পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” ৩০শ ভাগ )

  • >SI ఇలe §

ఆSt=ei, S<><<్న ৪র্থ সনৎ খ্যা } নাদির শাহের অভু্যদয় স্ত্যর যন্ত্রনাথ সরকার দেশের দুর্দশার দিন পারস্ত দেশ প্রাচীনকালে পশ্চিম এসিয়াখণ্ডে সভ্যতার কেন্দ্র ছিল,--যেমন দক্ষিণ-এসিয়ায় আমাদের ভারতবর্ষ, তেমনি । এই দুই দেশেই আর্য্যজাতির বাস ; দুই দেশের মধ্যেই তখন ভাষা ও ধর্মের অনেক সাদৃশ্য ছিল । পরে মুসলমান বিজয়ের ফলে পারস্য দেশ ভারত হইতে বড় বিভিন্ন হুইয়া পড়িল । কিন্তু যোড়শ শতাব্দীর প্রথমে যখন ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর আসিয়া সূতন রাজ্য স্থাপন করিয়া দেশে শান্তি স্থখ ধন আনয়ন করিলেন, ভারত আবার সভ্যতার কেন্দ্র হইল,—ঠিক তখনই পারস্য দেশ সফবী রাজবংশ স্থাপনের ফলে জাগিরা উঠিল, ধনে বলে সভ্যতায় আবার এসিয়ার প্রদীপ হইয়া দাড়াইল । আবার এদিকে যেমন আওরংজীবের সঙ্গে সঙ্গে মুঘল সাম্রাজ্যের গৌরব-রবি দ্রুত অস্তগামী হইল, তেমনি ঐ সম্রাটের জীবনকালে পারস্য দেশেও রাজশক্তির অবনতি এবং দেশের অধঃপতন স্পষ্ট দেখা দিল । পারস্তের নবীন শাহর অণর যুদ্ধ শিখেন না, বাল্যকাল অবধি অন্তঃপুরে স্ত্রীলোক ও খোজার মধ্যে প্রতিপালিত হন এবং সিংহাসন লাভ করিবার পর রাজ্যভার উজীরের হাতে সপিয় দিয়া নিজে ইন্দ্রিয়-মুখ ও স্বরাপানে অকালমুতু্য ডাকিয়া আনেন । এই সফবী বংশের শেষ রাজা, শাহ স্বলতান হুসেন ( রাজ্যকাল ১৬৯৪-১৭২২ পৃষ্টাব্দ ) নেশা করিতেন না বটে, কিন্তু মুল্লা ও খোজাদের হাতে সমস্ত শাসনকাৰ্য্য ছাড়িয়া দিয়া নিজে মালাজপ করিতেন এবং হারেমে অসংখ্য রমণী লইয়া সময় কাটাইতেন। মুল্লাদের পরামর্শে তিনি দেশ হইতে সমস্ত দার্শনিক, স্বফী এবং শিয়া ভিন্ন অপর সব সম্প্রদায়ের মুসলমানকে নিযাতন করিয়া তাড়াইতে লাগিলেন । ইহাতে দেশে জ্ঞান-চর্চা বিদ্যাবুদ্ধি লোপ পাইল । সৈন্তগণ এবং প্রাচীন সম্রাস্ত বংশগুলি রাগে অপমানে এহেন রাজাকে পরিত্যাগ করিল। অবশেষে শাসনকাষ্যের বিশৃঙ্খলা ও অবহেলার অনিবাৰ্য্য ফল ফলিল । সীমান্ত প্রদেশগুলি স্বাধীন হইতে আরম্ভ করিল। উত্তর-পূৰ্ব্ব কোণে হিরাট জেলায় আবদালি জাতি এবং দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব কোণে কান্দাহার প্রদেশে ঘিলজাই জাতি পারসিক সৈন্যকে পরাস্ত করিয়া পারসিক শাসনকৰ্ত্তাকে তাড়াইয়া দিয়া বা মারিয়া ফেলিয়া দেশ দখল করিল,