৩য় সংখ্যা ] অবিনশ্বরতা সম্বন্ধে একাধিক দার্শনিক মতবাদ প্রাচ্য ও প্রতীচ্য দর্শনের ভাণ্ডার হইতে আহরণ করাও কিছুমাত্র কঠিন নহে।...যখন আধুনিক যুগে জুলিয়াস রবার্ট মাযার, হেলমহোলটুস প্রভৃতি বৈজ্ঞানিক মহারধিগণ এই অতি পুরাতন তথ্যটাকে নুতন করিয়া জাহির করিলেন, তখন বিজ্ঞান-জগতের সর্বত্র এক মহা সাড়া পড়িয়া গেল।... শক্তির স্বরূপ কি, এবং শক্তির সহিত মামাদের পরিচয়ই বা কি ভাবে স্থাপিত হয়। বলা বাহুল্য, বৃক্ষ লতা প্রভৃতির স্থায় শক্তি সহজ ইন্দ্রিয়-গ্রাহ্য নহে। কার্যা দ্বারা কারণের অস্তিত্ব অনেক সময় অনুমান করিতে হয় ---লক্ষণের সাহায্যে শক্তির অস্তিত্ব অণুমান করিতে হয় । শক্তির আধারের প্রধান লক্ষণই এই যে, শক্তির প্রভাবে ইহা নানারূপ কার্যা সম্পন্ন করিতে পারে । প্রাকৃতিক জগতে দেপিতে পাই, শক্তিশালী পুরুষ বৃহৎ ভার অনায়াসে উত্তোলন করিতে পারেন , ক্তলীয় বাপ শক্তির প্রভাবে পিচকারীর চাকতি ঠেলিয়া দিয়া এঞ্জিন চালাইতে পারে, বর্তমান বায়ু শক্তির প্রভাবে বায়ুচক্রের চাক। ঘুরাইয়া কল কারগানা চালাইতে পারে, স্রোতস্বিনীর জলরাশি চক্রের উপর প্রতিহত হইয়া জলচক্র চালাইতে পারে । সুতরাং আমরা বলবান মনুষ্য, জলীয় বাপ, বহমান বায়ু ও শ্রোতস্বিনীর জলরাশিতে শক্তির আরোপ করিয়া থাকি । শক্তির স্বরূপ এই ভাবে নির্ণীত হইল। এখন বিবেচ্য, শক্তির পরিমাণ কি ভাবে নির্দিষ্ট হইবে ? যে লক্ষণের দ্বারা শক্তির অস্তিত্ব নিৰ্দ্ধারিত হয়, তাহার সাহাষোই শক্তির পরিমাণও নির্দিষ্ট হয়। অর্থাৎ সম্পাদিত কার্সের পরিমাণ দ্বারাই শক্তির পরিমাণ স্তির হয় । সে বস্তুর শক্তি যত অধিক, শক্তির প্রভাবে সে তত অধিক পরিমাণে কামা সম্পাদন করিতে পারে ।... বিশ্ব-জগতে নানা প্রকার শক্তির সঙ্গিত আমরা পরিচিত তই— আলোক, উত্তাপ, তড়িৎ, অঙ্গীরের অন্তর্নিহিত শক্তি প্রভূতি কত অসংখা প্রকার শক্তি নৈসর্গিক জগতে অtয়গোপন করিয়া থাকে। কোনট দর্শনেন্দ্রিয়কে উত্তেজিত করিয়া স্বরূপ প্রকাশ করে, কোনটী শ্রবণেন্দ্রিয়ের নিকট ধরা পড়ে, কোন-কোনটা আবার অতি সঙ্গোপনে লুকায়িত থাকে, এবং অতি জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলে আত্ম-প্রকাশ করে । কিন্তু এই যে অসংখ্য রূপে শক্তি মানুষের সম্মুখে দেখা দেয়, প্রকৃত পক্ষে ইহাদের মধ্যে কোন মূলগত পার্থক্য নাই—ইহারা সকলেই এক গোষ্ঠীভুক্ত, প্রত্যেকেই “শক্তির" এক বিশেষ রূপ মাত্র । প্রশ্ন উঠতে পারে, আলোক, উত্তাপ, তড়িৎ প্রভৃতি আপাতবিষম বিষয়কে শক্তির রূপান্তর বলিয়া মনে করিবার কি সঙ্গত কারণ থাকিতে