পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ማö “One thing 1 do beseech you to avoid—a single case of investigation in the absence of the accused. We may argue as much as we like about it... and there may be no substantial injustice in it, but it has an ugly continental, Austrian, . Russian look about it, which ... will stir a good deal of doubt or wrath here, , quite besides the . Radical Ultras. I. have considerable confidence, after much experience, in my flair on such a point.”—Morley's Recollections. Vol. ii, p. 289. বাংলা দেশের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভারতবর্ষের ও বঙ্গের রাজনৈতিক অবস্থা এরূপ সঙ্গীন হইয়া উঠিয়াছে, যে, তাহার আলোচন না করিলে চলে না ; এবং সেরূপ আলোচনাতে আমাদের বিবিধ প্রসঙ্গের প্রায় সব জায়গা ভরিয়া যাইতেছে। আলোচনা অবষ্ঠ”অশ্বাস্ত্ররূপ, এবং আমাদের ইচ্ছার অন্তরূপও, হইতেছে না। তাহার একট। কারণ, সংবাদপত্রে সব খবর বাহির হইতেছে না, যাহা বাহির হইতেছে তাহাও কাটছাটের পর এবং রং ফিক করিয়া । মাসিকপত্রের সাময়িক আলোচনা বিভাগে সেই সব সংবাদ অবলম্বন করিয়া মন্তব্য প্রকাশ করা হয় ; সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ করা মাসিকপত্রের কাজ নহে । সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ অপ্রচুর হইলে ও তাহাতে খুত থাকিলে আমাদের মন্তব্যও অাশাতুরূপ হইতে পারে না । মন্তব্যগুলি আশাতুরূপ ন হইবার অন্য গুরুতর কারণ ঘে আছে, তাহ বলা অনাবশ্ব)ক । আমরা বলিতে যাইতেছিলাম, রাজনৈতিক ঘটনা ও তাহার আলোচনার ভীড়ে অন্য নানা অতীব প্রয়োজনীয় বিষয়ের আলোচনার স্থান হইতেছে না। যেমন, বঙ্গের স্বাস্থ্য । ইহার অবস্থা অতি শোচনীয় । ১৯২৮ সালের যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সরকারী রিপোর্ট ডাক্তার বেণ্টলী প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে দেখা যায়, বঙ্গের লোক ংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি অন্য সব প্রদেশের চেয়ে কম । যত মানুষ প্রতি বৎসর জন্মগ্রহণ করে ও যত মরে, তাহার মধ্যে প্রভেদকেই স্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হাস বলা হয় । যদি জন্ম অপেক্ষ মৃত্যু কম হয়, তাহা হইলে লোকসংখ্যা বাড়ে ; যদি জন্ম অপেক্ষ মৃতু্য বেশী হয়, তাহা হইলে লোকসংখ্যা কমে। এই প্রকার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও হ্রাস ছাড়া, কৃত্রিম বৃদ্ধি ও হ্রাসও আছে । যদি কোন দেশে অন্য স্থা ন হইতে লোক আসিয়া বাস করায় লোকসংখ্যা বাড়ে, তাহা কৃত্রিম বুদ্ধি ; আর যদি কোন দেশ হইতে লোক অন্যত্র চলিয়া যায়, তাহা কৃত্রিম হ্রাস । স্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হ্রাস দ্বারাই কোন দেশের স্বাস্থ্যের প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড অবস্থা বুঝা যায়। ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ১৯২৮ সালে হাজারকরা স্বাভাবিক লোকসংখ্যা বুদ্ধি কত হইয়াছিল তাহার তালিক। নীচে দিতেছি । প্রদেশ হাজারকর লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পঞ্জাব ૨ 8. ૭ আগ্ৰা-অযোধ্য। X 8. S উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ > ご。2 বিহার উৎকল ン\○。o মধ্য প্রদেশ છે ૨.br মাম্রাজ У X , о বোম্বাই ' o సె আসাম S。> ব্রহ্মদেশ 8 ما ه বঙ্গদেশ 8. X বঙ্গে শিশুমৃত্যুর অবস্থা অতি ভয়াবহ । আলোচ্য বৎসরে ২,৪৫,০৪৫ শিশুর মৃত্যু হয় । তাহার মধ্যে ছেলে ১,৩১,৪৫৩ এবং মেয়ে ১,১৩,৫৯২ । হাজারটি জন্মের মধ্যে মরিয়াছে ১৭৮.১টি শিশু —ছেলে মরিয়াছে হাজারকর। ১৮৩.২, মেয়ে মরিয়াছে হাজারকরা ১৭২৬ । পূৰ্ব্ববংসরের চেয়ে মোট শতকরা ৬.৯ মৃত্যু বাড়িয়াছিল । প্রতি ১০০ মেয়ে শিশুতে ১১৬ ছেলে শিশু মরিয়াছিল । বঙ্গের সমগ্র মৃত্যুসংখ্যার একপঞ্চমাংশ শিশুমৃত্যু । শতকরা ৪৫.৪ শিশুমৃত্যু একমাসের নীচের বয়সে হয়, ২৬.৭ এক হইতে ছয় মাস বয়সে হয়, এবং বাকী ১৭.৯ ছয় হইতে বারমাস বয়সের মধ্যে হয় । দারিদ্র্যজনিত যথেষ্টখাদ্যাভাব বঙ্গে মৃতু্যসংখ্যার আধিক্যের একটি প্রধান কারণ । ম্যালেরিয়া, কলেরা, কালাজর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ক্ষয়রোগ, বসন্ত প্রভূতিতেও বিস্তর মৃত্যু হয় । চিকিৎসার বন্দোবস্ত গ্রাম-অঞ্চলে অল্পই আছে—এবং বাংলা দেশ গ্রামপ্রধান । শিশুমৃত্যুর আধিক্যের নানা কারণ বিদ্যমান। কোনটি প্রধান কোনটি অপ্রধান তাহার বিচার না করিয়া বলা যাইতে পারে, বাল্যমাতৃত্ব, স্থতিকাগারের অসন্তোষজনক অবস্থা, অশিক্ষিতা ধাত্রীদের দ্বার প্রসবকাৰ্য্য সম্পাদন, শিশুপালন সম্বন্ধে জননীদের জ্ঞানাভাব এবং তাহীদের দ্বারা শিশুদের যথেষ্ট যত্বের অভাব, যথেষ্ট খাটি দুগ্ধের অভাব, প্রস্থতিদের পুষ্টিকর পাদ্যের অভাব, যথেষ্ট আলোক ও বায়ুহান আর্দ্রগুহে বাস, ইত্যাদি শিশুমৃত্যুর কারণ ।