পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] যোগ না দিলেও অন্ততঃ এইরূপ আংশিক স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইবে । “কতক মুসলমান” বলিতেছি এই জন্য, যে, জামিয়াৎ-উল-উলেমা স্বরাজপ্রচেষ্টায়ু যোগ দিবার অনুকূলে মত প্রকাশ করিয়াছেন, বোম্বাইয়ের অধিকাংশ মুসলমান যোগ দিয়াছেন, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বিস্তর মুসলমান স্বরাজের জন্য প্রাণ দিয়াছেন ও জেলে গিয়াছেন, বিহারে ও তাই । কতকগুলি মুসলমানকে স্বরাজপ্রচেষ্ট হইতে দূরে রাগিবার জন্য এখন ইংরেজরা যাহাই বলুন, তাহলের প্রতিশ্রুতির মূল্য বেশী মনে করা ভুল। স্বরাজ স্থাপিত হইলে, যে-সব মুসলমান ও অমুসলমান উহ লাভের চেষ্টা করিতেছেন, তাহারাষ্ট হইবেন সংখ্যাভূয়িষ্ঠ দল (majority) ; এবং তাহারা যদি ইংরেজদের বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলি দেশের পক্ষে অনিষ্টকর মনে করেন, তাহা হইলে তদন্তসারে কাজ হইবে না । কতক মুসলমান মনে করিতে পারেন, যে, স্বরাজ হইলে তাহার স্ববিদ৷ ত তখন পাওয়াই যাইবে ; মৃতরাং এখন ইংরেজদের নিকট হইতে যাহা পাওয়া যায় তাহা ছাড়ি কেন ? কি স্থ, “অন্য লোকের প্রাণপণ করিয়া, মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া, জেলে গিয়া, একটা জিনিষ দেশের জন্য অর্জন করুক, আর আমরা এখন তাহাদিগকে বাধা দিয়া কিছু সুবিধা করিয়া লই, পরে যথাসময়ে স্বরাজের বখরা লইবার জন্য উপস্থিত হইব,” এরূপ মনের ভাব কোন মতুযু বিশিষ্ট বীরধৰ্ম্মী লোকের হওয়া উচিত নয় । যাহার পর অরাজনৈতিক ধাচের মাতুম, তাহার' ত চুপ করিয়া থাকিলেই পারেন ? নারীদের দ্বারা পিকেটিং গত রহস্পতিবার ১২ই জনের ষ্টেটসম্যানে এই খবর বাহির হইয়াছে, যে, তাহার আগের দিন “কলিকাতার বড়বাজারের প্রায় সমস্ত কাপড়ের দোকান বন্ধ হইয়াছিল।” ইহার কারণ এই বলা হইয়াছে, যে, “স্বরাজী মত বিশিষ্ট কয়েকজন ব্যবসায়ী পিকেটারদিগকে গ্রেপ্তার করা রূপ দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ কারবার বন্ধ রাখে, কিন্তু অধিকাংশ ব্যবসায়ী পিকেটারদের উপস্থিতি বশতঃ নুতন উপদ্রবের আশঙ্কায় দোকান-পাট বন্ধ করে ।” এরূপ বর্ণনায় ব্যাপারটি ঠিক বুঝা যায় না। যে বৃত্তান্ত পাইয়াছি তাহা এই – “১০ই মে বড়বাজারে ক্রশ ষ্ট্রীটে নারী সত্যগ্রহী সমিতির কতিপয় সত্য বিকালে পিকেটি করিতেছিলেন। তখন একজন পুলিশ-কর্মচারী পথিকদের উপর মারপিট সুরু করে । একজন ঐ অঞ্চলের ব্যবসায়ী অীমর বিবিধ প্রসঙ্গ-আসামীর অসাক্ষাতে বিচার AMAMAMMAMA AMAMAMSMSMAMMMAMSMAMAMMMMMAMAMAMMAMAAASAASAASAASAAAS 8ፃ(t SAMASeeeMSASAeAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASAASAAAS AAAAAS AAASASAAAAASA SAAAMS AMAMAAAS পথিক মাথা ফাটিয়া