পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 o প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড জাগ্রত পারস্তা—শ্ৰীঅনিলচন্দ্র রায়, এমূ-এ, বি-এল প্রণীত ও ঢাকা এন্‌-এস্ প্রেস হইতে গ্রন্থকার কর্তৃক প্রকাশিত। পৃষ্ঠা সংখ্যা ।•+১৫৯, কাগজে বাধাই, মূল্য দেড় টাকা । আলোচ্য গ্রন্থে লেখক পারস্তের পুরাতন ও আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাবাহিক আলোচনা করিয়াছেন । বিশেষ করিয়া তিনি ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে দেশে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপরিষদের স্থাপন হইতে ১৯২৫ খৃষ্টাব্দে রেজা শাহের সিংহাসনারোহণ পৰ্য্যন্ত দেশের চিরন্তন অন্তর্বিপ্লবের একটি চিত্র আঁকিতে চেষ্টা করিয়াছেন । পুস্তকখানি সময়োপযোগী সন্দেহ নাই । - কিন্তু গ্ৰন্থখানি পড়িতে আরম্ভ করিয়া হতাশ হইতে হয়। ইহার ভাষা প্রায় সৰ্ব্বত্র কৃত্রিম ; বিশেষতঃ অনেকস্থলই ইংরেজীর অক্ষম অনুবাদ বলিয়া অত্যন্ত বিসদৃশ মনে হয়। ভগবান জরথুষ্টদেবের প্রচারিত ধৰ্ম্ম ও ইস্লামের অধুনাতন বাহাই সম্প্রদায় সম্বন্ধে লেখকেব ধারণা অল্প। দার্শণিক গজ্জালীকে জামী, রুমী হাফেজের সঙ্গে কবিদলের অন্তভুক্ত করা হইয়াছে। লেখক আরও কিছু কিছু ভুল করিয়াছেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ আর একটির মাত্র উল্লেখ করিতেছি । বোম্বাই প্রদেশের পাশী সম্প্রদায় পারস্তের ‘মজলিসে প্রতিনিধি প্রেরণ করিতে পারে না। মজলিসে' পারস্বের অধিবাসী পারসিক সম্প্রদায়ের ( আজকাল তাহদের সংখ্যা ১২,• • • ) একজন প্রতিনিধি থাকে । অধুনাতন প্রতিনিধির নাম, Arbalı Kaikhosrow Sharokh, গ্রন্থকার ইংরেজী গ্রন্থাদি হইতে সৰ্ব্বত্র লেখা উদ্ধত করিয়াছেন, কিন্তু কোথাও সেই সকল গ্রন্থকৰ্ত্তাদের নাম পৰ্য্যস্ত উল্লেখ করেন নাই। *arya o so. Sykes as History of Persia & *tofro of Sio Drowned: Persian Revolutionań নামোল্লেখ করিলে লেখকের সৌজন্য প্রকাশ পাইত । আশা করি দ্বিতীয় সংস্করণে গ্রন্থকার এ সকল বিষয়ে, বিশেষতঃ ভাষা সম্বন্ধে, অবহিত হইবেন, নচেৎ গ্রন্থ প্রকাশের উদেখ ব্যর্থ হইবে। নানা দোষ, ক্রটা সত্ত্বেও এই উদ্যম প্রশংসনীয় সন্দেহ নাই । শ্ৰীসতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় ছন্দের টুংটং – শ্ৰীযুত নিৰ্ম্মল বস্ব প্রণীত, প্রকাশক বাগচী এণ্ড কোং, ২-৩২, কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাতা । দাম • আনি । শিশুসাহিত্যে স্বনিৰ্ম্মলবাবুর কবিতা অতি উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছে। নিত্য নুতন নুতন ছন্দে কবিতা লিগিয়া তিনি শিশু পাঠকদের চিত্তহরণ করিতেছেন । ছনে তার দখল যে কি আশ্চৰ্য্য রকমের এই ছন্দের দুটা পড়িলেই তাহ বেশ বুঝিতে পারা যায়। ছেলেমেয়েরা যাহাতে নুতন নুতন ছন্দের সঙ্গে পরিচিত হইয়া সহজে কবিতা আয়ত্ত করিতে পারে, তাহার জন্যই স্বনিৰ্ম্মলবাবু এই বইটি লিখিয়াছেন । তিনি