পারে? কারণ ইহাই যে, শক্তির যাহ অবখ্য প্রয়োজনীয় লক্ষণ, তাহা প্রত্যেকটতেই আরোপ করা যাইতে পারে ; অর্থাৎ আলোক, উত্তাপ, তড়িৎ—প্রত্যেকেরই কায্যেtৎপাদনের ক্ষমতা আছে। উত্তপ্ত জলীয় বাষ্পের সাহায্যে ষ্টীম এঞ্জিন চালান অতি পরিচিত ব্যাপার। এক্ষেত্রে উত্তাপই আংশিক ভাবে এঞ্জিন চালানরূপ কার্যে পরিবর্তিত হইতেছে। বৈদ্যুতিক শক্তির সাহাযো যান-বাহন পরিচালন করাও বৰ্ত্তমান যুগে অপরিচিত নহুে—কলিকাতার রাস্তার বৈছাতিক ট্রাম তড়িতের কার্যকরী শক্তির পরিচয় দিতেছে। আলোকের সাহায্যে যে কোন কার্য সম্পন্ন হইতে পারে, সাধারণ লোকে প্রথমে তাহ বিশ্বাস নাও করিতে পারেন ; কিন্তু এরূপ দুষ্টান্ত মোটেই বিরল নহে। ফোটোগ্রাফির প্লেট আলোক-সম্পাতে যে ভিন্ন আকার ধারণ করে, তাহা আলোকের কার্যকরী শক্তিরই পরিচায়ক। উদ্ভিজ্জগতে আলোকশক্তির প্রভাব অতি স্পষ্ট ভাবে দেখিতে পাই। ভূমি ও বাতাসে উদ্ভিদের পাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে সঞ্চিত থাকিলেও আলোকশক্তির সাহায্য ব্যতীত উদ্ভিদের বুদ্ধি সম্ভবপর নহে সুতরাং আলোকের মধ্যেও কাৰ্য্য করিবার শক্তি নিহিত আছে, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় SAASA SAASAASSAAAAAAMAAASA SAASAASAASAASAAAS কষ্টিপাথর—শক্তি-বিজ্ঞান 8Nరిన -- - عم۔م۔م۔م۔مہاسبہ۔ مہمہاسیمہی ہیں۔ নাই। ইহাদের সকলকে শক্তির রূপান্তর বলিয়া মনে করিবার আর এক কারণ এই যে, ইহাদের প্রত্যেকটকে অন্ত রূপে পরিবর্তিত করা সম্ভবপর। উত্তাপ হইতে তড়িতের উৎপত্তি অথবা তড়িৎ হইতে উত্তাপ স্বষ্টি আধুনিক যুগের লোকের নিকট প্রত্যক্ষ-দৃষ্ট সত্য। অবশ্য এ কথা স্বীকায়া যে, সকল সময়েই এই প্রকার পরিবর্তন সহজে সংঘটিত হয় না ; কিন্তু বৈজ্ঞানিকের দৃঢ় বিশ্বাস, যে-কোন প্রকারের শক্তিকে অন্ত যে-কোন রূপে পরিবর্তিত করা অসম্ভব নহে । প্রকারভেদে শক্তি অনন্ত হইলেও, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে সমগ্র শক্তির পরিমাণ নিত্য, ইহার হ্রাসবুদ্ধি নাই, ইহাই হইল শক্তিশাস্ত্রের প্রথম প্রতিপাদ্য । সুতরা: যখন কোনও প্রকারের শক্তির রূপান্তর ঘটে, তাহাতে শক্তির বিন্দুমাত্র বিনাশ হয় না, শুধু এক শ্রেণীর শক্তির পরিবর্ক্সে অন্ত আর এক প্রকারের শক্তির উদ্ভব হয়। শক্তির উৎসের সন্ধানে বৃদ্ধিমান মানুষ অহরহঃ ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; শক্তির আধারের সন্ধান পাইলেই তাহা হইতে সুবিধাজনক কায আদায় করিতে বাস্ত হইয়া পড়িতেছে। কিন্তু কোনও সময়েই মানুষ অসীম শুষ্ঠ হইতে শক্তি উৎপাদন