অচৈতন্য হইয়া পড়িলে নারী সত্যাগ্রহীগণ তাহাকে পুলিশের হাত হইতে রক্ষা করিয়া শুশ্রুষা করিতে চেষ্টাপর হন । কিন্তু ইত্যবসরে পুলিশের লোকটি নুতন একদল পুলিশ লইয়া পচাগলিতে প্রবেশ করিয়া তথাকার পথিক ও দোকানীদের উপর লাঠি চালাইতে সুরু করে । সমস্ত বড়বাজার এই ব্যাপারে চঞ্চল হইয়া উঠে । তখন নারী সত্যাগ্রহীদের উত্তেজিত জনতাকে একদিকে শাস্ত করিতে ও অপরদিকে পুলিশের লাঠি হইতে রক্ষা করিতে ইতস্ততঃ ছুটাছুটি করিয়া কঠিন বেগ পাইতে হইয়াছে । দোকানীগণ দোকান প্রায় ৫টার সময় বন্ধ করিয়া ফেলেন, কিন্তু অৰ্দ্ধোন্মুক্ত দ্বার দিয়াও পুলিশ তাহাদিগকে দোকানের মধ্যে প্রহার করিতেছিল । সত্যাগ্ৰহী সমিতির সভানেত্রী শ্ৰীযুক্ত উৰ্ম্মিল দেবী এক দোকানের দ্বারদেশে দাড়াইয়াছিলেন । সব-ইনস্পেক্টর মহাশয় উtহার দক্ষিণ স্বন্ধে লাঠি প্রহার করেন। ইহা ছাড়া সমিতির অন্যতম সম্পাদিকাকেও তিনি তাপমানিত করেন। পত্রিকার স্তস্তে সমস্ত ঘটনার এক অলীক বিবরণ প্রকাশিত হইয়াছে ; কিন্তু নেদিন দেখিতে না দেখিতে বড়বাজারের সমস্ত দোকান-পাট বন্ধ হইয়া যায়। পরের দিনও ক্রশ ষ্ট্রীট, পচাগলি অঞ্চলের ও তুলাপটির দোকান-পাট যন্ধ রহিয়াছে।” এই ব্যাপারটি গবন্মেন্টের অনুসন্ধানে যোগ্য । ষ্টেটসম্যানে এসম্বন্ধে লিপিত হইয়াছে, যে, “বিকালে ৫০জন নারী সত্যণগ্রহী সদৗসুখ কাটর, পগেয়াপটী এবং কটন ষ্টুটে উপস্থিত হন, যেখানে তখনও কয়েকটি দোকান খোলা ছিল । র্তাহীদের উপস্থিতির ফলে দিবসের বাকী সময়ের স্তম্ভ তাহারাও কারবার বন্ধ করে ।” খবরের কাগজে পূৰ্ব্বেই সংবাদ বাহির হইয়াছে, যে, এই সমিতির চেষ্টায় কলেজ ষ্ট্রাটের প্রধান প্রধান দোকানদার বিদেশী বস্ত্র বেচিবেন না বলিয়। স্বীকারপত্র দিয়াছেন, ফুটবল ম্যাচগুলিতে দেশী খেলোয়াড়ের দল খেলা বন্ধ করিয়াছেন, ম্যাডান কোম্পানী নিম্নলিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছেন – "(১) ব্রিটিশ চিত্র তানিবেন না, (২) চিত্রগুহসংলগ্ন মদ্য বিক্রয় সাহেলী পাড়ায় ও সাহেব ক্রেতাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিবেন, (৩) এই বৎসর ব্রিটিশ চাটনি, আচার, প্রভৃতি আমদানী করিবেন না, (৪) স্বদেশীয় চিত্র তারে। বেশী প্রদর্শন করিবেন, ও (৫) হরতালের দিন সমস্ত চিত্ৰগৃহ বন্ধ রাপিয়৷ হরতাল পালন করিবেন।” আসামীর আসাক্ষাতে বিচার বর্তমান বৎসরের তিন নম্বর অর্ডিন্যান্সের ৯ (১) ধারা অতুসারে কোন কোন স্থলে আসামীর আসাক্ষাতে বিচার করা চলিবে । লাহোর যড়যন্ত্রের বিচারের জন্য ঐ অডিনান্স জারি হইয়াছে । লর্ড মলী যখন ভারতসচিব ছিলেন, তখন তিনি বিনা বিচারে কয়েকজন ভারতীয়ের নিৰ্ব্বাসন মঞ্জুর করিয়াছিলেন । কিন্তু তিনিও আসামীর অসাক্ষণতে তদন্তের বিরুদ্ধে তখনকার বড়লাট লর্ড মিণ্টেণকে লিখিয়াছিলেন –