পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] സ്-l.ബി."\. করিয়া জানিব ? তবে ইহার কলে জমাদাররা আরও বেশী করিয়৷ স্বাঞ্জাতিকতা হইতে দূরে থাকিতে চেষ্টা করিবেন, ইহা অসম্ভব নহে । অধ্যাপক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অকালে অধ্যাপক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে ভারতবদ এক জন শ্রেষ্ঠ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক তারাইল । সিন্ধুদেশে তৎকত্ত্বক মোহেন-জো-দঢ়ো আবিষ্কার তাহাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিবে । তিনি আরও অনেক আবিস্ক্রিয়ার জন্য বিখ্যাত। ঔপন্যাসিক বলিয়াও র্তাহার খ্যাতি ছিল । দমননীতির ফল সরকারী যেরূপ দমন-নীতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে, তাতার ফল কি হইবে বলিতে পারি না । জেলে যাওয়ার ভয় খুব কমিয়া গিয়াছে, অনেকে তাহ গৌরবের বিষয় মনে করে। প্রহারের ভয়ও যাইতেছে। গুলি খাইয়৷ মরার ভয়ও আগেকার মত নাই । সুতরাং দমন-নীতি--- অন্ততঃ গুজরাটে—শীঘ্র বা বিলম্বে সফল হইবে মনে হয় ন। যদি হয়, তাহাতেই যে সভ্য গবন্মেণ্টের কৰ্ত্তব্য সমধি হইবে, এমন মনে করি না । জনগণের তেজস্বিত, মানসিক শক্তি, অক্ষুণ্ণ রাখিয়া, তাহাদিগকে মতুষ্যোচিত সব অধিকার দিয়া যে গবন্মেণ্ট দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করিতে পারেন, সেই গবন্মেণটই প্রকৃত প্রশংসভাজন। জনপ্রাণীহীন মরুভূমিতে এক প্রকার শাস্তি ও শৃঙ্খলা আছে, শ্মশানে ও গোরস্থানেও তদ্রুপ নিরুপদ্রব অবস্থা আছে। ভাত ত্রস্ত আতঙ্কগ্রস্ত লুপ্ততেজ মাতুষদের অধুষিত দেশের শাস্তি ও শৃঙ্খলা ঐ প্রকারের। ব্রিটিশ গবন্মেন্ট ভাবিয়া দেখিলে অবিলম্বে বুঝিতে পারিবেন, তাহা বাঞ্ছনীয় নহে । অতএব প্রেষ্ট্রিজ-গত-প্রাণ না হইয়া ব্রিটিশ গবন্মেণ্ট যদি শাস্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার অন্ত উপায়—জনগণের রাষ্ট্রীয়

অধিকার স্বীকার রূপ উপায়—অবলম্বন করেন,তাহা হইলে

বিবিধ প্রসঙ্গ—মূ্যনতম বলপ্রয়োগ AAAAAAAS AAASASAAAAASA SMMMS SSSSSSMAMMMMASA SAMeAAASAAAAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA AAAASeMMMMeMMeeeS 88వ তাহ। ব্রিটেন ও ভারতবর্ষ উভয়দেশের পক্ষে কল্যাণকর হইবে । কোন দেশেরই বন্ধুত্ব অবজ্ঞেয় নহে। ভারতবর্ষের মত বৃহৎও মহং দেশের বন্ধুত্ব ত অবজ্ঞেয় নহেই । ঘদি ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাহিরে চলিয়া যায়, তাহ। হইলেও এই বন্ধুত্বের আত্মিক ও মানসিক এবং বাণিজ্যিক মূল্য থাকিবে । সুতরাং এই বন্ধুত্ব অসম্ভব করিয়ু তুল৷ উচিত নয়। ভারতবর্ষ স্বরাজ লাভ করিবেষ্ট-কেহ তাহা আটকাইয়। রাপিতে পারিবে না । র্যাহার। তাহাতে বিলম্ব বা ব্যাঘাত জন্মাইতে চান, তাহার নিজেদের বিবেচনা অনুসারে চলিবেন । কিন্তু এরূপ কিছু করা তাহাদের পক্ষে অসমীচীন হইবে, যাহাতে ভারতবধুের, হৃদয়ে স্থায়ী অপমানরেখা অঙ্কিত হইয়া ব্রিটেনেরগঠিত তাহার বন্ধুত্ব অসম্ভব করিয়া তুলে । & ‘নূ্যনতম বলপ্রয়োগ” এলাহাবাদের পণ্ডিত হৃদয়নাথ কুঞ্জর একজন দেশহিতব্ৰত ত্যাগ পুরুষ । তিনি গোখলে প্রতিষ্ঠিত ভারতসেবক সমিতির সহকারী সভাপতি ও সভ্য । এষ্ট সমিতি ব্রিটেন ও ভারতবর্গের চিরস্থায়ী যোগে বিশ্বাসী। ইহার সভ্যেরা দারিদ্র্যব্রতী এবং তঁহাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস অল্পসারে অনন্তকৰ্ম্ম দেশসেবক । ইহার। মহাত্মা গান্ধীর সহকৰ্ম্মী ব৷ অল্পচর নহেন এবং সত্যা গ্রহে যোগ দেন নাই । পণ্ডিত হৃদয়নাথ ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য। দেশে দমননীতি প্রবস্থিত হওয়ায় এবং পুলিস নানাস্থানে অত্যাচার করায় তিনি সেই কারণ উল্লেখ করিয়া বড়লাটকে ব্যবস্থাপক সভায় সভ্যপদত্যাগের পত্র প্রেরণ করেন। সেই পত্রের উত্তরে বড়লাট পুলিসের অত্যাচার অস্বীকার করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, যে, যখন পুলিসকে বলপ্রয়োগ করিতে হইয়াছে কেবল তখন পুলিস নূ্যনতম বলপ্রয়োগ করিয়াছে। জবাব পড়িয়া ভারতবর্ষের সব প্রদেশের লোকে স্তম্ভিত হইবে । শুধু সংবাদপত্রের সংবাদস্তম্ভে অজ্ঞাতনামা লোকদের দ্বার প্রেরিত সংবাদে নহে, কিন্তু সকল রাজনৈতিক দলের এই