করিতে পারে নাই এবং ভবিষ্যতে পারিবেও না। একটা দৃষ্টান্ত দেওয়া যাউক । সভ্য সমাজে এখন তাড়িত-শক্তি নিতান্ত অবিশ্ব্যক হইয়া পড়িয়াছে,--প্রাত্যহিক জীবনে ইঙ্গ অনেকটা স্তান জুড়িয়া বসিয়াছে । কিন্তু তড়িৎ উৎপাদন করিতে মানুষকে হয় অঙ্গারের অন্তর্নিহিত শক্তি বা জলের গতি তথবা অন্য কোন প্রকার নৈসৰ্গিক শক্তির BBBBB BBBB BB S BB BBB BBBB BBB BB BBB BB BB BBBB BB BBS BBS BBBS BBBB BBBB শক্তিব আরোপ না করিয়াই তাড়িত-“কি উৎপাদন করা যাইতে পারে। এই প্রকার কাল্পনিক সম্বকে অষ্টভাল "প্রথম শ্রেণীর অনস্তগতিশীল যন্ত্ৰ” বুলিয়। অভিহিত করেন । এই প্রকার একটা যন্ত্র আবি*ার কবিতে পারিলে সংসারের অনেক গণ্ডগোলের হাত হইতে আমরা নিস্কৃতি পাইতাম ।...এই ‘কাল্পনিক যন্থ হইতে বিনামূল্যে অজস্র উত্তাপ, আলোক প্রভৃতি নানা প্রকারের শক্তি আমাদের ইচ্ছাস্তসারে লাহির হইয়া আসিত।...প্রকুত পক্ষে সংসারে নিতাই দেখিতেছি যে, কয়লা ও তৈল ব্যতীত কোন যন্থই চলিতেছে না এবং অগহার্য প্রস্তুত ও আলোক টৎপাদনের জষ্ঠ্য ইন্ধনও পুড়াইতে হইতেছে । বহুকালের অভিজ্ঞতার ফলে বৈজ্ঞানিক স্থিা করিয়াছেন যে, পৃষ্ঠ হইতে শক্তির জন্ম অসম্ভব । বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে স্থষ্টির প্রারস্তে যে পরিমাণ শক্তি কেশন অবাস্ত কারণের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, আজ পর্য্যন্ত নৈসর্গিক পরিবর্তনের ফলে তাহার একচুল ক্লাস-বৃদ্ধি হয় নাই । তবে ইহার "পান্তর হইতেছে, এ কথা সতী । শক্তির উৎপত্তি যেমন মানুষের তায়িত্তাধীন নহে, শক্তির বিনাশও সেইরূপ অসম্ভব। বিশ্বসংসারে শক্তির বিনাশ নাই-ভিন্ন মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিলেও ইহার বিনাশ হয় না ; ফলে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সমগ্ৰ শক্তির পরিমাণ চিরকাল একই রহিয়া গিয়াছে। প্রশ্ন উঠিবে-শক্তি যদি স্বল্পই না হয়, তবে বেগবতী স্রোতস্বিনীর তেজ নিতা কোথা হইতে সংগৃহীত হইতেছে ? প্রায় সকল প্রকার শক্তির আধারের অনুসন্ধান করিলে অবশেষে দেীরকিরণে গিয়া পৌঁছিতে হয় । আমি মৎস্তমাংসভোজী সবল মমুক্ত, আমার পেশীসমূহ শক্তির আধার। মানুষের এই পশুশক্তি আসে কোথা হইতে ? এক অনির্দিষ্ট প্রাণশক্তির প্রভাবে উদ্ভিজ্জ ও মাংসে পুষ্ট হইয়। পেশীসমূহে শক্তি সঞ্চিত হইতে থাকে। উদ্ভিজ্জ বাতীত প্রাণী জীবন ধারণ করিতে পারে না ; এবং সৌরকিরণ ভিন্ন উদ্ভিদ শক্তিসঞ্চয় করিয়া বদ্ধিত হইতে পারে
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।