দেখাইয়াছেন, শুধু জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি, কোকিলের কুহু, আর মলয়ের হুহুর মধ্যেই কবিতার ছন্দ নাই— বরফওয়ালার ডাকে, চৌকিদারের ইকে, শেয়ালের হুকাস্থয়ায়, এমন কি স্মশানযাত্রীর যেtল হরিহরি বোলের মধ্যেও ছন্দের অভাব নাই, আর তার সাহায্যে অতি সহজেই কাব্যের বীণায় ঝঙ্কার তোলা যায় । ছদ শিখাইবার জন্য তিনি যে-সব টুটা শুনাইয়াছেন, তাহ দেশের চলতি ছড়ার মতোই মিষ্টি ও চটুল কিন্তু তাহার চেয়েও উচুদরের এই জন্য যে, ছড়ার ভাব অনেক স্থলেই এলোমেলো অর্থসঙ্গতিহীন— স্বরের ঝঙ্কার তোলাই তাহার প্রধান কাজ, কিন্তু এই টু টাংয়ে মুরের ঝঙ্কার তো আছেই, অর্ধদক্ষতিরও ব্যতিক্রম নাই। অপেক্ষাকৃত বড় ছেলেমেয়ের ইহা পাঠে বিশেষভাবে উপকৃত হইবে। খুব ছোটর-যাহার ছন্দের বিশ্লেষণ বুঝিতে পারিবে না, তাহারাও টুটাং বা ছোট ছোট কবিতা সানন্দে ছড়ার মতে মুখস্থ করিবে: ‘ছলের টুংটং যে স্বনির্মলবাবু কিরূপ স্বন্দর বাজাইয়াছেন, তাহার একটু ধ্বনি তাহার মলের গানে শুনুন,— ঝিনিক ঝিন্‌ ঝিন্‌ ফুরায় ক্ষীণ দিন । গায়ের বেী বায় ঘাটের দিকটায় বীজীয় জোর জোর পায়ের মলু-বীণ— ঝিনিক ঝিন্‌ ঝিন। শ্রীনিশিকাস্ত সেন বসন্তরোগ চিকিৎসা—দ্বিতীয় সংস্করণ (পরিবদ্ধিত ) ৷ কবিরাজ লীঅমরেন্দ্রনাথ রায় প্রণীত ও ১৬নং কম্বুলিয়াটোলা লেন, কলিকাতা হইতে স্ত্ররণেন্দ্রনাথ রায় কর্তৃক প্রকাশিত। ৬৬ পৃষ্ঠা মুল ॥• আনা । কবিরাজ মহাশয়ের এই পুস্তকখানি পাঠ করিয়া আমরা আনন্দলাভ করিয়াছি। আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে বসন্তরোগ সম্বন্ধে যে অমূল্য তত্ত্ব নিহিত আছে, তাহা সহজ বাঙ্গালা ভাষায় সাধারণের নিকট প্রচার করিয়া কবিরাজ মহাশয় প্রভূত উপকার সাধন করিয়াছেন । বসন্তরোগের বিভিন্ন অবস্থায় লক্ষণাবলী, উপসর্গ, পথ্যাপথ্য নির্ণয়, প্রতিষেধক বিধি ও চিকিৎসা প্রভৃতি বিশদভাবে আলোচিত হইয়াছে । প্রত্যেক গৃহস্থের এই পুস্তক পাঠ করা উচিত । _ শ্ৰীঅরুণকুমার মুখোপাধ্যায় প্রভাতী—কবিতার বই । খ্ৰীপ্রভাবতী দেবী প্রণীত ও ২নং বেথুন রে, কলিকাতা হইতে খ্ৰীহিরণকুমার মৈত্র কর্তৃক প্রকাশিত । ১৫৬ পৃঃ । মুল্য এক টাকা জীবন-সন্ধ্যায় কবি মৰ্ম্মে যে আঘাত পাইয়াছেন তাহার জীবনদেবতাকে তাহার অংশ তিনি দিতে পারেন নাই, প্রভাতের ফুলে ডালা সাজাইয়া দেবতার পায়ে নিবেদন করিতে চাহিয়াছেন । কিন্তু কবির বাসন পুর্ণ হয় নাই । ডালার ফুলের অনেকগুলিতেই অশ্রুবিন্দু টলটল করিতেছে । নিকষ-কালো আকাশ-কোলে কাচা সোনার বরণ-রেখা ; মেঘের ফঁাকে তারার অালো দেখা দিয়েই হয় অ-দেখা ; রাত্ৰি যেন আঁধার ভারে লুইয়ে পড়ে ধরার বুকে ভিজে মাটর গন্ধ পরশ চায় সে নিতে কি উৎসুকে ; আমিই কি গে। রইব ডুবে হিয়ার তমো সিন্ধু-নীরে ? এই সুরই 'প্রভাতী’তে বেশী বাজিয়াছে। র্তাহার ছন্দ কোথায়ও বেসুরা হয় নাই। দেবতার প্রতি তাহার নির্ভরশীলতা পাঠককে মুগ্ধ ন। করিয়া পারে না। কাব্যস্থষ্টি-হিসাবে কবিতাগুলি সার্থক । ছাপা ও বাধাই ভাল । श्ल