পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b o SAeeAMSMMA AMMA SAMMSAASAASAA AAAS S ASAAAAMAMMMMMAAAA প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড অনেক প্রসিদ্ধ এবং সত্যবাদী বলিয়া সুবিদিত লোক স্বচক্ষে দেখিয় পুলিসের অত্যধিক ও অনাবশ্যক বলপ্রয়োগের কথা অনেক কাগজে লিখিয়াছেন । বড়লাট কি এই সকল বর্ণনার একটও পড়েন নাই ? এই সমস্তকেই কি তিনি মিথ্যা মনে করেন ? যে-সব সরকারী কৰ্ম্মচারী তাহাকে সংবাদ জোগায় তাহাদের কথাই বেদবাক্য । যাহারা দেশের সেবায় তাহাদের মত অল্পসারে কোন একটা পথ ধরিয়াছেন, তাহারা ত সৰ্ব্বপ্রকার দুঃখ ও মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত । তাহারা বড়লাট কিম্বা অন্য কোন মাল্লষের কাছে প্রতিকারপ্রার্থী নহেন । কিন্তু বড়লাটের মত পদস্থলোক নিজের কৰ্ত্তব্য পালনের জুলু এবং তাহার দেশের মঙ্গলের ও সুনামের জন্য জানিয়া শুনিয়7িচস্থ করিয়া কথা বলিলে তাহার নিজের ও ব্রিটেনের কল্যাণ হইত। মানুষে কিছু না করিলেও ভারতের ভাগ্যবিধাতা ধিনি তিনি নিশ্চয়ই ভারতের মঙ্গল করিবেন । তিনি তাহার সত্যানুসন্ধায়ী সেবকদিগকে ঠিকৃপথ দেখাষ্টয়া দিবেন। ভারতসচিবের বক্তৃত গত ২৬শে মে পালেমেণ্টে ভারতবর্ম সম্বন্ধে ধে তর্কবিতর্ক হয়, তদুপলক্ষ্যে ভারতসচিব মিঃ ওয়েজুড়, বেন একটা খুব লম্বা বকৃত করেন । তাহাতে কতকগুলা মামুলী বাধা বুলির পুনরুক্তি ছিল এবং ভারতবর্ষের বাণিজ্য, জলসেচন, শ্রমিক-সমস্যা, রাজস্ব, শুষ্ক, রেলওয়ে, ইত্যাদি সম্বন্ধে এমন নানা কথা ছিল যাহার কতক অসত্য, কতক অৰ্দ্ধসত্য এবং কতক এরূপ সত্য যাহাতে কিছু আসে যায় না। যাহারা ছয় হাজার মাইল দূরে বসিয়া কেবল এখানকার সরকারী কৰ্ম্মচারীদের প্রেরিত বর্ণনা ও সংবাদ পড়িয়া ভারতবর্ষের উজ্জল চিত্ৰ অঁাকেন, র্তাহীদের কথার প্রতিবাদ ও সমালোচনা করিলে তাহার অজ্ঞতা দূর হইবে না। কারণ, আমাদের কথা তাহাদের কানে পৌছিবে না এবং পৌছিলেও তাহারা অবিশ্বাস করিবেন। আমরা যাহা লিখি, তাহা যদি আমাদের স্বদেশবাসীরা পড়েন ও বিশ্বাস করেন, তাহাই আমাদের সস্তোসের বিষয় হওয়া উচিত। ভারতসচিব তাহার বক্তৃতার গোড়ার দিকে বলেন, যে ভারতবর্ষের অধিকাংশ লোক, এমন কি নগরসমূহের লোকেরাও, দিনের পর দিন সুশৃঙ্খল ও স্বপ্রতিষ্ঠিত. গবন্মেন্টের হিতৈষণার অধীনে স্ব স্ব বৃত্তির অন্তসরণ করিতেছে । ইহার মধ্যে আক্ষরিক সত্য আছে । ভারতবর্ষের সব লোকের বা অধিকাংশ লোকের পিঠে পুলিসের লাঠি পড়িতেছে না, ইহা নিশ্চয়ই সত্য কথা । কিন্তু ভারতসচিব যাহা বলিয়াছেন, তাহা বলিলে লোকের যাহা ধারণা হয় তাহা সত্য নহে । ইতিহাসে অনেক দেশ বিদেশী শত্রুর দ্বারা আক্রাস্ত ও উপদ্রুত হ ওয়ার বর্ণনা পড়া যায় । সেই সব দেশের ও সব বা অধিকাংশ লোক প্রহার খায় না । মোটকথা, ভারতবসের লোকে শাস্তিতে সুখে নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করিতেছে, ইহা সত্য নহে । তাহার পর ভারতসচিব বলিতেছেন, রাষ্ট্রীয় কার্য্যসম্পাদনের যন্ত্রটি ( “Governmental machine”) ąfs zālē făfÈ- zizēą się, তাহা হইলেও ইহা এখন খুব বেশী পরিমাণে ভারতীয় হাতের দ্বারা চালিত হইতেছে, কেবল উচ্চপদে নহে কিন্তু সম্পূর্ণরূপে নিম্নপদগুলিতে। বক্তার মতলবট এই, যে, ভারতবর্ষ কাৰ্য্যতঃ দেশীলোকদের দ্বারা শাসিত । ভারতবর্ষের সরকারী পুতুলনাচের পুতুলগুলি অধিকাংশই দেশীলোক বটে, কিন্তু যাহারা স্থত টানিয়া পুতুল নাচায় তাহারা ব্রিটিশ—উচ্চতম পদে অধিষ্ঠিত ভারতীয়ও সেই স্থতার টানে নাচে । ১২-২, আপার সাকুলার রোড, কলিকাতা প্রবাসী প্রেসে, ত্রসজনীকান্ত দাস কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত