাকা কড়ি নিজের সব নিয়ে নিয়েছে, তাদের কিছু দেয়নি। কাল দেখলাম বহু পোদারের দোকান লুট করেছে ও পুড়িয়ে দিয়েছে— সোনারূপার দ্রব্য ও গিনি প্রচুর নিয়ে গেছে। হিন্দুরাও স্থানে স্থানে মুসলমানের দোকান লট ও দাহ করেছে, কিন্তু একটা দর্জির দোকান, একটা কয়লা কাঠের দোকান এমনি, তাতে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির ক্ষতি খুবই হয়েছে, কিন্তু সমাজ-হিসাবে মুসলমানদের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। তারা যে বীভৎস কাণ্ড করেছে ত যে কোনো মানুষ করতে পারে, এ না দেখলে বিশ্বাস ও ধারণ করা যায় না। অনেক মুসলমানের রাগ ছিল পিকেটিঙের দরুণ মদ গাজা কিনতে বাধা পাওয়াতে ; তুবুৰ্ত্তি পক্ষ সেই রাগ এখন কাজে লাগিয়েছে । ( う ) ح التي لاج يج – من سدني\ কোনো বিখ্যাত লোকের ৷ ভাগিনেয় তার সদ্যপ্রস্থত পত্নীকে নিয়ে ঢাকা-হলে পালিয়ে এসেছিলেন একটি ইউরোপীয় নাসের সাহায্যে জলন্ত রাস্তার মাঝখান দিয়ে। মনে হয়েছিলো এই বুঝি ট্র্যাজেডির ক্লাইম্যাক্স । ঢাকায় লুট খুন গৃহদাহ । AMSAMMAMMMA AMMMMMMMMMAeMMMMMMAAA AAAA SAAAAAJJAMAAA AAAA AA AAAA AAAAeBBS S 8లి) কিন্তু ঢাকা-হলের ইতিহাসে বিধাতা আরো অচিন্তনীয় ঘটনা লিখেছিলেন—কাল প্রভাতে একটি মহিলা কন্যা প্রসব করেছেন এবং একটি মহিলা প্রাণত্যাগ করেছেন । যিনি মারা গেছেন, তারা ধনী । তাদের স্বশীল-নিবাস কায়েতটুলীর “স্বশীল-নিবাসের দ্বন্ধ বিধ্বস্তু দিক। মালিক বরিশালের পুলিস সবইনস্পেক্টর। এই বাড়ীর সম্মুখে ডাঃ শৰ্মসউদ্দীন আহমদ এবং অদূরে ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ গিয়াসুদ্দীন সাফ দর বাস করেন নামক স্বরম্য সুন্দর বাড়ীখানি দুর ত্তের চর্ণ দগ্ধ লুট ক’রে গেছে, মোটর গাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে ; এই “শক” বধুটির হৃদয়ে লেগেছিলো ; কাল রাত্রে ঘুমিয়েছিলেন, সকালে উঠতে বিলম্ব দেখে ডাকাডাকির পর দেখা যায় তঁর মৃত্যু হয়েছে । এতগুলি আহত নরনারী ও শিশু এখানে আশ্রয় নিয়ে আছে, কিন্তু একজন ডাক্তার ও কোনো দিন খোজ নিলেন না কিছু দরকার আছে কিনা। ডাক্তারের ধাত্রীর কাজ সব আনাড়িরাই করছেন। ঢাকায় একটি রিলীফ-কমিটি গঠিত হয়েছে ; তাতে নাকি নবাব বাহাদুর হাজার টাকা দিয়েছেন ও এখনকার প্রসিদ্ধ ধনী রমানাথ দাস হাজার দেবেন প্রতিশ্রত হয়েছেন । সাহায্য ভিক্ষা করতে হবে সাহাবুদ্দীন সাহেবের কাছে, নয় তো মাজিষ্ট্রেটের কাছে । কোন আত্মসম্মানসম্পন্ন হিন্দু তাদের কাছে হাত পাততে যাবে ? মুসলমানদের যা ক্ষতি হয়েছে তা ঐ দুই হাজারেই