8న8 মোছা হ’ল না। দালানে খোকাকে শুইয়ে রেখে তাদের নিরুপায় জননী দুটি ক্ষুধাৰ্ত্ত শিশুকে আগলে বসে রইল । যিনি বিশ্বজননী, র্যার অসীম স্নেহ,—র্তার মনে এতে এতটুকুও দুঃখ হয়েছিল কিনা জানা যায় না। কিন্তু তারই একবিন্দু করুণা দিয়ে গড়া এই মন্ত্যজননীর বুকে আর দুঃখ রাখবার তিলমাত্র ও ঠাই ছিল না। সেদিন সে এই ছেলে মেয়ে দুটির কথা ভেবেই সঙ্গম ত্যাগ করে অসঙ্কোচে ভিক্ষা করে এনেছিল । সেদিনের মত আজ ভিক্ষায় বেরতে তার কি স্তু প্রবৃত্তি হ’ল না। তার অন্তরের নারী-মহিমা আজ সস্তানের অনাহারের চাইতেও বড়-কিছুর জন্য তাকে কিছুতেই রাস্তায় ভিক্ষার্থ বাহির হতে অল্পমতি দিল ন । মমতা ভাবছিল । জটপাকানো খেইহারানে শত বারের পুরানো ভাবনাই তার সম্বল। এই ত তার সবে মূত্র বাইশ বৎসর বয়স, এ বয়সের মধ্যে এত দুঃখ সে পেয়েছে যে, তার পরিমাণ করা যায় না । আত্মহত্যায় সব দুঃখের অবসান হয় বটে, কিন্তু তার পর ? এই ছেলে মেয়ে থাবে কি ? জননীবিহনে তারা দাড়াবে কোথায় ? স্বামী নিতান্ত নিরুপায়। ৰুঝি মমতার চাইতেও নিরুপায়। তবু লোকের একআধটা ছোটখাট কাজ করে দিয়ে সামান্য দুএক টাকাও সে মাঝে মাঝে পায়। কিন্তু সবল কৰ্ম্মঠ পুরুষ, তাকে কে দয়া করবে ? সে নারী, সকলের রুপার দানে সে বঞ্চিত নয় । নিজ ঋণ পিতৃঋণ বড় জিনিষ । তা শোধ করা ৪ কৰ্ত্তব্য । কিন্তু এই আজন্মের সার্থী ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে তার ঘাড়ও যে কুয়ে পড়ছে। তবু শ্বশুর থাকৃতে এত কষ্ট জানতে হয় নি। র্তার পেন্সন-লব্ধ টাকাতেই সচ্ছলে সংসার চলেছিল । তিনি যে ভিতরে ভিতরে এত দেনা করে, তাদের সর্বনাশ করে গিয়েছেন, তা তারা ঘূণাক্ষরেও আগে টের পায় নি ত । শত প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ MAeeAMeAMAMM MAeMMMAAA AAAA AAAAJAMMMAMA AJMA AA MSMM MAM AMMAMMMAAM AAAASAASS AMMMMM AAM MMAMMAeAMMAeMMMAMAMMAMA AMMMAAMA SAMMeMA AM AMAAM MMAAA AAAA AAAAMMMAMAMMA AMSAMMM AAAAS ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASA SSASASASAJSMMAMAAASA SAASAASAAAS চাকরীর বাজার কি রকম দুৰ্ম্ম ল্য তা সে বেশ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ব্যবসা—তাও মূলধন চাই। ভদ্রসন্তান । কিছু লেখাপড়া ও জান । তিনি যে ঘাড়ে মোট বয়ে ছেলেপুলেদের জন্য রোজগার করবেন এমন ভরসাও তার নেই । এত অভাব, এত দুঃখ, তবুও তার পরিধেয় বস্ত্র সাবান দিয়ে নিত্য ফরসা রাখতে হয়, তিনি ময়লা কাপড় পরে বেরতে লজ্জ বোধ করেন । তার ছেলেপুলে একটি পয়সার জন্য ক্ষুধায় কাদে, কিন্তু তার পায়েও নিতান্ত কম পক্ষে পাচ টাকা জোডারও এক জোড়া জুত চাই । ছেলেমেয়ের জমি ছেড়া সেলাই করে গ্রস্থি দিয়ে চালান যায়। কিন্তু তাকে ভদ্রসমাজে ঘুরতে হয়, তার জামা ফরস এবং নুতন চাই । তিনি যে নিজের ভদ্রয়ান ভুলে গিয়ে তাদের জন্য মাথায় মোট বইবেন, এমন কল্পন। তার স্বপ্নেরও অগোচর । আর বাস্তবিক তার স্বামীরই বা কি দোষ ? সত্যিই যে তিনি ইচ্ছা করে তাদের কষ্ট দিচ্ছেন তা ত নয় । এই রকমই ধে আজকাল ভদ্র গৃহস্থ লোকের সমস্যাময় জীবন হয়েছে । দোষ কারও নয়, দোষ তার অদৃষ্টের । তার স্বকৃত কৰ্ম্মফলের। ইহজন্মে সে এমন-কিছু করেনি যে, তার এ শাস্তি বহন করতে হয়। তবে পূৰ্ব্বজন্মে না জানি কত পাপই লুকিয়ে করে এসেছিল, তাই তার অন্তর্যামী এ শাস্তি তাকে দিচ্ছেন । সব সে সইতে পারত, যদি তার না ছেলেমেয়ে থাকত। তারাই তার জীবনের সব চাইতে বড় সমস্তা—তারাই তার সব চাইতে বড় আনন্দ । শিউলি শ্লেটটুকু নিয়ে কি সব হিজিবিজি লিখছিল, অনেক পরে বলল, “ম, কই ভাত রাধলে না ?” মমত। কোনো সাড়া দিল না, মেয়ে মার কাছে ঘেষে জিজ্ঞাসা করল, “ম—-ওম{—ভাত রণধলে না ।” "একটু পরে মা ।” ক্ষুন্ন হয়ে শিউলি বলল, “আরও পরে রাধবে মা ? বিকেল হয়ে গিয়েছে যে ।”
পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।