পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] করে তাহাদের ধ্বংস এই দ্বিতীয় কারণে অর্থাৎ হিমালয় পৰ্ব্বতে কিংবা ব্ৰহ্মদেশের পর্বতে ধাক্কা লাগিয়া ঘটিয়া থাকে। বঙ্গসাগর হইতে ঝড় দাক্ষিণাত্য প্রদেশের উপর দিয়া আরব-সাগরে গমনের সময় কখনও পশ্চিমঘাট পৰ্ব্বতমালায় বাধা পাইয়া ধ্বংস হইয়া যায়। কিন্তু আবার কখনও কোনো প্রকারে এই ধাক্কা সামলাইয়৷ আরব-সাগরে উপস্থিত হইয়া পুনরায় ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করে । কখনও বঙ্গসাগরের ঝড় মধ্যভারতের উপর দিয়া পশ্চিম অভিমুখে যাইতে যাইতে সিন্ধু প্রদেশের মরুভূমির উপরে আসিয়া উপস্থিত হয় এবং দুই তিন দিন ধরিয়া স্থলের উপর দিয়া গমনের ফলে এবং মরুভূমির উপর অবস্থানের জন্য জলীয় বাম্পের অভাবে উহাদের মৃত্যু ঘটিয়া থাকে। শীতকালে বঙ্গসাগরে কখনও ঝড় উৎপন্ন হয় না। কিন্তু ঐ সময় আটলান্টিক কিংবা ভূমধ্যসাগরে উৎপন্ন ঝড় পূৰ্ব্বাভিমুখে চলিতে চলিতে পশ্চিম সীমান্ত ( বেলুচিস্থান ) দিয়া ভারতবর্ষে প্রবেশ করে এবং সমস্ত প্রাণের দাবী - , 8brసి উত্তর-ভারতে বারি বর্ষণ করিতে করিতে ব্ৰহ্মদেশে আসিয়া পৌছায়। কখনও ব্রহ্মদেশের পর্বতে ধাক্কা খাইয় ইহার ধ্বংস হইয়া যায়, কখনও বা পৰ্ব্বত পার হইয়৷ প্রশাস্ত-মহাসাগরে উপস্থিত হয়। হাজার হাজার মাইল চলিয়াও যে ঝড়ের ধ্বংস হয় না তাহাদের অস্তিত্ব কত দৃঢ় এবং সেগুলি ধ্বংস করা কত কঠিন তাহ সহজেই ধারণ করা যায়। র্যাহারা শীতকালের এই ঝড়গুলির প্রকৃতি লক্ষ্য করিয়াছেন, তাহারা জানেন এই ঝড় আসিবার পূৰ্ব্বে হাওয়া কেমন উষ্ণ হইয় উঠে এবং চলিয়া গেলে বায়ুর তাপ ১৫৷২০ ডিগ্রি পর্য্যস্ত কমিয়া शश ।। ३श इ३८ड़ ७३ बल्लखणि .८६ ॐक ७ ४७ বায়ুর মিলন-স্থলে উৎপন্ন তাহ অনায়াসে বুঝা যায়। এই আটলাণ্টিক ও ভূমধ্যসাগর "হইতে আগত ঝড়গুলির উপরে উত্তর-ভারতের রবি-শস্য সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে। কারণ এইগুলি না আসিলে ঐ সময়ে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা থাকিত না । কাজেই এই ঝড়গুলি আমাদের পরম বন্ধু । প্রাণের দাবী ঐসান্তুনা দেবী > নিজের সূৰ্ব্বশেষ অলঙ্কারখানি, স্বামী অনাথের হাতে তুলে দিয়ে পত্নী মমতার মনে হয়েছিল সে বুঝি আজ সত্যই নিশ্চিন্ত হয়েছে। w অসীম শূন্ত বিরাট আকাশের মতই তার হৃদয়ও আজ কানায় কানায় শূন্ততার শান্তি দিয়ে ভরে উঠেছে। চাওয়ারও আর কিছু নেই, দেবারও আজ কিছু নেই। সবেরই সমাপ্তি হয়ে গিয়েছে । e কিন্তু পরক্ষণেই যখন বাড়িওয়ালী এসে তাকে বাকি ভাড়ার জন্য অশেষ প্রকারে লাঞ্ছিত করে গেল, তখন মনে হ’ল, দেবার আর কিছুই নেই—এ একটা মস্ত সাত্বনা বটে, Saーミ তবুও চাই—আর দিতে হবেই—এর হাত হতে পরিত্রাণের উপায় কি ? 娜》 ভিড়ের দিনে মন্দির-যাত্রীরা যেমন মার মার করে পিষে ফেলে মন্দিরে ঢোকে তেমনি করেই তার মগজের ভিতর নানান দুঃখ, নানান দেন এসে ঢুকতে লাগল। বাড়িভাড়া সত্তর টাকা বাকি পড়েছে, তা দিতে হবে । ধোপারও খুব কম করে কুড়িটাক। বাকি, তাও চাই । গয়লা দুধের জোগান বন্ধ করে দিয়েছে, তারও পঞ্চাশ ষাট টাকা না মিটিয়ে দিলেই নয়। ঘরে চাল নেই, ডাল নেই, একটু মুন পর্য্যস্ত নেই। দোকানে প্রায় একশ’ টাকা ধার হয়েছে । না মিটিয়ে